অভাজনের নিবেদনঃ
যারা বাংলা ভাষা লিখতে ও পড়তে পারেন তারাই স্বভাবতই কবি। জীবনে একটি কবিতা লিখেননি কিংবা লেখার ব্যর্থ চেষ্টা করেননি এমন বাঙ্গালীর সংখ্যা খুজেঁ বের করতে হলে এক সদস্য বিশিষ্ট উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। ফলাফল, সেই কমিটি জীবনেও রিপোর্ট দিবে না। বিধায় আমার কথাই সত্য বলে গৃহীত হবে। অবশ্য এই কথা সবাই জানেন।
এই কবিতাটি আমি কুড়িয়ে পেয়েছি। কবিতা হয়েছে কিনা জানি না তবে ভেতরের ভাবনাটি আমার কাছে পছন্দ হয়েছে।তাই আমার নিজের ব্লগেই পোস্ট করলাম। প্রবাসীরা কবিতার ভাবনাটি ভেবে দেখতে পারেন।
প্রবাসী চাঁদ
এখানে বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠে না।
ইস্পাতের উচ্চ অট্টালিকার ফাঁক দিয়ে মাঝে মাঝে উকি দেয়
বিবর্ণ এক ফালি চাঁদ।
এই চাঁদ আমার নয়।
এই চাঁদ আমাদের নয়।
আমার চাঁদ স্নিগ্ধতার আলো ছড়ায়
পূর্ব দিগন্ত থেকে পশ্চিমের নীলিমায়।
ফসলের মাঠ থেকে লোকালয়ে।
এখানে বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠে না।
ইস্পাতের উচ্চ অট্টালিকার ফাঁক দিয়ে মাঝে মাঝে উকি দেয়
বিবর্ণ এক ফালি চাঁদ।
ঘুমানোর বেলায় শিয়রে বসে কাজলা দিদি
বলে না কোন শ্লোক।
এখানে চাঁদকে মনে হয় নিরেট একটা পাথর
একটা জড় পদার্থ।
এই চাঁদ আমার নয়।
এই চাঁদ আমাদের নয়।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪৭