somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কুপি নিয়া কথা !!

২৩ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কুপি নিয়া কতো স্মৃতী আমার ছোট বেলায়। আমার নানাবাড়ি গ্রামে ছিল। এখন বিদ্যুত এর লাইন আছে। তখন ছিল কুপি। রাত হলেই নানী আর মামারা মিলে কুপির আলোয় বসে কতো গল্প করতাম। একবার কুপির আগুনে নানার তোশক পুড়ে ফেলেছিলাম। তখন আম্মার সেই কি মাইর!! আজ ও ভুলতে পারি না।

গ্রাম বাংলার কুপিবাতি বা কুপি, এখন শুধুই স্মৃতি। গ্রাম বাংলার প্রতি গৃহের অতি প্রয়োজনীয় কৃপি আজ বিলীন হওয়ার পথে। গ্রামের অমাবশ্যার রাতে মিটি মিটি আলো জ্বালিয়ে মানুষের পথচলার স্মৃতি এখনো সৃষ্টিশীলদের শিহরিত করে।
একটা সময় ছিল যখন বাহারি ধরনের কুপিই ছিল মানুষের অন্ধকার নিবারণের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু কালের গহবরে কুপি বাতির স্থান দখল করে নিয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব, চার্জার, হ্যারিকেনসহ আরো অনেক কিছুই। ফলে ক্রমে বিলীন হয়ে যাচ্ছে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় এই নিদর্শনটিও। একটা সময় ছিল যখন গ্রাম বাংলার আপামর জনসাধারণের অন্ধকারে আলোক বর্তিতার কাজ করত কুপি। এই কুপিগুলোও ছিল বাহারি ডিজাউনের ও রংয়ের। কোনটি ছিল মাটির, কোনটি লোহার, কোনটি কাঁচের আবার কোনটি ছিল পিতলের তৈরী। নিজ নিজ সামর্থ অনুযায়ী লোকজন কুপি কিনে সেগুলো ব্যবহার করত। বাজারে সাধারণত দুই ধরণের কুপি পাওয়া যেত ছোট ও বড়। কুপি হতে বেশী আলো পাওয়ার জন্য ছোট কুপি গুলোর জন্য কাঠ, মাটি বা কাঁচের তৈরী গছা (ষ্ট্যান্ড) ব্যবহার করা হতো। এই গছা গুলোও ছিল বিভিন্ন ডিজাউনের। কিন্তু বর্তমানে গ্রাম বাংলায় বিদ্যুতের ছোঁয়ায় কুপির কদর হারিয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকলেও অবশিষ্ট্য সময় মানুষ ব্যবহার করেছে বিভিন্ন ধরণের চার্জার ও হ্যারিকেন। গ্রাম বাংলার আপামর লোকের কাছে কুপির কদর হারিয়ে গেলেও এখনও অনেক লোক আছেন যারা আঁকড়ে ধরে আছেন কুপির এই স্মৃতিকে। সৌখিন অনেকে এখনও কুপি ব্যবহার করেছেন আবার কেউ সযত্নে এটি সংরক্ষণ করেছেন আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় নিদর্শন হিসাবে। কুপির কদর ও ব্যবহার ক্রমে যে হারে লোপ পাচ্ছে এতে করে নিকট ভবিষ্যতে কুপি বাতির স্মৃতি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট্য থাকবে না বলে মনে করেছেন বিজ্ঞজনরা।
আবহমান গ্রাম বাংলার কুপি বাতির মতো অনেক ঐতিহ্যময় নিদর্শন আজ প্রযুক্তির কল্যাণে বিলীন হওয়ার পথে। কিন্তু এক সময় ছিল বাংলার প্রকৃত স্বরুপ ও ঐতিহ্য ছিল গ্রাম বাংলার এই নিদর্শন গুলো।

আজ বহু দিন পর একটা টং এ বসে চা খাচ্ছিলাম। সেখানে কুপি জালানো ছিল। নষ্টালজিয়া হয়ে গেলাম। বন্ধুরা কুপি নিয়ে আপনাদের নিশ্চই অনেক ঘটনা আছে। আমাদের সাথে শেয়ার করুন।

১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×