বিড়াল একটি সুন্দর আর শান্ত প্রাণী। মালয় ভাষায় বিড়ালকে কুচিং (Kuching) বলে। এই নামে তাদের একটি শহরও আছে যেটা পূর্ব মালয়েশিয়ার Sarawak প্রদেশের রাজধানী।
বাংলাদেশে একটি প্রবাদ আছে- গরম ভাতে বিলাই বেজার। অর্থাৎ বিড়ালকে যদি গরম ভাত পরিবেশন করা হবে তাহলে সে খাবে না। তার মন খারাপ হবে। কিন্তু ঠান্ডা ভাত দিলে সে খাবে।
বাংলাদেশের বেড়ালগুলো বাংলাদেশের অনেক মানুষের মতোই দুঃখী। তারা সামান্য মাছের কাটা, মুরগীর হাড়গোড় আর সামান্য ভাত কিংবা দুধ খেতে পেলেই মহাখুশী হয়ে চোখ বুজে খেতে শুরু করে । আর নানা ভাবে তার আনন্দ প্রকাশ করে। দেখতে খুবই ভালো লাগে।
মালয়েশিয়ার বিড়ালগণ এমন নন। তারা বাংলাদেশের বিড়ালের মতো এটো কাটা হাড় খাননা। তাদের জন্য দোকান থেকে বিশেষ ধরনের খাবার কিনে আনতে হয়। সেই খাবার ছাড়া অন্য কিছু তারা তাকিয়েও দেখে না। প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে মালয়েশিয়াতে আছি। কোন বেড়ালকে দেখলাম না যে তারা মাছ ভাত কিংবা দুধ খাচ্ছে। আমি নিজে চেষ্টা করে দেখেছি । কিন্তু তারা খেতে আগ্রহ প্রকাশ করে না।
গুড়ো দুধের মতো প্যাকেটে বড় বড় শপিং মল কিংবা পেটশপে বিড়ালের খাবার সাজানো থাকে। উল্লেখ্য যে, কুকুরের খাবার থাকলেও দোকানে বিড়ালের খাবারই বেশী দেখা যায়। ৫০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১২ কেজি ওজনের খাবার প্যাকেটও পাওয়া যায়।
পেটশপগুলোতে বিড়াল ছানার সাথে সাথে তাদের বিশেষ ধরনের খেলনা, মলত্যাগের জন্য বিশেষ ধরনের মাটিও বিক্রি করা হয়।
মালয়েশিয়ার মানুষ মনে হয় বিড়াল খুব ভালো বাসে। এখানে বিড়াল বিষয়ক একটি ক্লাব আছে। Malaysia Cat Club নামে পরিচিত। এর লিংক - বিড়ালের ক্লাব
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬