পূর্বের সারসংক্ষেপ: বাবা মা এমন একটি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেন যেখানে ফ্রিতে কানাডিয়ান সিস্টেমে রেজুমে লেখা, ইন্টারভিউ্যুতে কথাবার্তা, ম্যানারস, জব মার্কেট ইত্যাদি সম্পর্কে শেখানো হয়। নানা দেশের মানুষের পাশাপাশি জবলেস কানাডিয়ানরাও এই কোর্সটিতে ভর্তি হয়। মা ভর্তি হতে চাচ্ছেনা, কিন্তু বাবা বুঝিয়েই যাচ্ছে।
পূর্বের পর্বগুলোর লিংক:
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (১) - প্রথমবার প্রবাসে প্রবেশের অনুভূতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (২) - জীবনের গল্প শুরু হলো এইতো!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৩) - সুখে থাকতে কিলায় ভূতে! (কুইজ বিজেতা ঘোষিত)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৪) - বাংলাদেশ ভার্সেস কানাডার দোকানপাট, এবং বেচাকেনার কালচার! (কুইজ সলভড)!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৫) - কেমন ছিল কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তি হবার প্রস্তুতি পর্ব?!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৬) - কানাডিয়ান স্কুলে ভর্তির ইন্টারভিউ অভিজ্ঞতা!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৭) - কানাডার স্কুল ভ্রমণ এবং দেশীয় মফস্বলের স্কুলের টুকরো স্মৃতি!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৮) - কানাডার প্রথম খারাপ অভিজ্ঞতা!
তুষার দেশে এক বাংলাদেশী কিশোরীর দিনরাত্রি - পর্ব (৯) - আবারো দুটিতে একসাথে, প্রেমের পথে... :`> (কুইজ সলভড)
পূর্বের সিরিজের লিংক: কানাডার স্কুলে একদিন এবং কানাডার স্কুলে একেকটি দিন
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ডিনার করতে করতে মা হুট করে বলল, "একটা বড় সমস্যা আছে! এটা তো আমি ভাবিইনি! না আমি যাচ্ছিনা কোনভাবেই। তুমিই যাও ট্রেনিং নিতে।"
আমি আর বাবা একে অপরের দিকে তাকালাম, তারপরে মায়ের দিকে তাকিয়ে বললাম: মাআআ আবার কি হলো?
মা: তোকে একা বাড়িতে রেখে যাব নাকি? যখন তখন এপার্টমেন্ট ম্যানেজার ঢুকে পড়তে পারে যে দেশে, সেখানে প্রশ্নই ওঠেনা।
বাবা: আহ! এখন তো বাড়িতে কোন কাজ নেই, উনি তো আর বেড়াতে আসবেন না। এটা কেমন চিন্তা?
মা: সে নাহয় না আসল, কিন্তু কোন সমস্যা হলে ও কাকে বলবে? একদম একা বাড়িতে বিদেশে আমি আমার মেয়েকে রেখে যাব না।
আমি: মাআআ আমি বাচ্চা না, আমার কোন অসুবিধা হবেনা। দেশেও তো একা থেকেছি মাঝেমাঝে তুমি আর বাবা বাইরে গেলে।আর একবার ছুটিতে মামার বাড়িতে থাকলাম না? সারাদিন একাই থাকতে হতো, মামা মামী তো অফিসে থাকত।
মা: দেশে আমরা কখনো তোমাকে ছেড়ে এত লম্বা সময় বাইরে যাইনি। কয়েক ঘন্টা খুব বেশি হলে, আর এটা তো সারাদিনের ব্যাপার। আর তোমার মামার বাড়িতে কাজের লোক ছিল। এখানে তো কেউ নেই।
আমি: কোন সমস্যা হবেনা মা। কয়েক ঘন্টা পারলে সারাদিনও আমি একা থাকতে পারব।
বাবা: আমার মেয়ে অতো ভীতু না, দেখলে না এডমিশনের দিন কিভাবে স্কুল কাউন্সিলরের সাথে গটগট করে কথা বলতে বলতে গেল স্কুল দেখতে? ও যেকোন পরিস্থিতি সামলাতে পারবে। তুমি ওকে চোখেচোখে রেখে ভীতু, তোমার ওপরে নির্ভরশীল করে দিচ্ছো।
এই কথার পরে মা চুপ মেরে গেল, কিছু না বলে খেতে লাগল।
আমি আর বাবা একে অপরের দিকে তাকিয়ে ইশারা করলাম। এর মানে হ্যাঁ নাকি না? কালকে কি মা ক্লাসে যাবে?
পরের দিন সকালে.......
ঘুম থেকে ভোরেই উঠে পড়লাম অভ্যাস মতো। উঠে খুটখাট শব্দ কানে এলো রান্নাঘর থেকে! গিয়ে দেখি মা রান্নাঘর পরিষ্কার করছে। খেয়াল করে দেখলাম কিচেন কাউন্টারটপে অনেক খাবার রাখা। বুঝলাম যে মা অনেক ভোরে উঠে তিন বেলার খাবার রান্না করে ফেলেছে! তার মানে মা যাচ্ছে! ইয়েসসস!
আমাকে দিকে চোখ পড়া মাত্রই লেকচার শুরু করে দিল। কি কি রান্না করেছে সব গরগর করে বলে গেল। যেন আমি খাবার দেখে সেটার নাম বুঝতে পারিনা! বললেন, সারাদিন যেন ঠিকমতো খাই। কেউ নক করলেও যেন দরজা না খুলি কোনভাবেই। কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে যেন তাদেরকে ফোন করি। ইত্যাদি ইত্যাদি!
আমি আচ্ছা আচ্ছা করে গেলাম সবকিছুতে।
একটু পরে মা আমার কাছে এলো, দেখি খুব সুন্দর একটা হলুদ সালোয়ার কামিজ পরেছে, হলুদ ফুলের মতো লাগছে! এসে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে, আমি বললাম কি হয়েছে?
মা: "না তোর বাবা বলছিল একটা হলুদ টিপ দিতে, আমি তো অনেকদিন টিপ পরিনা। তাই নিজের জন্যে কেনা হয়না। তোর একটা নেই?"
আমি হো হো করে হাসতে হাসতে বললাম, মাআআআ!!! হিহি হাহা। রোমান্টিক! নাও না! যেটা ইচ্ছা নাও।
মা লজ্জা পেয়ে গেল।
মনে মনে ভাবছি, রাতে এত ভাব দেখিয়ে এখন এমন আহ্লাদী মুডে ক্লাস করতে যাবার জন্যে রেডি হচ্ছে! আমি তো ভেবেছিলাম হয় যাবেনা, আর গেলেও বাবার ওপরে খুব রাগ দেখিয়ে গজগজ করতে করতে যাবে! হায়রে নারী জাতি! আমি নারী হয়েও কোনদিন নারী মন বুঝব না মনে হয়!
জায়গাটা বেশ দূরে ছিল, এজন্যে সকাল সকালই চলে গেল দুজনে। মা আমার দিকে তাকিয়ে বলল, "লক্ষ্মী হয়ে থেকো মা!"
আমি মাথা নেড়ে দরজা দিয়ে দিলাম। পুরো বাড়িতে একা। বেশ ভালোই লাগছে। স্বাধীন স্বাধীন! ফুর্তি মেজাজের কিছু গান শুনে ফেললাম। কয়েকঘন্টা পরে মনে হলো এতক্ষনে তো পৌঁছে যাবার কথা। না জানি ওখানে কি হচ্ছে! আমার মা টা যে কি করছে! সন্তান যখন প্রথম স্কুলে যায় বাবা মার মনে অনেক চিন্তা লেগে থাকে, আমারো তেমনি আমার মায়ের জন্যে চিন্তা লাগছে। আবার ভাবছি, বাবা তো আছে পাশে, সামলে নেবে মাকে।
সারাদিনে প্রচুর গান শুনে, ইউটিউবে বাংলা নাটক দেখে দিন বেশ আনন্দেই কাটিয়ে দিলাম। একটু পরে পরে ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলাম অবশ্য, কখন মা বাবা আসবে আর সারাদিনের গল্প শুনব!
সেই বিকেলে এলো দুজনে। দুজনকেই বেশ ক্লান্ত লাগছিল।
মা এসে ফ্রেশ না হয়েই হেলান দিয়ে দিল বিছানায়। পানি চাইল। আমি পানি এনে দিলাম।
বাবাকে জিজ্ঞেস করলাম, "কি কি হলো বাবা ওখানে?"
বাবা বলল, "এইতো গেলাম, ১২ টা পর্যন্ত এক টিচার লেকচার দিলেন, তারপরে লাঞ্চ ব্রেইক। এক ঘন্টার ব্রেইকের পরে বিকেলে পর্যন্ত আরেক টিচার ক্লাস করিয়ে গেলেন। একজন ইন্ডিয়ান ছেলের সাথে পরিচয় হলো, নাম সামির। আর একটা কানাডিয়ান ছেলে, ইয়াং, ২০/২২ বছর হবে, নাম হিউ, ওর সাথেও কিছু কথা হলো।"
এসব বলে বাবা টাওয়েল নিয়ে গোসল করতে চলে গেল।
মায়ের দিকে তাকিয়ে ভাবগতি বোঝার চেষ্টা করছি। শেষমেষ জিজ্ঞেস করেই ফেললাম, মা কি কি করলে আজ?
মা উঠে বসল, জাতজুত করে পা গুছিয়ে বসল, বুঝলাম এখন পুরো ইতিহাস বলবে। বলতে শুরু করল:
"প্রথম দিন বলে আমি আর তোর বাবা তো বেশ আগেই গেলাম। গিয়ে ক্লাস খুঁজে গিয়ে বসে থাকলাম। তেমন কেউ আসেনি তখনো। এক কোণায় এক চ্যাপ্টা চেহারার লোককে মাথা নিচু করে বসে থাকতে দেখলাম। চাইনিজ, জাপানিজ হবে হয়ত। ছোটখাট ক্লাস, প্রতি ডেস্কে কম্পিউটার রাখা। একটু পরে একজন কোকড়া চুলের বয়স্কা, কানাডিয়ান মহিলা এলেন। আর জানিসস টমেটোর মতো টকটকে গাল! মহিলা কম বয়সে মারাত্মক সুন্দরী ছিলেন নিশ্চই। এসেই আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "ওহ মাই গড! হাও বিউটিফুল! গরজিয়াস আউটফিট!"
আমি লজ্জায় পড়ে গেলাম, হেসে থ্যাংক ইউ বললাম।
তিনি আমাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন কোন দেশ থেকে এসেছি, তোর বাবা বলল বাংলাদেশ! তারপরে আরো কিছুক্ষন গল্প করলেন। ওদিকে বেশ কিছু মানুষ আসতে শুরু করেছে। ক্লাস ক্রমেই ভরে উঠল। তিনি এসে সবাইকে ইন্ট্রোডিউস করতে বললেন। আমি নাম বললাম, দেশের নাম বললাম। তোর বাবা বলল। ক্লাসে অনেক দেশের মানুষ। একটা মেয়ে কোরিয়ার, জাপানের ও চায়নার কয়েকটা ছেলে, মেক্সিকোর কিছু ছেলে মেয়ে, কানাডিয়ানও ছিল বেশ কয়েকজন। আর ইন্ডিয়ান আছে একটা, সে আমাদের কাছাকাছিই বসল। ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে অনেক গল্প করল।
আমি বললাম, "মা কোন বাংলাদেশী ছিল না?"
মা বলল, "নারে। তো একটু পরে ম্যাডাম লেকচার শুরু করলেন। নিজের ব্যাপারে অনেককিছু জানালেন। কানাডার জব মার্কেট নিয়ে কিসব ভ্যাজর ভ্যাজর করে গেলেন। গল্পের মতো করে পড়িয়ে গেলেন। মাঝেমাঝে দু একটা প্রশ্ন করছিলেন, তোর বাবা আর সেই ভারতীয় ছেলেটা ফটফট করে উত্তর দিয়ে গেল। তোর বাবার ব্রেইন কত ভালো তা তো জানিসই। লোকটা আসলেই জিনিয়াস। আমিও ওনার কথা অনেকটা বুঝতে পারলাম। অনেককিছু বুঝলামও না।
লাঞ্চ ব্রেইকের সময় হলে তিনি বিদায় নিয়ে চলে গেলেন। আমি আর তোর বাবা মিলে কাছের কফি শপে গিয়ে কফি, কেক, স্যান্ডউইচ খেলাম।
এরপরে আমার খারাপ সময় শুরু হলো। দ্বিতীয় ক্লাস করাতে এলো এক ইয়াং হোয়াইট লোক। লম্বা, নাকখাড়া। চোয়াল শক্ত করে রাখে সবসময়। মুখে হাসি নেই কোন। আমি প্রথমে ভাবলাম কানাডার, পরে জানলাম জার্মানের। আবারো ইন্ট্রোডাকশন পর্ব হলো। তারপরে তিনি ঝড়ের বেগে সবার সামনে একটা করে ওয়ার্কশিট রেখে দিলেন। তার লেকচার শুনে শুনে শিটের গ্যাপগুলো ফিল করতে হবে। তিনি খটমটে একসেন্টে কিসব বলে গেলেন আমি কিছুই বুঝলাম না। বোর্ডে দু একটা কি পয়েন্ট লিখলেন, গ্রাফ আঁকলেন, সবাই লিখছে ওয়ার্কশিটে। আমি কিছু বুঝতে পারছিনা, তাই এমনি এমনি বোর্ডের লেখাগুলো নোট করলাম বসে বসে। লেকচার শেষে বললেন, সবাই যেন ওয়ার্কশিট কমপ্লিট করে জমা দিয়ে যায়।
আমি তো কিছুই তুলতে পারিনি। তোর বাবার দেখি পুরোটা শেষ! ভাবলাম তোর বাবার কাছ থেকে লিখে দেই। আর বলিস না, দেখি তার আর আমার ভার্সন আলাদা! তারপরে তোর বাবা আমারটা পড়ে পড়ে উত্তর অনুমান করে বলতে লাগল আর আমি তুলতে লাগলাম। পুরোটা করতে পারিনি রে। সবাই জমা দিয়ে দিল, আমাকেও দিতে হলো। খুব খারাপ লাগছে। আমারটা পড়ে তিনি কি ভাববে বলতো?"
আমি বললাম, ধুর মা! মন খারাপ করো না তো! কিছু ভাবলেই বা তোমার কি?
মায়ের মুখ সাথেসাথে ঝলমল করে উঠল। "তা ঠিক বলেছিস। আর তো যাচ্ছিনা। দেখাও হবেনা। যা ভাবার ভাবুক!"
আমি বললাম, "সত্যিই আর যাবেনা?"
মা বলল, "একটানা বসে বসে শরীর ব্যাথা হয়ে গেছে। কানাডিয়ান মহিলাকে তো তাও সহ্য করা যায় কিন্তু ঐ জার্মান টিচারকে! নাহ! আবার যেতে হলে আমি তো মরেই যেতাম!"
"তোর বাবাকে কালকে লাঞ্চ দিয়ে দেব সাথে। বাইরের খাবার খেয়ে পেট ভরে না। এত লম্বা ক্লাস করতে এমনিতেও ক্লান্তি লাগে, ক্ষিদে পেটে থাকলে তো আরোই।"
এসব বলতে বলতে বাবা গোসল শেষ করে এসে পরল। মা বলল, "আমি যাই এখন, শাওয়ার নিয়ে আসি। এসেই তোদেরকে নাস্তা দিচ্ছি।"
বাবা আমাকে বলল, "কি রে, মায়ের সাথে কি কথা হলো?"
আমি বাবাকে বললাম, তোমার ক্লাসমেট কালকে থেকে আর যাচ্ছেনা। তার ভালো লাগেনি ওখানে। বাবার মুখের হাসি সাথে সাথে উধাও হয়ে গেল।
বলল, "কেন? ওখানে তো সবাই খুব ভালো। তোর মা খুব স্মার্টলি বসে ছিল। কোন জড়তা দেখলাম না।"
আমি বললাম, সেটা বাইরে বাইরে, কিন্তু আসলে জার্মান টিচারের কথা সে কিছুই বোঝেনি। কি ওয়ার্কশিট পূরণ করতে পারেনি বলল।
বাবা বলল, "সেটা কোন ব্যাপার? প্রথমদিনে নাও পারতে পারে, কয়েকদিন গেলেই ঠিক হয়ে যাবে। এটা খুব ভালো একটা সুযোগ, তোর মা কে বোঝা।"
আমি বললাম, না বাবা, আমার মা মনে চাপ নিয়ে, জোর করে কোন কাজ করুক সেটা আমি চাইনা। ভীষন স্যাড লাগছে মা কে। চোখমুখ কেমন শুকিয়ে গেছে একদিনেই! এমনিও দেশ ছাড়ার পর থেকে তার মনে শান্তি নেই, তারপরে এই জোর জবরদস্তি ঠিক হবেনা। এখন যে আগ্রহটা দেখাচ্ছ সেটা অনেক আগেও দেখাতে পারতে। এখন মা এতবছর ধরে একভাবে অভ্যস্ত হবার পরে তাকে জোর করার অধিকার কারোর নেই।
বাবা কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল, "হুম! ঠিক বলেছিস। তোর মা যে একদিন সাহস দেখালো তাতেই আমি খুশি। সবাই যা প্রশংসা করল তোর মায়ের! তার পোশাক, চেহারার দিকে হাঁ করে তাকিয়ে ছিল!"
বাবার বলার ধরণে আমি হিহি করে হেসে ফেললাম। কি মুগ্ধতা চোখেমুখে!
আহা, কি প্রেম দুজনের! একজন আরেকজনের ব্রেইনের প্রশংসা করে, আরেকজন সাহসের! লাভবার্ডস একেবারে!
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি সরি খুব ডিটেইলে লিখতে পারিনি তাদের অভিজ্ঞতার কথা। আমি শিওর সারাদিনে ছোট ছোট অনেক ঘটনাই ঘটেছিল, অনেক কথাই হয়েছিল যা আমার অজানাই থেকে যাবে। যেহেতু তাদের অভিজ্ঞতা, তাদের কাছ থেকে যতটা শুনেছি ততটুকুই বলতে পেরেছি।
পাঠকের জন্যে কুইজ: আপনাদের কি মনে হয়? আসলেই সেদিন মায়ের শেষ দিন ছিল ক্লাসে? হ্যাঁ নায়ের পক্ষে যুক্তি দেখান!
আজকাল পাঠকেরা কুইজে খুব একটা ভালো করছেন না, তাই আমি প্রথম প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিচ্ছি। সেদিন শেষ দিন ছিলনা। এখন অনুমান করুন কি হয়েছিল শেষমেষ?
৩৩ নাম্বার কমেন্টে কুইজের উত্তর দেওয়া আছে। কৌতুহলী পাঠক চেক করে নেবেন। ধন্যবাদ!

সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৫১