আম্মা যখন বেচে ছিলেন , তখন উনার একগাদা বান্ধবী ছিল।প্রতিবেশী সূত্রে বান্ধবী, ছেলের সহপাঠীর মা সূত্রে বান্ধবী, স্বামীর কলিগ এর বউ সূত্রে বান্ধবী ইত্যাদি। উনাদের সাথে দেখা হলে আম্মার কমন ডায়লগ-"আর বলবেন ভাবি,আমার ছেলে একটা পাগল!!" রাগ করলেও পরে বুঝতে পেরেছি সব মায়েরা তার সন্তানদের কে ভালবাসলে সেটা খুব কম প্রকাশ করেন। উনারা সন্তানকে শান্ত হলেও দুষ্ট বলে পরিচয় দিতেন স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। তা না হলে আমাদের ক্লাশের ফার্স্ট বয় অতনু-যে কি না সারাদিন বাসায় থাকত, মারের ভয়ে বিকালে খেলতেও আসত না,তার মাও বলত-"আমার ছেলেটা সবচেয়ে দুষ্টু।" ছোটবেলায় আমরাও একে অন্যের মা কে বেশি পছন্দ করতাম।"তোর মা তোকে বেশি আদর করে,আমার মা শুধু পড়ার জন্য বকাবকি করে" । "না না আমার মা আর বেশি বকাবকি করে।" এনিয়ে মারামারিো হয়েছে। হা হা হা....আজ বুঝি মা যদি আমাদের লাই দিয়ে মাথায় তুলতেন তাহলে কতবড় বিপদ হত।
যাই হোক দিন যায় দিন আসে। সময়ের ভেলায় ভেসে শৈশব, কৈশোর পাড়ি দেয়ে এসেছি।
একটা বান্ধবী সেদিন বলেছিল-"তুমি একটা পাগল !!" মনে মনে প্রীত হলাম। কারন মেয়েরা আদর করে ছেলেদের পাগল বলে।আহা কি মধু !! কয়েকদিন পর আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটিও তার আরেক দুঃসম্পর্কের বন্ধুর সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিল-"এ হচ্ছে আমার জিগরী দোস্ত, একটু পাগলা কিছিমের পোলা। কথা কইলে মজা পাইবা।" হাহহহ
বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পড়াশুনা বাদ দিয়ে আজাইরা কাজ ( সংস্কৃতি, সাহিত্য, সংগঠন, সাংবাদিকতা সিত্যাদি ) করার বদনাম আছে। পরীক্ষার সময় এক স্যার এক্সটারনাল ম্যাম কে আমাকে দেখিয়ে বললেন-"ছেলেটা এমনিতেই নম্র-ভদ্র, কিন্তু পড়াশুনায় পাগলামি করে।" সেদিন রাগ দেখিয়ে আদাজল খেয়ে সন্ধ্যায় পড়তে বসলাম। রাত দশটায় মাথায় গ্যাড়া উঠে গেল। শহর ঘুরতে মন চাইতেছিল। যেই কথা, সেই কাজ। সারা রাত রিকশা করে সারা শহর ঘুরলাম। রাতের বেলা অদ্ভুৎ সুন্দর সিলেট শহর।
আচ্ছা আমি কি সত্যি পাগল হয়ে যাচ্ছি? আমাকে কি শীঘ্রই মানসিক হাসপাতালে ভর্তী করানো হবে? আমার হাত-পা কি শিকল দিয়ে বাঁধা থাকবে? তখন কেউ কি আমাকে দেখতে আসবে? কেউ কি নিজ হাতে রান্না করে আমাকে খাইয়ে দিবে? আমি ইচ্ছে করে খেতে চাইব না। সে বলবে-নাও আর একটু!! কোন বন্ধুকি আমার মাথার চুল বিলি কেটে দিবে, কাধে হাত রাখবে? আর বলবে- "দোস্ত আজ সারারাত তোর সাথে গল্প করব। সকালে তোকে নিয়ে দূড়ে কোথাও ঘুরতে যাব।"...নাকি সবাই ভয় পেয়ে কাছে আসবে না?....ধুরর...কি সব ভাবছি আবোল তাবোল !!
আলোচিত ব্লগ
লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা
ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।
মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিল্টন সমাদ্দার
অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা... ...বাকিটুকু পড়ুন
জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না
নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা
সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১
নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন