বাংলাদেশের এক প্রাচীন ঐতিহ্য মেলা! গবেষকদের মতে, "গ্রামীণ হাট" থেকেই এর উৎপত্তি। অতীতে রাজা-জমিদারেরা মেলার আয়োজন করতেন যা বিশেষত ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে হত। তবে এখন মেলা বাঙালির সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করেও আয়োজিত হয়। একটি পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশে গ্রাম ও শহর জুড়ে প্রতিবছর পাঁচ হাজারের অধিক মেলা অনুষ্ঠিত হয়! এতসব মেলার মধ্যে থেকে কিছু ব্যতিক্রমী মেলায় ঘুড়ে আসি চলুন!

১) সাকরাইন মেলা
এ মেলাটি বাংলা পৌষ মাসের শেষ দিনে এবং ইংরেজী মাসের জানুয়ারি ১৪ অথবা ১৫ তারিখে পুরান ঢাকায় পালিত হয়। এ দিনটিকে পৌষ সংক্রান্তি এবং সংক্ষেপে সক্রান্তিও বলা হয়ে থাকে। পুরান ঢাকার মানুষের ভাষায় যাকে বলা হয় সাকরাইন!
ঘুড়ি মেলা হিসেবেও পরিচিত এ মেলাটিতে মানুষজন তাদের ছাদে গিয়ে বা রাস্তায় ঘুড়ি ওড়ায়। ঘুড়ি কাটাকাটির প্রতিযোগিতা হয় এবং একে অন্যের ঘুড়ি কাটার চেষ্টা করে। ঢাকাইয়াদের ভাষায় ঘুড়িকে বলে ঘুড্ডি বা গুড্ডি। পুরান ঢাকার ঘরে ঘরে মুড়ির মোয়া, ভেজা বাখরখানি আর পিঠা বানানো হয় উৎসবটিকে কেন্দ্র করে।
রাতে আতশবাজির আলোয় উজ্জ্বলিত হয় পুরান ঢাকা। আগুন মুখে নিয়ে খেলাও দেখানো হয়। কেউ কেউ ফানুস ওড়ায় রাতের আকাশে। রংগিন ঘুড়ি ও আলোকছটায় স্বর্গপুরি হয়ে ওঠে উৎসবমুখর রাতের পুরান ঢাকা!
বাংলাদেশী সংস্কৃতির এই রংগিন উৎসবটিকে মৈত্রী ও একতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।
২) বউ মেলা
জ্বি হ্যা বউ মেলা! নাহ নাহ, এটিতে বই মেলার মতো বউ বিক্রি হয়না। বরং মেলায় শুধু নারীরা অংশগ্রহন করতে পারেন বলে এটিকে বউ মেলা বলা হয়ে থাকে। বউ মেলা হলেও ছোট বড় যেকোন বয়সের নারীকেই আসতে দেখা যায় মেলায় ক্রেতা ও বিক্রেতা হিসেবে। মেলায় যদিও কিছু পুরুষ বিক্রেতা দেখা যায়, তবে আগত দর্শনার্থীরা সবাই নারী। সকাল থেকে লোক সমাগম হতে হতে দুপুরে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে মেলার কোনা কোনা।
বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার পূর্বে ইছামতি নদীর কাছে মাঘ মাসের শেষ বুধবারে সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষ্যে পোড়াদহ মেলা সংঘটিত হতো। ২০০ বছর পুরনো ঐতিহ্যবাহী এই পোড়াদহ মেলায় শুধুমাত্র পুরুষেরাই যেতে পারতেন। নিরাপত্তা এবং বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় সে মেলায় নারীরা প্রবেশ করতে পারতেন না। এজন্যেই একসময়ে পোড়াদহ মেলার পরদিনই এই বউ মেলার প্রচলন শুরু হয় যাতে শুধুমাত্র নারীরাই প্রবেশাধিকার পান।
মেলায় চুড়ি, ফিতা, দুল, মালা, আংটিসহ সব ধরনের ইমিটেশন গয়না বিক্রি হয়। নারীদের সাথে সাথে তাদের শিশুরাও আসতে পারেন বিধায় শিশুদের খেলনাও বিক্রি হয় মেলায়। তবে মূলত নারীদের নানা প্রসাধনী সামগ্রী ও প্রয়োজনীয় গৃহস্থালীর জিনিসপত্র শোভা পায় মেলায়।
৩) দুবলা রাস মেলা
এই মেলাটি শুধু বাগেরহাটেরই নয়, পুরো বাংলাদেশের মধ্যেই অন্যতম বৃহৎ একটি মেলা। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনের পাশে ছোট্ট একটি দ্বীপ দুবলার চরে উদযাপিত হয় মেলাটি। বাংলা অগ্রহায়ন মাসে, পূর্নিমার সময়ে ৫ থেকে ৭ দিন ধরে মেলাটি হতে থাকে। বিদেশী পর্যটকদের জন্যে অন্যতম একটি আকর্ষন এই মেলাটি।
১৯২৩ সালে রাস পূর্ণিমায় প্রথমবার মেলাটি উদযাপিত হয়। ঠাকুর হরিচাঁদের অনুসারী হরি ভজন নামে এক হিন্দু সাধু এই মেলা শুরু করেছিলেন। এই সাধু চব্বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুন্দরবনে গাছের ফলমূল খেয়ে জীবনযাপন করেছিলেন। তার স্মরনেই মেলাটি প্রতি বছরে উদযাপিত হয়ে থাকে।
উৎসবটিকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার জেলে দুবলা এবং আশেপাশের দ্বীপে মাছ ধরেন। সমুদ্র থেকে মাছ ধরে জেলেরা এখানে শুঁটকি তৈরি করেন। এ এক অনন্য মেলা যার কানায় কানা অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ! জলে কুমির, ডাঙ্গায় বাঘ। বনের প্রতিটি রহস্য আর রোমাঞ্চঘেরা মুহূর্ত ভয় আর শিহরনে মাতিয়ে তোলে দর্শনার্থীদের!
মেলাকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার লোকের সমাগমে নীরব সুন্দরবন যেন লোকালয় হয়ে জেগে ওঠে। বনের বুক চিরে জালের মতো ছড়ানো নদীগুলোতে লঞ্চ, ট্রলার-ইঞ্জিন নৌকার অবিরাম চলে ভটভট আওয়াজ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অভাবনীয় রূপের পসরা সাজিয়ে বসে এ মেলাটি!
৪) সাগরদাঁড়ির মধুমেলা
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেশবপুরের কপোতাক্ষ নদের তীরের সাগরদাঁড়িতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিামাঞ্চলের সর্ববৃহৎ মধুমেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২৭ জানুয়ারি তে সপ্তাহব্যাপী মেলা শেষ হয়।
সপ্তাহজুড়ে লাখো মধুভক্ত এবং ভ্রমণার্থীর পদচারণায় মেলাঙ্গন সরব হয়ে ওঠে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মেলাটি চলতে থাকে। মেলার মাঠে মধুমঞ্চে মন্ত্রী, এমপি ও দেশবরেণ্য কবি সাহিত্যিকেরা মধুসূদনের জীবন ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অন্য নানা মেলার মতো যাত্রা, সার্কাস এবং নাগরদোলার ব্যবস্থা রাখা হয় মেলাটিতে। মেলায় স্টলগুলোতে শিশুদের খেলনা, নারীরদের সাজগোজের নানা সামগ্রী বিক্রি হয়। মিষ্টির দোকানগুলোয় ভাজা চানাচুর, মোয়া-মুড়ি, নানা জাতীয় মিষ্টির পাশাপাশি এক থেকে দেড় কেজি ওজনের রসগোল্লা বিক্রি হয়।
এই মেলাটিকে কেন্দ্র করে মধুমঞ্চের নানা গুনী ও জ্ঞানী মানুষের বক্তব্য আমাদের বাংলা সাহিত্যে মধুসূদনের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ভূমিকা পালন করে।
৫) প্রজাপতি মেলা:
২০১০ সাল থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে ধারাবাহিকভাবে এ মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। সাধারনত সকাল সাড়ে নয়টায় শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত চলতে থাকে মেলাটি।
মেলার দিনব্যাপী নানা আয়োজন হয়ে থাকে শুধুমাত্র প্রজাপতিকে কেন্দ্র করে। যার মধ্যে রয়েছে জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন, প্রজাপতি বিষয়ক ডকুমেন্টারি ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু কিশোরদের জন্যে প্রজাপতি বিষয়ক ছবি অঙ্কন প্রতিযোগিতা, প্রজাপতি ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা, নানান প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, অরিগামি প্রজাপতি, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড্ডয়ন, এবং পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান।
শুধু জাবিই নয়, দেশের নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতি বছরে পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা তৈরিতে নানা ধরণের মেলার আয়োজন করে থাকে।
৬) ঘোড়দৌড় মেলা
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় প্রতি বছর মাঘ মাসের রোববারে এ মেলাটি বসে। উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ী গ্রামে প্রায় অর্ধ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বসে মেলার স্টল। শতবর্ষেরও অধিক সময় ধরে চলে এসেছে মেলাটি।
এলাকার প্রখ্যাত আলেম হযরত মাওলানা মোফাজ্জলুর রহমান (রহঃ) এ মেলার প্রবর্তন করেন। কেননা তখন এলাকায় বিভিন্ন মেলা বসত যাতে জুয়া খেলাসহ আরো অনৈতিক কার্যকলাপে মানুষ জড়িয়ে পড়ত। অপসংস্কৃতি থেকে উদ্ধারের জন্য তিনি এই গ্রামে প্রতিবছর ধর্মীয় সভা ও ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা প্রচলন শুরু করেন।
মেলার প্রধান আকর্ষন ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা। এছাড়াও মেলার নানা স্টলে চারুকারু, কাঠ-বাঁশ, প্রসাধনী, বেত আসবাবপত্র, তৈজষপত্র, মিষ্টি মাছসহ রকমারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা।
আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজার হাজার লোক সমাগম হয় এই মেলায়। দক্ষিণ চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী এই মেলাটিকে ঘিরে প্রতি বছর এলাকায় উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়।
৭) জামাই মেলা!
বউ মেলা থাকবে আর জামাই মেলা থাকবে না তা কি করে হয়?

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বিনিরাইল গ্রামে এটি অনুষ্ঠিত হয়। মেলাটি প্রথম অনুষ্ঠিত হতো খুবই ক্ষুদ্র পরিসরে। অগ্রহায়ণের ধান কাটা শেষে পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবে আয়োজন করা হতো। স্থানীয়রা প্রায় ২৫০ বছর ধরে মেলার আয়োজন করে আসছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ মেলাটি একটি সার্বজনীন উৎসবে রূপ নিয়েছে।
তো এ মেলার নাম জামাই মেলা কেন? কারণ, এ মেলাকে ঘিরে এলাকার জামাইদের মধ্যে চলে এক মজার প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতা হচ্ছে, কোন জামাই সবচেয়ে বড় মাছটি কিনে শ্বশুরবাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। এটি এমনই সম্মানের অনেকের কাছে যে কোন কোন জামাই দরদাম ওঠাতে ওঠাতে লাখ টাকাও খরচ করে ফেলেন একটি মাছ কিনতে! মাছের মেলায় সামুদ্রিক চিতল, বাঘাড়, আইড়, বোয়াল, কালি বাউশ, পাবদা, গুলসা, গলদা চিংড়ি, বাইম, কাইকলা, রূপচাঁদা মাছের পাশাপাশি স্থান পায় নানা রকমের দেশি মাছও।
মেলার প্রধান আকর্ষন নানান জাতের মাছ এবং বিশেষ করে বড় মাছ। তবে মেলায় মাছ ছাড়াও আসবাবপত্র, খেলনা, মিষ্টি ইত্যাদির পসরাও বসে।
মাছের মেলাটি এ অঞ্চলের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে বহন করে চলেছে বহু বছর ধরে!
৮) বৈসাবি মেলা
বাংলা বছরের শেষ দুদিন এবং পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের উদ্দেশ্যে উদযাপিত মেলার নাম বৈসাবি। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রধান তিনটি আদিবাসী গোষ্ঠী; চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমাদের মধ্যে এ উৎসব যথাক্রমে বৈসুক, সাংগ্রাইন ও বিজু নামে পরিচিত। যাদের প্রথম অক্ষর নিয়েই ‘বৈ-সা-বি’ নামটি এসেছে।
মেলায় রাঙামাটি, বান্দরবান ও ভারত থেকে বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক দল নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। এছাড়াও শিশু কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিভিন্ন খেলাধুলার ও পাঁচন রান্না প্রতিযোগিতা, চাকমা নাটক, পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলোর জীবনধারার ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
পাহাড়ের ১০ ভাষাভাষি ১১টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি। এজন্যে মেলার সব স্টলে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, বম, চাক, পাংখোয়া, লুসাই, খুমী ও খিয়াং নৃ-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী কৃষ্টি, সংষ্কৃতি, খাবার, নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্যাদি ও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বেচাকেনা হয়।
ছেলেমেয়েরা সবাই মিলে প্রতিবেশীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ঘুরে ঘুরে নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকে। প্রতি বাড়িতে পাঁচন, পিঠা, পায়েস, সেমাই, শরবত ইত্যাদি নানা ধরণের খাবার ও পানীয়য়ের আয়োজন থাকে। ন্যূনতম পাঁচ পদের সবজির সংমিশ্রণে রান্না করা তরকারিকে পাঁচন বলা হয়। পাঁচ অন্ন থেকেই পাঁচন শব্দের উৎপত্তি।
জনপ্রিয় পানি খেলাটিও বৈসাবী মেলারই একটি অংশ। এ উৎসবে আদিবাসীরা সবাই সবার দিকে পানি ছুঁড়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন যেন গত বছরের সকল দুঃখ, পাপ ধুয়ে যায়।
মেলাটি ঘিরে পাহাড়ি ও বাঙালিসহ সব ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সম্প্রীতির মিলন মেলা তৈরী হয়। পাহাড়ি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য প্রদর্শন ও রক্ষায় এ মেলাটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
বাংলাদেশী সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছে মেলা। প্রতি জেলায় গ্রামে হয়ে থাকে নানা ধরনের মেলা। কিছু কিছু মেলা যেমন বৈশাখী মেলা, বই মেলা, বানিজ্য মেলা সবার মুখে মুখে ঘোরে। তবে এছাড়াও হাজার হাজার ব্যাতিক্রমধর্মী মেলা আমাদের সংস্কৃতিকে ধারন করে আসছে ঐতিহ্য ও গৌরবের প্রতীক হয়ে। নানা ধরনের সচেতনতা তৈরি করে যাচ্ছে জনসাধারনে। আজকে সেইসব মেলাকে জানা ও জানানোর জন্যেই এই লেখাটি লিখেছি। আশা করি পাঠকের ভালো লেগেছে।
সূত্র: অন্তর্জালের অলিগলি!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৪