সহব্লগারেরা কানাডার ঈদ নিয়ে জানতে চান, বিশেষ করে কানাডা নিয়ে লেখা সিরিজে এই বিষয়টি নিয়ে লিখতে বলেন। এখন সিরিজটি যেদিকে যাচ্ছে সেখান থেকে হুট করে ঈদ আনা সম্ভব নয়। তাই অন্যভাবে লিখছি, এখানে আমি কানাডার কোন ঘটনার বয়ান করবনা, ব্যাস মনের এলোমেলো স্মৃতিগুলোকে লিখব। আশা করি পাঠকের কিছু কৌতুহল মিটবে। তবে হ্যাঁ, প্রবাসজীবন নিয়ে কৌতুহলী পাঠকদেরকে আগেই বলে দেই, এখানে কানাডার চেয়ে বেশি বাংলাদেশের কথা থাকবে। সেটা জেনেই পোষ্টটি সামনে পড়ার সিদ্ধান্ত নিন, তাহলে শেষে আশাহত হবেন না।

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
১) ঈদ ঈদ আমেজ!
দেশে ঈদ আসার বহুদিন আগে থেকেই আমরা জানি যে ঈদ আসছে। ঈদ শেষে স্বজনদের ছেড়ে আসতে খুব কষ্ট হতো। তাই এক ঈদ গেলে ক্যালেন্ডারের পাতায় চোখ থাকত পরের ঈদের জন্যে। স্কুল/কলেজ/অফিস বন্ধ হবে। নানা বাড়ি, দাদা বাড়ি সহ নানা আত্মীয়ের বাড়ি যাব। কাজিনদের সাথে দেখা হবে। স্কুলে টিচার ও বন্ধু বান্ধবরা ঈদের বেশ কমাস আগে থেকেই ঈদ নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিতেন। ঈদ আনন্দের অপেক্ষা যে কি তীব্র ছিল! ঈদ আসার অনেক আগে থেকেই প্রতিটি দিন ঈদ ঈদ মনে হতো।
কানাডায় ঈদ আসছে এটা বহুদিন আগে দূরের অনেক সময়ে কদিন আগেই জানতে পারি। কেননা পুরো পরিবেশটা মানে পাড়া প্রতিবেশি, ভার্সিটি, অফিস, দোকানপাট কোথাও ঈদ নিয়ে আলোচনা হয়না। আমি সাধারণত সামু ব্লগ ও দেশী পেপার পড়তে গিয়ে ঈদ আসছে সে ব্যাপারটা আবিষ্কার করি।
একবার হাইস্কুলে থাকতে পড়াশোনা নিয়ে খুব বিজি ছিলাম। এক্সামস চলছিল। ব্লগ, পেপার কিছু দেখিনি। হুট করে মা জানালো যে দুদিন পরে ঈদ! আমি অবাক হয়ে গেলাম! ওমা! একদমই মাথায় ছিলনা!
এমন অনেক সময়েই হয়। ঈদ সহ অন্য নানা উৎসবের ব্যাপারে হুটহাট জানা হয়। জানার পরেও তেমন কিছু করার থাকে না আসলে। পুরো পোষ্ট পড়লে এই কথাটির মানে বুঝবেন।
২) আত্মীয় স্বজন!
এটা এমন এক অভাব যার ভাব ভাষায় বোঝানো যায়না।
দেশে থাকতে স্বাভাবিক ভাবেই আত্মীয় স্বজনদের প্রচুর স্নেহ, মমতা, আদর, ভালোবাসা পেতাম। সবার সাথে দেখার হবার আনন্দটাই ঈদের প্রধান আনন্দ ছিল। যেসব আত্মীয়রা অনেক দূরের, তাদেরকেও ঈদের দিনে পরম আপন মনে হতো।
কানাডায় কোন আত্মীয় স্বজন নেই। বাবা মার সাথে থাকি। ঈদের দিনে দেশে ফোন করা হয়। মনে মনে ভাবি অনেককিছু বলব। কিন্তু
ফোনে কথা বলতে গেলে ঈদ মোবারক বলার পরে গলা আটকে যায়। কি বলব বুঝতে পারিনা। ভীষন কাছের মানুষদের হুট করে দূরের মানুষ মনে হয়। মনে হয় তাদেরকে মনখুলে এটা বলা যাবে না যে দেশ ও তাদের কথা ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছে। অতো দূরের আপনজনদের চিন্তায় ফেলা যাবেনা। বিদেশে আসার পর থেকে কোন রোগ শোক, আপস ডাউন, এক্সিডেন্টের ব্যাপারে দেশের কাউকে জানানো হয়নি। দেশে থাকলে একটু বৃষ্টিতে ভিজলেও খবর ফোনে ফোনে চলে যেত নানী দাদীর বাড়ি। তারা সাবধান করে দিতেন যেন জ্বর না বাঁধাই। গুরুজনেরা মাথার ওপরে ছাদ হয়ে থাকতেন, আর সমবয়সীরা দেয়াল! সেটা হারিয়ে ফেলা যে কি কষ্টের একজন মানুষের কাছে!
সবসময়েই এই ব্যাথাটা থাকে মনের কোণে, কিন্তু ঈদের দিন যেন হুট করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। পুরোন অনেক স্মৃতি ছবির মতো ব্ল্যাক এন্ড হোয়াটই স্লো মোশনে মনে চলতে থাকে। চোখ ভিজে ওঠে!
৩) শপিং!
দেশে ঈদের সবচেয়ে বড় আকর্ষণের একটি ছিল শপিং। আমাদের মেয়েদের মধ্যে বিশেষ করে কে সবচেয়ে সুন্দর জামাটা কিনবে, কে সবচেয়ে সুন্দর করে সাজবে এমন একটা প্রতিযোগিতা চলত। আত্মীয় স্বজন সহ নিজের জন্যে শপিং করার জন্যে ঈদের কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে প্রায় প্রতিদিনই শপিং এ যেতাম মায়ের সাথে। মজা হতো কি, ঈদের সময়ে এতসব নতুন জিনিস আসত বাজারে, যে যা লিস্ট করে নিয়ে যেতাম তা না কিনে অন্যকিছুই কিনে ফিরতাম। এমনও অনেকসময় হতো যে সব শপিং শেষ করার পরে মনে হতো, আরেহ! অমুক বান্ধবীর জন্যে কিছু কেনা হয়নি! বা, অমুক আত্মীয় বাদ গেছে! আবারো শপিং মলে দৌড়াও! মাঝেমাঝে ক্লান্তও হয়ে যেতাম মায়ের সাথে এ দোকান সে দোকান ঘুরতে ঘুরতে। কিন্তু তবুও ঈদ শপিং এর আনন্দই অন্যরকম ছিল! কেননা প্রতিমুহূর্তে ঈদ আসছে সেটা অনুভব করতে পারতাম!
কানাডায় ঈদ উপলক্ষ্যে বাসমতি রাইস, হালাল মিট, দই, সেমাই, খেঁজুর সহ নানা খাবার সেলে দেওয়া হয়। তবে দেশে যেমন নানান ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ, জুয়েলারি, জুতো আসে ঈদ উপলক্ষ্যে সেটা তো এখানে পাইনা। আর আত্মীয় স্বজনও নেই কোন, যে উপহার কিনব কারো জন্যে। সবমিলে ঈদের শপিং অলমোস্ট করাই হয়না। ব্যাস রান্নাঘরের জিনিসপত্র কেনা হয়। ভালোমন্দ খাওয়া হয় ঈদ উপলক্ষ্যে। এই জিনিসটির অভাব কানাডায় বোধ করিনি আল্লাহর রহমতে।
৪) সেলামী!
সেলামী হচ্ছে ছোটদের ছোট হবার সবচেয়ে বড় উপহার। সারাবছর "কবে বড় হব?" ভেবে মন খারাপ করলেও, ঈদে আমরা একদম ছোট কুটি বাচ্চা হয়ে যেতে চাইতাম। যেসব কাজিনদের ওপরে এক বছরের বড় হবার জন্যেও খবরদারী করা হতো, তাদেরকে হুট করে সমবয়সী মনে হতো।
এই সালামি নিয়ে আমার দুষ্টু, চালাক কাজিনের একটা দর্শন ছিল, "শোন, কাছের আত্মীয়দের কাছে চেয়ে লাভ নেই। দূরের আত্মীয় ও পাড়া প্রতিবেশীরা বেশি দেয়!" ওর কথাটা একদম ঠিক ছিল। ক্লোজ রিলেটিভরা পাঁচ দশ টাকা দিতেও দ্বিধা বোধ করতনা। কিন্তু দূরের আত্মীয়রা বিশেষ করে ফুপু, মামা, চাচার শ্বশুড়বাড়ির মানুষেরা স্ট্যাটাস রক্ষার্থে হাত ভরে দিতেন! আর পাড়া প্রতিবেশী বিশেষ করে যাদের একটু রেপুটেশন আছে সমাজে, তারাও অন্য বাড়ির বাচ্চাদের কম সেলামী দিতে পারতেন না। তো আমাদের প্রধান আয়ের উৎস ছিল তারা।
আমি লাজুক টাইপের ছিলাম, আর আমার কাজিন ছিল বেশরম। আমি দূরের আত্মীয়দের সামনে যেতে শাই ফিল করতাম, হুট করে প্রতিবেশীকে রাস্তায় সালাম করে ফেলাও অসম্ভব কিছু ছিল। কিন্তু আমার কাজিন এই কাজগুলো নরমালী করে যেত। ওর মতো বিশাল এমাউন্টের সেলামী আমি স্বপ্নেও আশা করতাম না!
অবশ্য আমাদের বাচ্চাদের কাছে টাকা থাকা মানা ছিল। সেলামীর টাকা যার যার বাবা মায়ের কাছে দিতে হতো। টাকা হাতে থাকলে বাচ্চারা বিগড়ে যেতে পারে সেজন্যে। কিন্তু তবুও সেই কে বেশি সেলামী পাবে প্রতিযোগিতায় ভাটা পড়ত না। আর বড়রাও সেলামী দিতে নাটুকে বাহানা করলেও মনে মনে বাচ্চাদের খুশি মুখ দেখে ভীষনই আনন্দিত হতেন।
কানাডাতেও আমি সেলামী পাই তবে সেটা শুধু দুজন মানুষের কাছ থেকে। আমার বাবা ও মা দেয়। ঈদের সকালে তাদেরকে সালাম করে দোয়া চাই, ঈদ মোবারক বলি, তখন তারা দুজনে আমাকে সেলামী দেন। সেই টাকা কখনো খরচ করা হয়না, একটা বাক্সে স্মৃতি হিসেবে বন্দি থাকে কানাডিয়ান ডলারগুলো। যত টাকাই দিক না কেন, ইউজালি দুজনের কাছ থেকে দুটো করে নোট পাই। বাক্সের নোট সংখ্যা দেখে সহজেই হিসেব করা যায় কানাডায় কতগুলো ঈদ না কাটার মতো করে কেটে গেল!
৫) পাড়া প্রতিবেশি এন্ড মিউজিক!
সব জায়গায় সবাইকে ঈদ মোবারক উইশ করাটা অবশ্যই মিস করি। রাস্তায় বেড়োলেই দেখতাম পরিচিত পাড়াত চাচা, খালাম্মারা ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। কোলাকুলি, হ্যান্ডশেক করছেন। এক গলি থেকে অন্য গলি যেতে যেতে কমপক্ষে ১০ জন মানুষকে ঈদ মোবারক বলা হয়ে যেত। আর তাদের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়ে মজার মজার সব খাবার উপভোগ করতাম। সেলামী পেতাম!
সেসবতো কমন ব্যাপার। মিউজিকের ব্যাপারটি বলি এবারে। ঈদের সময়ে নানা ধরণের বাংলা ও হিন্দি ঈদ বিষয়ক গান তৈরি হত মুভিগুলোতে। সেসব গান সিডির দোকান, মার্কেট, পাড়ার চায়ের দোকানে সমানে বাজত। আর বাড়িতেও আমরা গান বাজাতাম।
একবার আমি আর আমার কাজিনরা ঈদের আগের রাতে গান শুনছি বারান্দায় বসে। আর প্রচুর গল্পও চলছে। ফুল অল মাস্তি যাকে বলে। খেয়াল করলাম প্রতিবেশী বাড়িতেও একই গান বাজানো হচ্ছে! আর খুব হাই ভলিউমে। অন্য কাজিনরা অতো পাত্তা না দিলেও, আমাদের সবচেয়ে দুষ্টু কাজিনটার একটু সন্দেহ হলো (এক বান্দর আরেক বান্দরের মন বোঝে

এই খেলায় হার জিত নির্ধারিত হতো বাড়ির মুরুব্বীর মাধ্যমে। মানে কোন বাড়ির মুরুব্বী আগে কান ধরে, বকাবকি করে, জোরে চলা গান বন্ধ করবে তার ওপরে। ওপাশে হুট করে গান চলতে চলতে একেবারে বন্ধ হয়ে চিল্লাচিল্লির আওয়াজ আসলে আমরা উল্লাসে মেতে উঠতাম। আর আমাদের মুরুব্বী আগে আসলে ওরা একই কাজ করত।
একবার হয়েছে কি, ওদের বাড়ির মানুষ ওদেরকে বকে, বারান্দায় দাড়িয়ে আমাদের দিকে কড়া চোখে তাকালেন। রামধমক দিয়ে বললেন, "বাড়িতে বড় কেউ নাই? ফাজিল পোলাপান!" উল্লাস করব কি? আমরা জলদি করে দৌড়ে বারান্দার দরজা বন্ধ করে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়লাম। দরজার ওপাশ থেকেও বকা শোনা যাচ্ছিল! সেই চাচা এত রেগে ছিলেন! আমার এখন ঠিক মনে পড়ছে না, তবে সিলেটি অথবা চিটাগাং এর ভাষায় কি কি যেন বকেই যাচ্ছিলেন ননস্টপ! একটু থামলে আমরা দরজা খুলে উঁকি দিতাম, দেখতাম তখনো উনি ওনাদের বারান্দায় দাড়িয়ে আছেন! আবারো দরজা বন্ধ করে দিতাম, উনি শুরু হয়ে যেতেন! ওনার বকার ধরণে কাজিনরা হেসে কুটিপাটি! কোন দুষ্টুমির করার সময়ে বড়দের বকার ভয় থাকে, তবে একদমই বকাহীন দুষ্টুমিও জমত না আসলে। বকার মাঝেও বিনোদন ছিল! হাহাহা।
আমার বর্তমান প্রতিবেশীদের মধ্যে রয়েছেন হোয়াইট কানাডিয়ান ও কিছু কোরিয়ান পরিবার। তাদের সাথে সম্পর্কটা পথে দেখা হয়ে গেলে, মুচকি হেসে হাই হ্যালোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তারা ঈদ কি, কখন সেভাবে জানেননা। তাই ওপরের আন্তরিকতা ও মজাগুলো তাদের সাথে কল্পনাও করা সম্ভব না!
৬) তারাবাতি!
এটা এত্ত এত্ত মিস করি। ঈদের রাত থেকে পরের কদিন পর্যন্ত দাদুর বাড়ির ছাদে চলে যেতাম কাজিনরা মিলে। বড়রাও চলে আসত আমাদের পাহারা দেবার জন্যে। নীল আকাশের চেয়েও গভীর কালো আকাশ বেশী রূপময়! বিশাল এক ছাদ ছিল আমাদের। সেখানে গিয়ে কালো আকাশের রাজত্বে হানা দিয়ে তারাবাতি ফোটানো হতো।
পেছন থেকে বড়দের কন্টিনিউয়াস টোন: "সাবধানে সাবধানে! হাত পুড়িয়ো না!" আর আমার মা বলত, "হাত যদি পোড়ে!" পরের অংশটুকু এক্সপ্রেশনে বুঝিয়ে দিত। মানে হাত পুড়লে কানও হারাতে হবে! তখন না ভয়টা হাত পোড়ার ছিলনা, ব্যাস হাত পোড়ার পরে মায়ের বকা খেতে হবে সেই ভয়ে হাত কাঁপত!
আমি প্রথম কয়েকটি তারাবাতি ফোটাতে বেশ ভয় পেতাম। তারপরে ভয়টা কেটে যেত। একসাথে দু হাতে বেশ কয়েকটি তারাবাতি নিয়ে গোল গোল করে ঘুরিয়ে আলোর খেলা দেখাতাম।
বড়রা অবাক হয়ে যেত কেননা বাড়ির বিচ্ছু থুক্কু বাচ্চাদের মধ্যে আমার শান্তশিষ্ট মেয়ের রেপুটেশন ছিল। আমি যখন আগুন নিয়ে লিটারেলী খেলতাম সবাই চমকে যেত। খালু বলত, "এই মেয়ে বড় হয়ে গুন্ডি হবে!" আমি লজ্জা পেয়ে যেতাম। আর মায়ের চেহারায় দেখতাম গর্বের ভাব! যেন মেয়ে নামকরা গুন্ডি হলে সে ধন্য হয়ে যাবে!

ওপরের প্যারাটি লিখতে গিয়ে সেই সময়ের কথা মনে করে এত হাসলাম। হাসতে হাসতে কিবোর্ডে হাত ঘুরিয়েছি।
কানাডার ব্যাপারে কি বলব? অবশ্যই এসব করা যায়না। মিস করি তারাবাতির আলোর মায়া!
মোরাল অফ দ্যা স্টোরি: বিদেশের ঈদ আসলে ঈদ না।
দেশে থাকলে বড় হয়ে যাবার কারণে ওপরের অনেককিছু এখন করতে পারতাম না। তবে এতটাও বোরিংও হতো না ঈদ।
জীবন এমনই! কিছু পেতে কিছু হারাতে হয়। কানাডাও অনেককিছু দিয়েছে আমাকে। আবার অনেককিছুর অভাবও বোধ করি। যারা দেশে থাকেন তাদেরও একই অবস্থা বোধ করি। অনেকসময়েই হয়ত ভাবেন, বিদেশে থাকলে দেশের এই সেই সমস্যাগুলো ফেস করতে হতো না। সবমিলে পূর্ণতা ও শুন্যতার ভেলায় ভাসতে ভাসতে দিন, মাস, বছর কেটে যায়........
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
ওমা! লিখতে লিখতে কতকিছু লিখে ফেললাম! ভেবেছিলাম একটা প্যারা লিখব কিন্তু আমার মনে এত কথা চলতে থাকে ট্রেইনের মতো! আর এমন অনেক কথা আছে যা বাস্তবে কারো সাথে শেয়ার করা যায়না, তাই ব্লগে এসে প্রচুর বকবক করি। আশা করি পাঠকেরা বিরক্ত হন না!
এলোমেলো ডায়েরি কি এখানেই শেষ হবে না সিরিজ করব সেটা বুঝতে পারছিনা। পাঠকের কৌতুহল থাকলে বিষয়টি আরো ভেবে দেখব। যদি করি, তবে কানাডা ও দেশের নানা অভিজ্ঞতা ও বিষয় নিয়ে নিজের আবেগ, অনুভূতি, মতামত বয়ান করব।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৬