সেদিন রাতেই আমি একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। সেখানে ছবিসহ আপডেট জানানোর অনুরোধ ছিল। ব্লগারদের সুবিধার্থে আমি আজ সকালে ঐ জায়গাটাতে গিয়েছিলাম। কিছু ছবি তুলে এনেছি।
এটা বালুচরের কাঁচা রাস্তা। এ রাস্তা দিয়েই মাজারে যেতে হয়।
সাবধানে উঠতে হবে। খাড়া টিলা বেয়ে উঠা চাট্টিখানি কথা নয়। পা একটু এদিক সেদিক হলে ডান্ডি ফট্টাশ!
একটু উপরে উঠে দেখি এক হুজুর মাজার পাহারা দিচ্ছে। হুজুরকে দেখে ক্যামেরা লুকাতে হল।
একটু দূরেই সাদা চাঁদ তারকা সহ লাল নিশান উড়ছিল। বুঝলাম আমরা মাজারে এসে গেছি।
এ্ই হল সেই মাজার। ছোট্ট !! বোধহয় আওলিয়া (!) সাহেব বাচ্চা বয়সী ছিলেন।
কাছে গিয়ে আপনাদের জন্য ছবি তুলে নিয়ে আসলাম। আমার কাছে অতটা ভয়ংকর লাগে নাই। মোমবাতি আর কয়েকটা সিকি পয়সা পরে ছিল।
আরও কাছে গিয়ে টাশকি খেলাম। এটা নাকি লেন্টা (ন্যাংটা/উলঙ্গ) পীরের মাজার। আস্তাগফিরুল্লাহ। আমি নিশ্চিত এটা ভন্ডামী ছাড়া কিছুই না।
আরও কাছ থেকে দেখুন। ব্যাপারটা কতো হাস্যকর !!
এই হলো লেন্টা মাজারের আসল রুপ। আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় জ্বীনের ব্যাপারটাও ভু্য়া।
মাজার টিলা জয় করার পর লেখক।
এখান থেকে আমাদের ভার্সিটি দেখা যায়। সাদা বিল্ডিংটা আমার হল !!
যাই হোক শেষ পর্যন্ত মনে হল, টিলাটা দখল করতে এই এলাকার চেয়ারম্যান সাহেব এই মাজার ও জ্বীনের কাহিনী বানিয়েছেন। সিলেটের বেশিরভাগ লোক ধর্মভীরূ। এ সুযোগটাও কাজে লাগানো হচ্ছে। সভ্য সমাজে আমরা এটা চলতে দিতে পারি না। ধর্মকে পুজি করে যারা ফায়দা লুটতে চায় তাদেরকে শাস্তি দেয়া উচিত। ইসলাম শান্তির ধর্ম, এখানে ভন্ডামির যায়গা নেই। আমার এ পোষ্টটি যদি কোন সাংবাদিক/পুলিশ কিংবা সচেতন প্রভাবশালী কেউ পড়ে থাকেন, প্লিজ কিছু একটা করুন। ধন্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মে, ২০১২ রাত ১২:১৪