বাকলাই পাড়া নামের মাহাত্ব্য কি আমি জানিনা। তবে এর অর্থ যদি আমি বলি সুন্দর, শান্ত, নির্জন একটা শান্তির জনপদ তাহলে মনে হয় একটুও বেশী বলা হবে না। বগালেক, কেওকারাডং হয়ে তাজিংডং যাওয়ার পথে এই সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম বাকলাই পাড়া। এই রুটে চলা ট্রেকারদের অনেক পছন্দের একটি ক্যাম্পিং জোন এই বাকলাই। এখানাকার নিরাপত্তা সুবিধা হিসেবে আছে আর্মি ক্যাম্প, যা বারতি নিরাপত্তা প্রদান করে অভিযাত্রিদের। তবে বান্দরবানের পাহাড়ি গ্রামগুলো তথা গ্রামের মানুষগুলোকে কখনো আমার হুমকি স্বরূপ মনে হয়নি, বরঞ্চ ওদেরকে আমি সব সময় অতিথী পরায়ন হিসাবেই পেয়েছি। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চুড়া সাকা হাফং যাওয়ার সময় ভ্রমণ বাংলাদেশের সদস্য হিসাবে এই চমৎকার গ্রামটিতে একটি রাত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিলো, আর ঘটনাক্রমে সেদিন আকাশে ছিলো পূর্ণিমার চাঁদ।
(২) পাসিং পাড়া। কেওকারাডং থেকে নেমে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এই গ্রাম পাড়ি দিয়েই যেতে হয় বাকলাই পাড়ার দিকে।
(৩) পাহাড়ের কোলে দাড়িয়ে থাকা ছোট্ট এই গ্রামের নাম গ্রামের নাম জাদিপাই পাড়া। পাসিং পাড়া থেকে নেমে বাকলাইয়ের দিকে যাওয়ার সময় এই পাড়া থাকে হাতের ডানে।
(৪) সুংসাং পারা। এই গ্রামটা আরো অনেক নিচে এবং একটা বড় গ্রাম, এটা পড়বে হাতের বামে।
(৫) এটা সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্প, এক অসাধারণ সুন্দর জায়গা।
(৬/৭) অনেক চড়াই উৎরাই পাড়ি দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছিলো বাকলাই পাড়ার দিকে।
(৮) এক সময় আমাদের পানি শেষ হয়ে গেলে পাহাড়ের এমন কার্ণিস বেয়ে পড়া পানি সংগ্রহ করে খেতে হয়।
(৯) সেই ট্যুরে আমাদের দলনেতা ছিলেন তাহসিন ভাই (তাহসিন মামা)। তিনিই এক সময় ক্লান্ত হয়ে বসে পড়লেন, আর আমাদের অবস্থাটা নাইবা বললাম।
(১০) মাটিতে ফুটে থাকা এমন সুন্দর ফুলগুলো আমাদেরকে বাকলাই পাড়া যাওয়ার পথে পথে স্বাগত জানাচ্ছিল।
(১১) ভয়ঙ্কর এমন সুন্দর দেখে মাঝে মাঝে চমকেও উঠছিলাম।
(১২) বাকলাই পাড়ার উপকন্ঠে এসে এমন গয়ালগুলো দেখে ভড়কে গিয়েছিলাম, পরে দেখলাম না ওরা অত্যন্ত নিরিহ প্রাণী।
(১৩) বাকলাই পাড়া থেকে নিচের দিকে দাড়িয়ে থাকা পাহাড়গুলোতে এমনভাবেই মেঘগুলো আটকে ছিলো।
(১৪) বাকলাই পাড়া ঢোকার মুখে ছোট্ট এই ঝর্ণার নাম চুম্পি ঝর্ণা, এখানে শীতল জলে নামার পর সারাদিনের ভ্রমন ক্লান্তি নিমেষেই ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে দেয়।
(১৫) ওই তো বাকলাই পাড়া। আমাদের একটি রাতের বাসস্থান।
(১৬) বাকলাই পারায় একটা অন্য রকম গাছ।
(১৭) বাকলাই পাড়ার শিশুরা।
(১৮) পুর্ণিমার চাঁদতো সব জায়গায়ই একই রকম, বাকলাই পাড়ারটা একটু অন্য রকম কি ?
(১৯) সকাল হতেই পাহাড়ি জনপদের এই মানুষগুলো কাজে ঝাপিয়ে পড়ে।
(২০) চমৎকার এই গ্রামটিতে আরো একটা দিন থেকে যেতে পারলে মন্দ হতোনা, কিন্তু সময় স্বল্পতায়......
(২১) বাকলাই ছেড়ে এক সময় আমরা এগিয়ে চললাম আমাদের পরবর্তি গন্তব্যের উদ্দশ্যে। পিছনে রেখে গেলাম এক রাতের সুখ স্মৃতি। আবার কখনো বাকলাই পাড়ায় যাওয়া হবে কিনা জানিনা, তবে এক রাতের সেই স্মৃতি ক্ষণে ক্ষণে মনকে পুলকিত করবে এটা বলা যায় নিঃসন্দেহে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৫