১৭ মার্চে শাকদাহ মাদ্রাসা মাঠে করা আলীগের নির্বাচনী সমাবেশে কলারোয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন জামায়াত-শিবির ও বিএনপি'র নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি এবং তার পোলিং এজেন্টদের সামনে প্রকাশ্যে সীল মারতে হবে বলে হুংকার ছাড়লেন।
সমাবেশে তার দেওয়া বক্তব্যের কিছু অংশ এখানে তুলে ধরা হল
ফিরোজ আহমেদ স্বপনের বক্তব্য শুনুন
"এদের হাতে যদি পোস্টার লাগাতে থাকে, এদের কণ্ঠে যদি শহিদুল ইসলাম মুকুলের এই ভোটের জন্য যদি মাইক বের করে থাকে, আর তাই শোনার সাথে সাথে আমার আওয়ামীলীগের এই সোচ্চার কর্মীদের যদি তাদের মাথা বিগড়ে যায়, প্রচন্ড ক্ষিপ্ততায় যদি তাদেরকে চেপে ধরে পিটাতে পিটাতে খুন করে বলে, আমরা কিন্তু দায়ী থাকব না।
তাই বলতে চাই, যদি পোলিং এজেন্ট হয়ে ২৩ তারিখের নির্বাচনে যদি ভোট কেন্দ্রে যায় পোলিং এজেন্ট হয়ে আর আমার শত শত এই কর্মীরা আর দৌড়ে যেয়ে যদি তাকে ধরে পিটাতে পিটাতে তাদের মেরে ফেলে দেয়, আমরা কিন্তু দায়ী থাকব না।
আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এইখানে নিরাপদের সাথে বসবাস করতে চাও তালে আমাদের একটা উপদেশ। সেটা হচ্ছে- আমাদের কর্মীর কাছে যদি আত্মসমর্পণ করে বলে, তোমাদের ২৩ তারিখে এই নির্বাচনী মিছিলে আমরা শরীক হতে চাই, আমরা আনারস, মাইক এবং কলসে ভোট দিতে চাই এবং সেই প্রতিশ্রুতি হতে হবে আমার পোলিং এজেন্টদের সামনে প্রকাশ্যে সীল মারতে হবে, আমরা ভেবে দেখতে পারি।
আর ২৩ তারিখে ভোট দেওয়ার নামে যদি কারো খায়েশ হয় ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আর ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার পরে আমাদের কর্মীরা যদি দেখে, দেখে যদি আবার মটকা গরম হয়ে যায়, আবার যদি ঝাঁপিয়ে পড়ে, মারতে মারতে মেরে ফেলে তাইলে কিন্তু আমরা কিছু বলতে পারবো না, আমরা কিন্তু দায়ী থাকব না।
তাই আপনারা যদি ২৩ তারিখের আগেই এই জনপদ ছেড়ে দিয়ে বাইরে থাকেন, ২৩ তারিখের পরে এসে যদি আমাদের কর্মীদের সাথে আত্মসমর্পণ করে মিলেমিশে থাকতে চান, আমরা শান্তি চাই। আমরা সেটা বিবেচনা করব।
হাজার হাজার জামায়াত বিএনপি'র কর্মী, আজ থেকে শুরু হবে আইন-পুলিশ তাদেরকে খুঁজে বের করবে ২৩ তারিখের মধ্যে। এই খোঁজাখুঁজির হাত থেকে যদি নিজেকে রক্ষা করতে চাও, নিরাপদে নির্বিঘ্নে ছেড়ে দিতে হবে এলাকা। ২৩ তারিখের পরে আসতে হবে, তাহলে এই জনপদ আর রক্তাক্ত হবে না। এর কোন বিকল্প কিছু করতে গেলে অবশ্যই তা হবে বুমেরাং।
তাই আপনাদেরকে বলব, আমাদের যারা কর্মীরা আছেন, সকাল ৬টার মধ্যে ভোটকেন্দ্রে এসে চারিদিকে ব্যুরো রচনা করবেন, যেন আপনাদের ভেদ করে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছতে না পারে। আর তাদেরও বাড়ি বাড়ি খুজবেন, পেলে বেধে পুলিশে সোপর্দ করে দেবেন, পরিষ্কার কথা। ভোট চাইতে আসলে ওদেরকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে দিতে হবে। এই কাজটি করার জন্য যদি আপনারা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করেন, একবার হাত তুলে বজ্রমুষ্টি দিয়ে বলুন তো- হ্যাঁ আমরা থাকব, করব? এইকাজটি করলে বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।"
নির্বাচন কমিশন যেহেতু তাদের ক্ষমতাপ্রয়োগের বদলে আল্লাহর সাহায্যের ওপরই নিজেদের সঁপে দিয়েছেন, সেহেতু এমন নিরপেক্ষ ভোট আমরা সামনে দেখতেই থাকবো। দলীয় সন্ত্রাসীদের শাস্তি কে দেবে? পরকালে আল্লাহই দেবে-সেই আশাতেই বসে থাকলাম?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০