১। মুঠো মুঠো কৃষ্ণচূড়া
ব্যস্ত দিন ব্যস্ত মূহুর্ত
ঘড়ির ডায়ালে সেকেন্ডের ক্রন্দন
মিনিটের আর্তনাদ
ঘন্টার ফ্যাকাশে মৃদু কলরোল।
এর মাঝে বেজে ওঠে সাইরেন
মুমূর্ষ দিন বছরের কোলে শুয়ে পড়ে
হারিয়ে যাওয়া দিনের মাঝে
হারিয়ে যায় স্বজন হারিয়ে যায় স্মৃতি
স্মৃতি বিস্মৃতির অতলে হাত
মুষ্ঠি ভরে উঠে আসে শুধু দীর্ঘশ্বাস।
তাই ব্যস্ততার ফাঁকে একটু আড়াল খুঁজছি
বসে পড়বো নিমগ্ন দাওয়ায়
সবুজ দেখবো সরল মূর্তির আকাশ দেখবো
আকাশ ও সোদামাটির মিতালী দেখবো
বর্ষা দেখবো সারি সারি কৃষ্ণচূড়া দেখবো
মুঠো মুঠো কৃষ্ণচূড়ায় পৃথিবী রাঙাবো।
২। পত্র অথবা যুদ্ধ
বায়ান্নটা পত্র পাঠিয়ে একটি জবাব
কখনো পেলে মন্দ হতো না
এই চৈত্রে তুমুল বৃষ্টি
জারুল গন্ধ্যা আকাশ
সুগন্ধে মন ভরতো দেখে
হেমন্তের রোদ আর চাঁদ।
তুমি বেছে বেছে চৈত্র খোঁজো
শুধু নিজেকে বুঝো মানুষ বুঝো না
তোমার তুলনা হয় না
পত্রের সাথে আড়ি ভাল লাগে না।
তৈরী থেকো রুপবতী
রাজ্য থেকে সৈন্য সামন্ত পাঠাচ্ছি
শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে
এবার পত্রের জবাব যদি নাই দিবে
তোমার রাজ্যে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা বাঁধবে।
৩। পাঁচ প্যাঁচ
আমি কোন প্যাঁচ বুঝিনা
এ ব্যাপারে সীমিত জ্ঞান
একদম নিম্নবৃত্তিক বা নিম্ন মাধ্যমিক
হাই স্কুলের ব্যাক বেঞ্চার
আর কিছুটা টেনে কলেজ পর্যন্ত
নিয়ে যেতে পারো
সে ক্ষেত্রে জীববিজ্ঞানের
এক কোষী প্রাণী।
যদি সুতোয় আর কিছুটা টান পড়ে
বিশ্ববিদ্যালয় অব্দি যেতে পারি
এ ক্ষেত্রে আমাকে রাস্তার
ঝাড়ুদার বানাতে পারো
আমি একে একে সব প্যাঁচ
ঝেটিয়ে বিদায় করে দিবো।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত যদি
সারে তিন হাত মানুষ
তবে মানুষে মানুষে
এত ভেদাভেদ কেন
এত কেন পাঁচ প্যাঁচ।
ছবিঃ নিজস্ব এ্যালবাম। (মিরপুর বেড়ি বাঁধ)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৫