একটা পাখি হঠাৎ এসে বসলো হেসে
চন্চুতে তার বন-গোলাপের পালক ছিলো
দিঠির মাঝে একটু মিঠেল আলোক ছিলো
কিচির মিচির মিষ্টি সূরের ঝিলিক তুলে
দুষ্টু পাখি খানিক আমায় ডাকছিলোও....
তখন আমি অহন মনের গহন বনে মহন ছিলাম বিষন্নতায়
সেই পাখিটা ছেদ ঘটালো, ইড়িক চিড়িক চন্চলতায়
উদাস আমার হৃদয়-তারে টংকারেতে সূর জাগালো
ছোট্টপাখি বাস কোথা তোর? কোথায় থাকিস-
কোন দেশে তোর আবাস নিবাস?
কোথা হতে শিখলি এ গান? ঘুম ভাঙালি বিষন্নতার!
কৌতুকে তার দুচোখ জ্বলে উঠলো হেসে
নিভলো আবার সেথায় জমাট নীলবেদনা
ভালোবাসার কাঙালপনা.........
জোনাক হৃদয় রিমঝিম রিম বাদল তানে
নীরব মুখর মৌন গানে, জানিয়ে গেলো তাহার কথা
পিন্জরে সে দেবে ধরা-যে তাহারে চিনতে পারে??
মায়ার শেকল পরিয়ে যতন চুপটি করে
লুকিয়ে তা'রে রাখতে পারে.......
নাম না জানা অচিনপাখি, সাধ্য আছে
আমার কি তার?
কোন বাঁধনে বাঁধবো তোরে?
তার কেঁটেছে আমার খাঁচার বহুকালের পথের ধারে....
সেই পাখিটার চক্ষুজলে কিসের ভাষা!
অভয় দিয়ে বললো আমায়
একটুখানি জায়গা রেখো মনের কোনে জন্যে আমার-
ভালোবাসার বাঁধন জালে আটকে রেখো
গান শোনাবো ভোরের বেলা, ঘুম ভাঙাবো
ভালোবাসার ডাকে রোজ সকালে, ঘুম পাড়াবো রাত্রীবেলায়...
আর যাবোনা কোথাও আমি!!
খোলা খাঁচায় আবাস নেবো.......চিরদিনের.....
আমাদের অবাক করা শব্দ যাদুকর কবি শহিদুলভাইয়াকে আমার এ লেখাটা উৎসর্গ করছি। আমার জন্য লেখা তার একটা কবিতা থেকেই একটা লাইন আমাকে এ লেখাটা লিখিয়েছে!!!
যদিও এই পিচকাভাইয়াটার অসাধারণ কাব্য দক্ষতার কাছে আমি নস্যি তবুও ভালোবাসা দিয়ে তার জন্য রচনা করলাম আমার এ লেখাটা! লেখাটা অং বং হোক আর যাই হোক ভালোবাসাটা তো খাঁটি। তাই দিয়ে পড়ে নিও আমার এই লেখাটা পিচকি কবিভাইয়া!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৩