হারিয়ে ফেলেছি কাণ্ডজ্ঞান ,সব ভুলে বসে আছি ,কি দিয়ে শুরু করব ,কি লিখবো ,সে যে শাহবাগ ।সব ভুলিয়ে , গুলিয়ে দিয়েছ ।আমার মনে হচ্ছে ,আমি অনেক দূরে তোমাদের থেকে ,তবুও কাছে দূর । সব রাজাকারের ফাঁসি চাই , ফাঁসি চাই ।লিলু ভাই এর দু চোখ উপড়ে ফেলে ছিল গন কবরের সাক্ষ্য দিবে বলে ।লিলু ভাই নিজ হাতে লাশ টেনে গন কবর দিয়েছেন ।পাকিস্তানি সেনা ,আর রাজাকার মিলে তাকে এই কাজে বাধ্য করে ছিল ।তার পুরস্কার বাবত তার দু চোখ তুলে নিয়ে ছিল ওরা ।অন্ধ লিল ভাই রিলিফের জিনিষ কিছু এনে বিক্রি করতেন ,যুদ্ধের গল্প ,অত্যাচারের গল্প,পাশবিক নির্যাতনের গল্প ,শুনাতেন ।লিলু ভাইয়ের চেহারাটা আজও আমার মনে পরছে ।মোড়াইল , সরাইল স্টেট- বি, বাড়িয়া ।যত্র তত্র মাথার খুলি ,জুতা,ছেরা কাপড় ,জুদ্ধ বিধস্ত বাংলাদেশ ।বাবার সরকারি চাকরির নতুন পোস্টিং ।সরকারি কোয়াটার যেতে ব্রিটিশ স্থাপনায় তৈরি লাল অফিস ভবনটি ছিল মিলিটারি ক্যাম্প । কাঠ বাদাম গাছটিতে কত লোককে পিটিয়েছে বেঁধে ,ফাঁসি দিয়েছে ।মিশন স্কুল এর সামনে পার্কটিতে যে ট্র্যাঙ্ক টি রাখা হয়েছে ,সেটি ছিল পশ্চিম দক্ষিণ কোনায় দিঘিটির , বাঙ্কারের ভিতর ।ছেলে বেলায় ট্র্যাঙ্কটির ভিতর অনায়েশে যেতে পারতাম, কেননা কোন শেলের আঘাতে এর একটি কোনা ফাঁক হয়ে ছিল ।সেখান দিয়ে অনায়শে ভিতর বাহির হতে পারতাম ।ভিতরে এক ধরনের বারুদ পেতাম ,এগুলো এনে কাগজে পেঁচিয়ে আগুন ধরাতাম,আর বারুদ গুলো শো শো আওয়াজ তুলে দৌড় ।বৃষ্টি হলে দীঘির পাড়ে হাঁটলে ম্যাগাজিন ভর্তি গুলি,জাপানি ষ্টীল এর গুলি পিছনে লাল ফোটা দেওয়া ,কুড়িয়ে আনতাম ।তারপর গুলির মাথাটা খুলে বারুদ গুলো কাগজে মুড়ে আগুন দিতাম ,এই ছিল আমাদের খেলা ।লিলু ভাই আমাকে একটা ফুটবল এর ব্লাতার দিয়েছিল ,(চামড়া ছাড়া) শুধু ভিতরের প্লাস্টিক অংশ । লিলু ভাইকে ২ টাকা দিয়ে ছিলাম । সেই লিলু ভাইএর অন্ধতের পিছনের মানুষ গুলি ,রাজাকার ,আলবদর এর এই খুনি গুলো ,ওঁদের ফাঁসি চাই ,আবারো ফাঁসি চাই । শাহবাগ প্রজন্ম মঞ্চে ,লিলু ভাইয়ের বিচার চাই ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৮