[/sb
আগের পোস্টঃচীনে প্রোটন গাড়ীর কারখানা বানাবেন তুন মাহাথির !
এ বছর ২২ শে আগস্ট মালয়েশিয়াতে পবিত্র ঈদুল আযহা পালিত হবে। সরকারী ভাবে এই তারিখ নির্ধারিত হয়েছে।
কোরবানীর ঈদের ব্যাপারটি মালয়েশিয়াতে যে ভাবে হয় সেটা আমার ভালো লাগে। অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে তবে আমার খুব ভালো লাগে।
এখানে বাংলাদেশের মতো গরু কেনার প্রতিযোগিতা বা উৎসব শুরু হয় না। এলাকায় এলাকায় বিরাট গরু ছাগলের হাটও বসে না। বাংলাদেশে তো এক ধরনের অলিখিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায় কে কয়টা গরু কোরবানী দিতে পারে। কিংবা কে কত দামী গরু কোরবানী দিতে পারে। সেই প্রতিযোগিতায় নিম্ন আয়ের মানুষ অসহায় হয়ে যায়।
মালয়েশিয়াতে ঈদুল আযহা খুবই কাছে। কিন্তু চারি দিকে সাজ সাজ কোন রব নেই। শহরতলীর কোন কোন রাস্তায় কদাচিৎ দুই একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে। তাতে কোন খামারে ঈদের গরু পাওয়া যায় তার খোঁজ দেয়া আছে। মুঠোফোনের নম্বর দেয়া আছে। এই সব নম্বর দেখে আগ্রহী মানুষ যোগাযোগ করে।
সব মসজিদেই ঈদের নামাজ হয়। বেশীর ভাগ জামাতই ৭ঃ৩০ থেকে ৮ টার ভেতরই অনুষ্ঠিত হয়।
মালয়েশিয়ার কোরবানীগুলো হয় মূলতঃ মসজিদ ভিত্তিক। একটি গরু যেহেতু ৭ জন মানুষ অংশ নিতে পারে তাই সেই হিসাবে সাত জন মানুষের নামে টাকা জমা নেয়া হয়। সেই টাকায় খামার থেকে গরু কিনে আনা হয়।
মসজিদ কর্তৃপক্ষ গরু জবাই ও মাংসম কাটার ব্যবস্থা করে । মাংস প্রস্তুত হবার পর বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই ৭ অংশীদারের বেশীর ভাগই মাংসের বড় কোন ভাগ নেন না। ২/৩ কেজি নিলেও পারেন । আর না নিলেও পারেন। বেশীর ভাগ মাংসই বিভিন্ন এতিম খানা ও দরিদ্র লোকদের মাঝে বিলি বন্টন করা হয়।
তবে প্রবাসী বাংলাদেশী যারা আছেন তারা তাদের দেশীয় নিয়মই মেনে চলার চেষ্টা করেন। ঈদুল আযহার দিন সকালে নামাজ শেষে সবাই পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এই বলেঃ সেলামাত হারি রায়া হাজি (Selamat Hari Raya Haji ) কিংবা সেলামাত হারি রায়া আইডিল আদহা (SELAMAT HARI RAYA AIDILADHA )। এ ছাড়া সেলামাত হারি রায়া কোরবান (Selamat Hari Raya Korban)বাক্যটিও দেখা যায়।