অদম্য এ মেধাবী মেয়ে বাবা-মা এর একমাত্র সন্তান । পরিবারের ভরণপোষন চালাতে ছুটেছেন চাকুরীর পেছনে। রাজশাহী উন্নয়ন ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার, বাকৃবির পূবালী ব্যাঙ্ক শাখায় জুনিয়র অফিসার হিসেবে চাকুরী করেন। মাত্র কয়েকদিন আগে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রভাষক পদে যোগদান করেন রেক্সোনা ম্যাডাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের জুনিয়র শিক্ষকের আর কত টাকাই বা বেতন, পনের থেকে বিশ হাজার টাকা। তবুও সম্মান আছে। নিজের জ্ঞান অপরকে বিলিয়ে দেয়ার আনন্দ আছে। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। মাঝখান থেকে সর্বনাশ করল দূরারোগ্য ক্যান্সার। আস্তে আস্তে নিঃশেষ হয়ে আসছে রেক্সোনা ম্যাডামের জীবন।
বাবা বিজেএমসির অবসর প্রাপ্ত কর্মচারী মো: আব্দুল্লাহ মেয়েকে নিয়ে একাই লড়ছেন। মধ্যবিত্ত পরিবারের একটাই সমস্যা-মরে যাব, কিন্তু মান সম্মান হারিয়ে কারো কাছে হাত পাতবো না।
আমরা ম্যাডামের অসুখটার কথা জানতাম না। তিনি বাংলাদেশের মহাখালীতে এনআইডিসিএইচ এর এসোসিয়েট প্রফেসর ড. এ কে এম রাজ্জাকের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কয়েকদিন পরে তিনি জানান, এ রোগের চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। ততদিনে আটলাখ টাকা শেষ হয়ে গেছে।
একে ওকে ধরে টাকার ব্যবস্থা করে ১৮ই মে বাবা রোক্সোনা ম্যাডামকে ভারত নিয়ে যান। তামিলনাড়–ও ভেলরের খ্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় ক্যান্সারের সাথে লড়ছেন আমাদের রেক্সোনা ম্যাডাম। ডাক্তার বলেছে ২০ লাখ টাকা লাগবে। আমাদের ক্যাম্পাসের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী তাদের একদিনের বেতনের টাকা দিয়ে দিয়েছেন। অনেক শিক্ষার্থী তাদের বৃত্তির টাকা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ টাকা খুবই অল্প।
বাংলাদেশে কোটিপতির অভাব নাই। লক্ষ লক্ষ টাকা অনেকেই শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য ব্যায় করেন। সকল সুহৃদয়বান ও বিত্তবানদের কাছে ছাত্রসমাজের আমি আকুল মিনতি করছি-প্লিজ আমাদের রেক্সোনা ম্যাডামকে বাচাঁন..প্লিজ !!
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
রেক্সোনা আক্তার
হিসাব নং : ১২১-১০১-৩৭৩২৩৪
ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড
জিন্দাবাজার শাখা, সিলেট।
মোবাইল: +৯১৯৬২৯৩৮০০৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



