লেখা আছে অশ্রুজলে~~~
গানটির এই লাইনগুলি আমার হৃদয়ের তন্ত্রীতে জাগিয়ে তোলে অতি আশ্চর্য্য সচিত্র কিছু দৃশ্যাবলী। চোখ বুজে আমি দেখতে পাই সারি সারি কোনো সোপান বেদীর গহ্বরে ঘুমিয়ে আছে লাখো লাখো বীর বাঙ্গালী, মুক্তিযোদ্ধারা। মুক্তির নেশার একদিন ঘর ছেড়েছিলো যারা, নিজ প্রান দিয়েছিলো বলিদান। চোখে ভাসে যে সারি সারি সোপান তার মধ্যে অন্যতম মেহেরপুর আম্রকাননের স্মৃতিসৌধের সোপানগুলি বা সে স্থানটিই বর্তমানে যা মুজিবনগর কমপ্লেক্স নামে পরিচিত! দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রাম ও আমাদের অর্জিত স্বাধীনতার সাথে এ জায়গাটি নাম ও ইতিহাস যেন বড় বেশী জড়িয়ে আছে।
~~কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা, বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙ্গা~~
~~তাঁরা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে~~
না তারা ফিরবেনা আর কখনও, কোনোদিন। তবে সেসব বীর বিপ্লবীরা বেঁচে রবে আমাদের প্রতি বাঙ্গালীর হৃদয়ে, স্মৃতিতে ও সংস্কৃতিতে। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ তাদেরই স্মরণে ও কোটি বাঙ্গালীর স্বাধীনতার গৌরবময় ইতিহাস ও স্মৃতির ধারক হিসেবে সগৌরবে দাঁড়িয়ে রয়েছে । মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের তেইশটি প্রস্তরখন্ডে মিশে আছে লাখো লাখো শহীদের আত্মদান, অব্যাক্ত বেদন। স্বজনহারানো প্রিয়জনদের অশ্রুজল মিশে আছে ঐ দেওয়ালের প্রতি ইটে ইটে। লেখা আছে পাকিস্থানী শাসন-শোষণের দুঃসহ স্মৃতি ও ইতিহাস।
বাঙ্গালীদের উপর পাকিস্তানী আর্মিদের নির্মম নির্যাতনের দৃশ্য।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষন।
১। মুজিবনগরের আদিনাম বৈদ্যনাথতলা। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করেছিলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখানেই গঠিত হয়েছিলো বাংলার প্রথম সরকার, যাদের পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধ পেয়েছিল সরকারি নির্দেশনা। এরপরে বৈদ্যনাথতলার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় মুজিবনগর। কুষ্টিয়ার অদূরে মেহেরপুর জেলা হতে মুজিবনগরের দূরত্ব খুব বেশী নয়, মাত্র ১৮ কিমি।
মেহেরপুরের সেই ঐতিহাসিক মুজিবনগরের পুরো এলাকা ঘুরে আসলে মনে হবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত ইতিহাস বুকে ধারণ করে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে এই মুজিবনগর।
যুদ্ধচলাকালীন সমসাময়িক চিত্র
যুদ্ধচলাকালীন দৃশ্য
যুদ্ধরত বাংলাদেশি সৈনিক
পাকিস্তানী আর্মিদের স্যারেন্ডারের দৃশ্য!!
~~ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে ভালোবেসে দিয়ে গেলো প্রাণ~~
২।জাতীয় স্মৃতিসৌধ
ওরা কি আসে সত্যিই চুপি চুপি, লাল লাল ঐ ইটের দেওয়ালের গলি ঘুঁচিতে? মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গকারী অসংখ্য শহীদদের স্মরণে তৈরী বিভিন্ন স্মৃতিসৌধ ও ভাস্কর্যের মধ্যে প্রধানতম সাভারের এই জাতীয় স্মৃতিসৌধ। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে, সাভারের নবীনগরে অবস্খিত এই স্মৃতিসৌধ। ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রথম বিজয় দিবসে যার ভিত্তি প্রস্তর স্খাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৫০ ফুট বা ৪৫ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট স্মৃতিসৌধটিতে রয়েছে ৭টি ফলক। সাতটি পর্যায়ের প্রথমটি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের প্রতীক। এরপর চুয়ান্ন, আটান্ন, বাষট্টি, ছেষট্টি ও উনসত্তরের গণ-অভ্যুথানের চিত্র ক্রমশঃ গিয়ে মিশেছে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জণে। সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্খপতি খ্যাতনামা স্খপতি সৈয়দ মঈনুল হোসেন। মূল স্মৃতিসৌধের বাম পাশে রয়েছে সৌধ চত্বর। যেখানে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নাম না জানা দশজন শহীদের সমাধি। ঘুমিয়ে আছে তারা এসকল সমাধির সোপানতলে। ~~হয়তোবা ইতিহাসে তোমাদের নাম লেখা রবেনা, বড় বড় লোকেদের ভীড়ে, জ্ঞানী আর গুণীদের আসরে, তোমাদের কথা কেউ কবেনা, তবু হে বিজয়ীবীর মুক্তিসেনা তোমাদের এ ঋণ, কোনোদিন শোধ হবেনা~~~
যুদ্ধের সময় পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী সাভার এলাকার গ্রাম থেকে অনেক বাঙালিকে বন্দী করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। নির্মম নির্যাতনের পর ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে নিচু জমিতে ফেলে রাখে তাদের লাশ। যুদ্ধের পর এই এলাকায় আবিষ্কৃত হয় বধ্যভূমি ও গণকবর। এই গণকবরগুলো স্মৃতিসৌধ কমপ্লেক্সের অংশ। স্বাধীন দেশের আকাঙ্খায় যে বীর বাঙ্গালীর বুকে রক্ত ঝরেছিলো লাল ইটগুলি তারই প্রতীক। অশ্রুর প্রতীক জলাশয়গুলি। পথের দু'পাশে রয়েছে গনকবর। আসে কি তারা চুপি চুপি এই বাংলার আকাশ বাতাসকে ভালোবেসে?
৩।বুদ্ধিজীবি স্মৃতিসৌধ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত হয় বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ।১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনী বাংলাদেশের অনেক অনেক বুদ্ধিজীবিদেরকে হত্যা করে তাদেরকে মিরপুরে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে তাদেরই স্মরণে বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত হয় স্মৃতিসৌধ ।ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত স্মৃতিসৌধটি নির্মান করেন স্থপতি মোস্তফা হারুন কুদ্দুস।
৪।রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ
১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনীর সদস্যদের হাতে অপহৃত হন অনেক বুদ্ধিজীবী। নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয় তাদেরকে। এই হত্যাযজ্ঞের অন্যতম কেন্দ্রস্থল ছিল ঢাকার রায়ের বাজার ইটখোলা। সেই সকল বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়েছে 'রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধটি। স্মৃতিসৌধটি নির্মাণ করেছেন দুই স্থপতি ফরিদউদ্দিন আহমেদ এবং মোহাম্মদ জামি আল শাফি। বিশাল দেয়ালের দুই পাশের ভাঙা অংশ বুদ্ধিজীবী হত্যা ঘটনার দুঃখ ও শোকের গভীরতা প্রকাশ করছে। জানালার ফ্রেমে ভেসে ওঠা আকাশ ও রক্তিম সূর্য নতুন দিনের বার্তা শোনায়। আর মূল স্তম্ভটি শোকের প্রতীক, শোকের কেন্দ্রবিন্দু। তোমাদের কথা রবে সাধারণ মানুষের ভীড়ে, মাঠে মাঠে কিষানের মুখে, ঘরে ঘরে কিষানীর বুকে, স্মৃতি বেদনার আঁখি নীড়ে~~~
৫।তেলিয়াপাড়া স্মৃতি সৌধ
তেলিয়াপাড়া। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার চা বাগান। ১৯৭১ সালের ৪ এপ্রিল এখানে চা বাগান ব্যবস্থাপকের বাংলোয় দেশকে স্বাধীন করার জন্য ঐতিহাসিক এক শপথ অনুষ্ঠিত হয়। শপথবাক্য পাঠ করান জেনারেল ওসমানী। এই বাংলোর পূর্ব-দক্ষিণ কোণে নির্মাণ করা হয়েছে ২, ৩ ও ৪নং সেক্টরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মরণে স্মৃতিসৌধ। বুলেটের আকৃতিতে তৈরি এই সৌধের সামনে দু’টি ফলকে অঙ্কিত রয়েছে শামসুর রাহমান’এর বিখ্যাত “স্বাধীনতা তুমি” কবিতা। চারিপাশের চা-বাগানের সবুজের বেষ্টনীতে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে তেলিয়াপাড়া স্মৃতি সৌধটি মুক্তিযু্দ্ধে আত্মত্যাগী বীরবাঙ্গালীদের আত্মত্যাগের স্মরণে।
~~তবুও শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি~~
~~আমরা জীবন দিয়ে হাসি মুখে লড়তে জানি~~
৬।হাজাংমাতা রশিমনি স্মৃতিসৌধ
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে এ অঞ্চল থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠীরাও পিছিয়ে ছিলেন না। আদিবাসী জনগোষ্ঠী একটি অংশের নেতৃত্ব দেন রশিমনি হাজং এবং তিনি যুদ্ধে আত্মত্যাগ করেন। জেলায় তাঁর স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ রয়েছে। তোমাদের এ ঋণ কোনোদিন শোধ হবেনা!!!
৭।কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতি সৌধ
কুল্লাপাথর শহীদ স্মৃতিসৌধ বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সমাধিস্থল। একটি ছোট টিলার উপরে এই সমাধিস্থলটি অবস্থিত। প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থাকার কারণে এ অঞ্চলটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অন্যতম লক্ষে পরিণত হয়েছিল ফলে অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে এ এলাকায় বেশি যুদ্ধ সংগঠিত হয় এবং বিপুল সংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুবরণ করেন। এখানে দুজন বীরবিক্রম, একজন বীরউত্তম, দুজন বীরপ্রতীক সহ মোট ৪৮ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সমাধি রয়েছে। এখানকার প্রতিটি কবরের উপরেই লেখা রয়েছে মুক্তিযোদ্ধার নাম এবং ঠিকানা। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধা আবদুল করিম এবং তার আত্নীয়রা মিলে তার পৈত্রিক ভিটায় মুক্তিযোদ্ধাদের লাশ সংগ্রহ করে দাফন করেন।
৮। চুকনগর স্মৃতিস্তম্ভ
১৯৭১ সালের ২০মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে পাক-হানাদার বাহিনী অসংখ্য নিরীহ মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে একই স্থানে এক সঙ্গে এত মানুষকে হত্যা করার এ ঘটনা ছিল ইতিহাসে সবচেয়ে ঘৃণ্যতম গণহত্যা।
সেদিন বেচেঁ থাকবার আশায় জীবনের নিরাপত্তার খোজে প্রায় দশ হাজার মানুষ একত্রিত হয়েছিল চুকনগরে ভারতীয় বর্ডার পাড়ি দেবার জন্য। সকাল ১০টা, এমনই সময় পাকিস্তানি আর্মির দুটি ট্রাক প্রায় এক প্লাটুন সৈন্য নিয়ে এসে দাড়ায় কাউতলাতে যার পরবর্তীতে নাম হয় পাটখোলা। তাদের সাথে ছিল এল এম জি এবং সেমি-অটোমেটিক রাইফেল যা দিয়ে তারা গুলি শুরু করে উপস্থিত জনতার উপরে। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানেই জনারন্যে মূখর একটি জনপদ পরিনত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে।
এই নৃশংসতার অন্যতম স্বাক্ষী হয়ে আছে খুলনা জেলার চুকনগরের হত্যাকান্ডটি।
৯। বীরশ্রষ্ঠ মোস্তাফা কামাল স্মৃতিসৌধ
১৯৭১ সালে ১৮ এপ্রিল আখাউড়ার দরুইন রণাঙ্গণে পাকি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে এক বীরত্বপূর্ণ সম্মুখ সমরে শহীদ হন সিপাহী মোস্তফা কামাল। পরে দরুইন গ্রামেই তাঁকে সমাহিত করা হয়। তাঁর সমাধিতে সরকার নির্মাণ করেছে এই স্মৃতিসৌধ।
১০।রংপুর কারমাইকেল কলেজ স্মৃতিসৌধ
রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষকদের এখানেই নির্মমভাবে হত্যা করেছিল পাকিস্তানিরা। জায়গাটি এখন দমদমা বধ্যভূমি হিসেবে পরিচিত।
১১।গোপালগন্জ স্মৃতিসৌধ
গোপালগন্জ জেলার জয়বাংলা পুকুরটি বধ্যভুমি হিসাবে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের এক নীরব সাক্ষী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক সেনারা এখানে হত্যা করে বহু মুক্তিকামী বাঙ্গালী ও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে। মৃত দেহগুলি এখানকার পুকুরে টেনে হিচড়ে ফেলে তারা পৈচাশিক উল্লাস প্রকাশ করতো। সেখানেই তৈরী হয়েছে এ গোপালগন্জ স্মৃতিসৌধ।
১২। কিশোরগন্জ স্মৃতিস্তম্ভ
১৯৭১ এর ১৩ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের বড়ইতলায় বর্তমানে যা শহীদনগর, এখানে পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসররা ৩৬৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে। এই ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ স্মরণে নির্মাণ করা হয় এ স্মৃতিসৌধ।
১৩। টাঙ্গাইল নাগরপুর স্মৃতিসৌধ
হাবিবুর রহমান । তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলায়। ১৯৭১ এ আব্দুল কাদের সিদ্দিকী'র নিয়ন্ত্রণাধীন ৯৭ কোম্পানী বিশিষ্ট প্রায় ১৫ হাজার যোদ্ধার এক অভিনব বাহিনীতে এই হাবিবুর রহমান ছিলেন অন্যতম একজন কোম্পানী কমান্ডার। স্বাধীনতার পর তাকে 'বীরবিক্রম' খেতাবে ভুষিত করা হয়। কাদেরিয়া বাহিনীর হয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন এরকম ১৮৯ জন মুক্তিযোদ্ধা স্বাধীনতাযুদ্ধের ন'মাসে শহীদ হন এবং আরো প্রায় ৫০০ জন আহত হন। তাদেরই স্মরণে নির্মিত হয়েছে টাঙ্গাইল নাগরপুর স্মৃতিসৌধ।
১৪।বরগুণা বামনা স্মৃতিস্তম্ভ
বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালে নবম সাব-সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত স্থানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্বরূপ একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়।
১৫।কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্মৃতিসৌধ
১৯৭১ সালের ১১ই নভেম্বর ৯জন বীর মুক্তিযোদ্ধার পবিত্র রক্তের রঞ্জিত হয় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাথদীঘী ইউনিয়েনর বেতিয়ারা গ্রাম। তাদের রক্তের বিনিময়ে স্থাপন করা হয় এই স্মৃতিসৌধ ।
১৬।বুড়িচং স্মৃতিসৌধ
সাড়ে ঊনিশ একর জায়গায় প্রতিষ্ঠিত বুড়িচং উপজেলা কমপ্লেক্স কুমিল্লা জেলার সর্ববৃহৎ উপজেলা কমপ্লেক্স। উপজেলা পর্যায়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ সরকারী অফিস এখানে অবস্থিত। বুড়িচং উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স এ রয়েছে অত্যন্ত সুদৃশ্য উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ। তাছাড়া বুড়িচং শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ এই কমপ্লেক্স এর অভ্যন্তরে অবস্থিত।
১৭। ধলই সীমান্ত স্মৃতিসৌধ
স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ দিন পর ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনীর উদ্যোগে সর্বপ্রথম মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই সীমান্ত চৌকির পাশে নির্মাণ করা হয় বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিফলক।
১৮।বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ
মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ৫নং সেক্টরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত হয়েছে বাঁশতলা স্মৃতিসৌধ। ১১জন মুক্তিযোদ্ধার কবর রয়েছে এখানে।
১৯। ঠাকুরগাঁও ‘অপরাজেয় ৭১’
সংগ্রামে, ত্যাগে, বীরত্বে অপরাজেয় সময় একাত্তর। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সেই উজ্জ্বল স্মৃতি যুগযুগ ধরে শুধু বাঙ্গালিকেই নয়, মুক্তিকামী সকলকেই প্রেরণা যোগায়। এ স্মৃতির উদ্দেশ্যে ঠাকুরগাঁওয়েও নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ‘অপরাজেয় ৭১’।
২০।শহীদ আফসার মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স
২৪ নভেম্বর শেরপুরের সূর্যদী গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের এদিনে শেরপুরের সূর্য্যদী গ্রাম ও আশপাশের এলাকা ভেসেছিল রক্তের বন্যায়। বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক মুক্তিযোদ্ধাসহ ৩৯ জন নিরীহ গ্রামবাসী। পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল প্রায় ২০০ ঘরবাড়ি। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আফসার আলীর বাড়িতে তার স্মরনে ‘শহীদ আফসার মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স’ নির্মিত হয়।
২১। তেরোশী স্মৃতিস্তম্ভ
১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর; বাংলাদেশ তখন বিজয় অর্জনের দ্বারপ্রান্তে; এমন সময়ে শিক্ষা-সংস্কৃতি ও প্রগতিশীল চেতনায় অগ্রগামী জনপদ মানিকগঞ্জের ‘তেরশ্রী’ আক্রান্ত হলো পাক বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদর দ্বারা। সেদিন কাকডাকা ভোরে রাজাকারদের সহায়তায় পাক বাহিনী ঘিরে ফেলে হিন্দু ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত তেরশ্রী গ্রাম। ঘরে ঘরে ঘুমন্ত মানুষের উপর নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে, আগুন জ্বালিয়ে ভস্ম করে দেয়া হয় পুরোটা গ্রাম। এসময় গ্রামের ৪৩ জনকে গুলি করে, আগুনে পুড়িয়ে, বেয়োনেটে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হয়। এতোগুলো নিরপরাধ মুক্তিকামী মানুষের লাশ আর তাজা রক্ত সেদিন স্তব্ধ করে দিয়েছিল তেরশ্রী জনপদকে। স্বাধীনতার ৪০ বছর পর ২০১২ সালে তেরশ্রীতে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ।
২২।ডলুরা শহীদ স্মৃতিসৌধ
সুনামগঞ্জ শহর থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে ডলুরা শহীদ স্মৃতিসৌধ এলাকা। মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে প্রাণ উৎসর্গকারী ৪৮ জন বীর শহীদকে এখানে সমাহিত করা হয়েছে।
২৩।পাঁচবিবির স্মৃতি সৌধ
জানা গেছে, ৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাঁচবিবি উপজেলার কৃতি সন্তানদের ভূমিকা অপরিসীম। এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বীর শহীদদের সমাধি। পাঁচবিবির স্মৃতি সৌধটি নির্মিত হয়েছে মহান বিজয়ের প্রথম প্রহরের রক্তিম সূর্যের রক্তলাল আভার ক্যানভাসে। যা আমাদেরকে স্মরন করিয়ে দিচ্ছে, ৭১ এ মাতৃভুমির মহান বিজয়ের লক্ষ্যে আত্ন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের বুকের তাজা রক্তের কথা, মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরের রক্তিম নতুন সুর্যোদয়ের আগমনকে।
২৪। যশোর মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি
যশোরের শার্শা উপজেলার কাশীপুর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখসহ আরও ছয়জন বীর মুক্তিযোদ্ধার সমাধি।
২৫। স্মৃতিসৌধ ‘অর্জন’।
মুক্তিযুদ্ধের বীরত্ব গাঁথার উদ্দেশে রংপুরের মডার্ন মোড়ে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিসৌধ ‘অর্জন’।
২৬। ‘রক্ত গৌরব’
রংপুর-বদরগঞ্জ রোডের নিসবেতগঞ্জের এই জায়গা থেকেই সাধারণ মানুষ তীর-ধনুক নিয়ে ঘেরাও করেছিলেন ক্যান্টনমেন্ট। এখানেই পাকিস্তানিরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল নিরীহ মানুষকে। তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশে এখানে নির্মিত হয়েছে স্মৃতিসৌধ ‘রক্ত গৌরব’।
২৭। নারুলিয়া গণকবর
মুক্তিযুদ্ধের সময় বগুড়ার নারুলীর এই জায়গাতেই হত্যা করা হয়েছিল অসংখ্য নিরীহ মানুষকে।
২৮। রাজাপুর বধ্যভূমি
১৯৭১ সালের ২৩ নভেম্বর ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানা পাকহানাদার মুক্ত দিবস। বরিশাল অঞ্চলের মধ্যে রাজাপুর থানা সর্বপ্রথম পাকহানাদার মুক্ত হয়। দেশীয় দোসরদের সহায়তায় পাক বাহিনী সাধারণ নীরিহ জনগনকে ধরে এনে বধ্যভূমি সংলগ্ন খালের ঘাটে বেধে গুলি করে খালে ফেলে দেয়।
২৯। ফয়েজাবাদ হিলস বধ্যভূমি স্মৃতি সৌধ
এই হিল ১৯৭১ সালে কুখ্যাত ছিল কারণ এখানে পাকবাহিনী স্বাধীনতা সমর্থকদের ধরে এনে হত্যা করে কবর দিতো। ২০০৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এখানে একটি সৌধ স্হাপন করা হয় ।
৩০। রাজশাহী স্মৃতি অম্লান
রাজশাহী শহরের শহীদ ক্যাপ্টেন বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর সড়কের দ্বীনে ভদ্রা এলাকায় এই স্মৃতিসৌধটি অবস্থিত। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ করে।
বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক হিসাবে এর নামকরণ করা হয়েছে 'অম্লান'। মূল স্তম্ভটি একটি গোলাকার বেদীর উপরে স্থাপিত।স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় প্রায় দু'লক্ষ নির্যাতিতা নারীর বেদনার প্রতীক হিসাবে এই পাথরের আচ্ছাদনকে দেখানো হয়েছে। বেদীর কেন্দ্রস্থল থেকে তিনটি স্তম্ভ সরলভাবে স্থাপিত। প্রতিটি স্তম্ভে ১০টি করে মোট ৩০টি ছিদ্র রয়েছে। এই ৩০টি ছিদ্রকে যুদ্ধে নিহত ৩০ লক্ষ মানুষের আত্মাহুতির প্রতীক হিসাবে রাখা হয়েছে।স্তম্ভের শীর্ষদেশে একটি গোলক রয়েছে। এই গোলক ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা প্রাপ্তিকে এবং স্বাধীনতার তীব্র উপস্থিতিকে সূর্যের প্রতীকে স্থাপন করা হয়েছে ।
৩১। বগুড়া বাবুর পুকুর বধ্যভুমি
বগুড়া থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে বাবুর পুকুর নামক স্থানে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ বিমূর্ত পাজর ইতিহাসের স্বাক্ষী হয়ে আছে ।পাক হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের শিকার ১৪ জন অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পবিত্র দেহাবশেষ রয়েছে এই ঐতিহাসিক স্থানে।
৩২। শ্রীমঙ্গল বধ্যভুমি স্মৃতিস্তম্ভ
১৯৭১ এ মুক্তিকামী বীর বাঙ্গালি ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রাণ হারান চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর কয়েকশ শ্রমিক। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ চলা কালে শহর ও শহরতলীর কলেজ রোড ভাড়াউড়া চা বাগান, বিডিআর ক্যাম্প সংলগ্ন সাধুবাবার গাছতলা , সিন্দুরখান, সবুজবাগ ও পুর্বাশা সহ কয়েক টি স্থানকে বধ্যভুমিতে পরিণত করে জায়গায় শত শত নীর অপরাধ মানুষকে হত্যা করেছিল দেশীয় রাজাকারদের সহায়তায় হানাদার বাহিনী।
৩৩। ময়মনসিংহ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক
৩৪। আখাউড়া গনকবর
আখাউড়া সেনারবাদি সীমান্তের গণকবর।আড়াইশ’ও অধিক শহীদেরা এই গণকবরটিতে শায়িত রয়েছেন।
৩৫।ফুলবাড়ি বধ্যভূমি
বগুড়ার ফুলবাড়ী এলাকার করতোয়া নদীর পাশের এই জায়গাতেই ১৯৭১ সালের ২৪ এপ্রিল পাক-হানাদারদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ৩৩ জন। তাঁদের স্মৃতিচিহ্নিত বধ্যভূমি এটি।
৩৬। জামালপুর স্ম্বতিসৌধ
৪ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের ১১নং সেক্টরের মূল কেন্দ্রবিন্দু ঐতিহাসিক জামালপুর জেলার কামালপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ এ ক্যাপ্টেন সালাহ উদ্দিনসহ মোট একশ’ ৯৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
৩৭। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ স্মৃতিসৌধ
স্মৃতিসৌধটির ফলকে লিখিত শহীদদের নাম।
৩৮। পাবনা ডেমরা স্মৃতিসৌধ
বৃহত্তর পাবনা অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের প্রবাহ মান সাক্ষী বড়াল, পদ্মা, যমুনা, করতোয়া। মুসলিম-হিন্দু অধ্যুষিত পাবনার ডেমরায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন অপারেশন এবং পাক হানাদারদের বীভৎস হত্যাকাণ্ডের কাহিনী এখনো মানুষের মুখে মুখে আলোচিত। '৭১-এর ১৪ মে ডেমরায় হানাদাররা নির্বিচারে নিরস্ত্র অগণিত বাঙালিকে হত্যা করে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ও স্মরণে স্থাপন করা হয়েছে স্মৃতিসৌধটি।
৩৯। মাগুরা কামান্না স্মৃতিসৌধ
১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর ভোররাতে মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার সীমান্তবর্তী কামান্না গ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দলের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হামলায় মাগুরার ২৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।শহীদদের স্মরণে মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর গ্রামে সরকারিভাবে একটি স্মৃতি সৌধ নির্মিত হয়েছে।
৪০। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সমাধি
মুক্তিযুদ্ধের মহান বীরত্বের স্মৃতিবিজড়িত খুলনার মাটিকে ধণ্য করে এখানে ঘুমিয়ে আছেন বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন। খুলনার রূপসা উপজেলার বাগমারা গ্রামে বাংলার এই বীর সন্তানের সমাধিসৌধ অবস্থিত।
৪১। গল্লামারী স্মৃতিস্তম্ভ
মুক্তিযুদ্ধের বেদনাবহ গণহত্যার স্মৃতিবিজড়িত আরেকটি স্থান গল্লামারী। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্নিকটে ময়ূর নদীর তীরে অবস্থিত এই গল্লামারী।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এই স্থানে হাজার হাজার নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তানী বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনী।ধারণা করা হয় ঐস্থানে আনুমানিক১৫০০০মানুষ হত্যা করা হয়।
যাঁরা স্বর্গগত তাঁরা এখনও জানেন স্বর্গের চেয়ে প্রিয় জন্মভূমি
এসো স্বদেশ ব্রতের মহা দীক্ষা লভি সেই মৃত্যুঞ্জয়ীদের চরণ চুমি।
সাতজন বীরশ্রেষ্ঠ
আজকের প্রজন্মরা জানুক ইতিহাসের বিপ্লবী সেসব মহানায়কদের আত্মত্যাগের কথা।শিখুক তারা দেশকে ভালোবাসতে । চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করুক এই বীর অগ্রজদেরকে।
মুক্তিযোদ্ধারা
যাঁরা জীর্ণ জাতির বুকে জাগালো আশা,
মৌল মলিন মুখে জোগালো ভাষা
আজি রক্ত কমলে গাঁথা মাল্যখানি
বিজয় লক্ষ্মী দেবে তাঁদেরই গলে।।
মুক্তিযুদ্ধের সকল আত্মত্যাগী প্রয়াত বীরবাঙ্গালীদের প্রতি জানাই ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা! শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি তাদেরকে আজ বিজয় দিবসের প্রারম্ভলগ্নে। তাদের জন্য ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার প্রকাশ শুধুমাত্র ৪১ বছরের স্বাধীনতার আমার এ লেখার ৪১ টি স্মৃতিসৌধ বা স্মৃতিস্তম্ভগুলিতেই সীমাব্দ্ধ নয়, তাদের জন্য গড়েছি আমরা চির স্মরণীয় স্মৃতিসৌধ আমাদের কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ের মনিকোঠায়।
[তথ্য ও ছবি নেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট ও বাঙ্গালি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধকোষ- মুনতাসীর মামুনের বই থেকে]
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৯