১। বৃক্ষ ও ছায়া
ঘরে বাইরে যে মুখটা ঝুলে থাকে অনুপলে
গালে মুখে লাল আদরের দাগ এঁকে দেখি
ভোরবেলা দেখা হয়ে গেল শিউলী তলে
একটা মুচকি হাসি ওঁত পেতে ছিল শিশিরে
আচানক বের হয়ে এলো শিউলী সুবাসে
যার এরুপ প্রকাশ কখনো চোখে পড়েনি।
তোমার সাথে দেখা হতে না হতেই
একটা শিউলী গাছ আমি এঁকেছি
এই প্রথম সে গাছের ডালে ডালে পাখি
তুই হয়ে থাক বৃক্ষ আমি ছায়ায় মিশে থাকি।
২। দীর্ঘশ্বাস চাই
আমি ভালবাসা চাই না
মিনতি করে তোমার কাছে
শুধুমাত্র দীর্ঘশ্বাস চাই
সুখে আছো যদি
তবে কোন আর্জি নাই।
বৈদেশী বাতাস
তোমায় নিয়ে গেলো
তাই ভালবাসা চাই না
পূর্বতন অনুরাগের
দীর্ঘশ্বাস চাই
সেটাই হবে বেঁচে
থাকার বদান্যতা
আমার দীনতায়
তোমার মুখরতা।
৩। স্বপ্নের মত
দিন ভেসে যাচ্ছে
স্বপ্নের মত এক অলীক জগতে বাস
ফিরতে চাই বাস্তবতার ঘেরাটোপে বাঁধা শয়নে
আমার বিছানাপত্রে উইপোকাদের বাস
আমি ঘুমাতে পারি না
চলতে ফিরতে প্রতি পদে পদে বাঁধা।
জানি এরকম দিন যাবে না
সব ঠিক হয়ে যাবে আগের মত
উত্তপ্ত দিন কি সহজেই শান্ত হয়
এক ঝড় এসে সব লন্ডভন্ড করে দেয়
আবার দিন শীতল সুরে বয়
পৃথিবীর পরে ভালবাসা জাগায়।
৪। দু'মেরুর বাসিন্দা
যে মায়া বুকে নিয়ে ইউক্যালিপটাস পাতায় পরিপূর্ণ হয়েছিল
সে মায়া ঠেলে সোনালী ধান গোলায় গেছে চলে
সন্ধ্যার বাতাসে তাই পাতাগুলি থির
ধানের নাড়ায় পা কেটে গেলে পথিকের
পাতারা কাদে, হারানোর গান দিকে দিকে ছায়ায় ছায়ায়
পথিক খোঁজে পথের দিশা বৃক্ষ খোঁজে মগ্ন নেশা
পথিক এবং বৃক্ষ দু'মেরুর বাসিন্দা।
পাদটীকা: সবকটা অকবিতাই আগের লেখা। নতুন কিছু লেখা বা ভাববার অবকাশ পাচ্ছি না। ব্যস্ততার ফাঁকে চলছে ব্লগিং। সবাইকে ঈদের লেট শুভেচ্ছা।