somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেবল কারে চড়ে মনকামনায়.....

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


হিমালয় কন্যা নেপাল চমৎকার একটি দেশ। সবুজ মেঘে ঢাকা পাহাড় আর খড়স্রোতা পাহাড়ি নদী ও প্রকৃতি যাদের ভাল লাগে তাদের এ দেশ ভাল লাগবেই । পর্যটকরা এখানে এসে প্রকৃতির প্রেমে পড়ে যাবেন, কবিরা পাবেন কবিতার রসদ, আর সাধারণ মানুষদেরও এখানকার সবুজ দেখে চোখের জ্যোতি বাড়বে এটা নিঃসন্দেহেই বলা যায়। অন্য দিকে এ্যডভেঞ্চার প্রিয় পর্বতারোহীদের জন্য তো মাউন্ট এভারেস্ট আছেই। আর এই সবুজ নেপালের গোর্খা জেলায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত কয়েক শত বছরের প্রাচিন মনকামনা মন্দির। নামেই তো বুঝতে পারছেন মনের ইচ্ছে পূরণ হওয়ার মন্দির। আর ইচ্ছে পুরণের জন্য হাজার হাজার ভক্ত পর্যটক ঐ মন্দিরে সর্বদাই ভীর করে। আগে পাহাড় ট্রাক করে পুণ্যার্থীদের ওখানে যাওয়া ছিলো খুবই কষ্টসাধ্য, পরে সেখানে স্থাপন করা হয় কেবল কার.....চলুন কেবল কারে চড়ে আমরা দেকে আসি নেপালের মনকামনা মন্দিরটি।


(২) কাঠমুন্ডু থেকে পোখারা যাওয়ার পথে কেবল কারে মনোকামনায় ঢোকার প্রধান ফটক।


(৩)প্রধান ফটক দিয়া বেশ কিছুটা নিচে নেমে আসলে কেবল কারে ঢোকার প্রধান চত্বরে চলে আসা যায়।


(৪) এখান থেকেই কেবল কারে চড়তে হবে।


(৫) যাত্রা হলো শুরু।


(৬) নিচের পাহাড়ের ঢালে বাড়িঘরের ছাদ


(৭) নিচ দিয়ে বয়ে চলা খড়স্রোতা ত্রিশূলী নদী।


(৮/৯) ত্রিশূলী নদীর পাড় ধরে ফিতের মতো ছুটে চলা কাঠমুন্ডু-পোখারা হাইওয়ে।




(১০/১১) উপর থেকে জনপদ আর পাহাড়গুলো যেমন স্বপ্নীল দেখায়।




(১২/১৩) ওপারে পৌছে আবার কিছুটা পথ হেটে মনোকামনায় পৌছার আগে পথে পথে পুণ্যার্থিদের জন্য পুজা সামগ্রীর পশরা সাজিয়ে বসে আছে দোকানীরা।




(১৪) অবশেষে আমরা পৌছলাম মনোকামনায়।


(১৫) ক্ষণে ক্ষণে মনোকামনার এই শতবর্ষী ঘন্টাগুলো বেজে উঠছিলো।



(১৬) অন্যপাশের ঘন্টাগুলোকে পুজারীদের মনোকামনা সুতার জন্য চেনাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে।


(১৭) একজন সাধুবাবা কবুতরদের সেবা করছিলো।


(১৮) মনোকামনায় শুধু ছবির পোজই নয়, আমি কিছু মনোকামনা সেখানে করেছিলাম।


(১৯) মনোকামনার পেছনের অংশে দাড়িয়ে তোলা একটি ছবি।


(২০/২১) ফেরার পথে এই দোকানগুলো থেকে কিছু স্যুভেনির নিয়ে আসতে ভুল করিনি।




(২২) মনোকামনা থেকে ফেরার পথে কেবল কারে চড়ার বিশাল লাইন পড়ে যায়।


(২৩/২৪) এ পথেই আবার ফিরে চলা।




(২৫) ওই তো আমাদের কেবল কার থেকে নেমে যাওয়ার শেষ ঠিকানা।


(২৬) ফিরে আসার আগে যে পথে মনোকামনা মন্দিরে গিয়েছিলাম সে পথের শেষ ক্লিক।

সেখানে গিয়ে করা আমার মনের কামনা পুরণ হয়নি, তাতে কি? প্রকৃতির কোলে পাহাড়ের উপর দাড়িয়ে থাকা শতবর্ষী এই মনোকামনা মন্দিরের আমি প্রেমে পড়ে গেছি এ কথা বলতে পারি নির্ধিদায়........
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৪
১১৩ বার পঠিত
১৪টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আজি ঝর ঝর মুখর বাদর দিনে

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৪৬






হুম মনটা ভাল হয়ে গেলো সকাল থেকেই । বরষায় একটা আলাদা মেজাজ আছে , বর্ষার ঐ রাগের নামটা কি যেন ! যৌবনে প্রেমিকার গায়ে গাঁ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রিয় কন্যা আমার- ৭৬

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৯ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৯



ফারাজা তাবাসসুম খান,
প্রিয় কন্যা আমার। কলিজা আমার। তুমি গভীর ঘুমে ছিলে, তাই তোমাকে জাগাইনি। তবে আলতো করে তোমার কপালে একটা চুমু খেয়েছি। তোমার পাশে তোমার মা শুয়েছিলো, সে-ও তোমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাভার উদ্দেশ্যে চ্যাটজিপিটি

লিখেছেন জটিল ভাই, ২৯ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯

♦أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشِّيْطَانِ الرَّجِيْمِ (বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্'র নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি)
♦بِسْمِ ٱللَّٰهِ ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ (পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহ্'র নামে)
♦ٱلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ (আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক)


(ছবি ChatGPT হতে)

কাভা... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ইসলামী ছাত্রী সংস্থা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩২

প্রকাশ্যে এল ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা

ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা প্রকাশ্যে এসেছেন। নারী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কয়েকটি দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার মাধ্যমে প্রকাশ্যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ১৮ নম্বর বাসা পর্ব: ৭ (ভূতুরে ঘটনা)

লিখেছেন অপলক , ২৯ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৩৭

২০১৪ সালের ২৪ তারিখ আমার মেয়ে জন্ম নেয়। ওর জন্মে সময় আমার মা বাবা ছিল। তারা চলে যাবার দিনে শাশুড়ি, শালা আর এক শালি আমার বাসায় আসে। সবকিছু ঠিক ঠাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×