ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং থেকে যাচ্ছিলাম এশিয়ার সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মৌলিনং দেখতে, শিলং থেকে যার দুরত্ব ৮০ কিলোমিটার। শিলং এর গড় উচ্চতা যতটুকু জানি ৫০০০ফিট। আর মৌলিনং এর উচ্চতা আনুমানিক ১০০০ফিটের বেশী নয়। তো শিলং থেকে ট্যেক্সি নিয়ে আঁকাবাঁকা ভয়ঙ্কর পাহাড়ি পথ ধরে একটানা নেমে আসতে আসতে যখন উচ্চতার তারতম্যের জন্য বাতাসের চাপে কান ব্যাথা শুরু হয়ে গেলো তখনি ড্রাইভার গাড়ি থামিয়ে দিলো রিওয়াই গ্রামে। বললো সামনে একটা ব্রীজ আছে একটু হেটে দেখে আসুন। ড্রাইভার বাংলা বলতে পারলেও ওর সব কথা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। ভাবলাম কি আবার ব্রীজ দেখতে যাবো। শিলং এ ঠান্ডা থাকলেও এখলানে বাংলাদেশের মতো প্রচন্ড গরম। অনিচ্ছা সত্বেও প্রথমে সিড়ি ও পরে পাথুরে পাচিল বেয়ে নেমে গেলাম। আর ঐ শেকড় ব্রীজ দেখে ভাবলাম, না দেখলে বড় মিস হয়ে যেতো। আসুন দেখি আমার ক্যামেরায় ঐ শেকড় ব্রীজ।
(২) রিওয়াই গ্রামের কার পার্কিং, এখানেই ড্রাইভার আমাদের নামিয়ে দিয়েছিলো শেকড় ব্রীজ দেখার জন্য।
(৩/৪) ট্যাক্সি থেকে নেমেই এমন ফুটপাতের পসার দেখে আমরা চমৎকৃত হলাম।
(৫) ছোট ছোট কুটিরের সামনে দিয়ে আমরা পরিচ্ছন্ন লন ধরে সামনে এগিয়ে চললাম।
(৬) লোকেশন ধরে আমরা এগিয়ে চললাম।
(৭/৮) প্রথমে সিড়ি ও পরে পাথুরে পথ ধরে আমরা আরো এগিয়ে গেলাম।
(৯) এক সময় চলে এলাম আমাদের কাংখিত শেকড় ব্রীজে। শেকড় ব্রীজ দেখে আমরা সত্যিই চমৎকৃত। কয়েকটা অশথ্থ মিলে কিভাবে যেন তৈরী করে ফেলেছে চমৎকার একটা ব্রীজ। পরে চলাচলের সুবিধার জন্য মানুষ ব্রীজের উপর কিছু পাথর সেট করে নিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নীচ দিয়ে বয়ে চলে খড়স্রোতা জলধারা, এখনও অবশ্য এখানে ক্ষীণ জলধারা বহমান।
(১০) ব্রীজের উপর আমি ও আমার এক বন্ধু স্থানীয় এক লোকের সাথে ছবিটা তুলেছি।
(১১) অনেক লোকই আসে এখানে পিকনিক করতে।
(১২/১৩) নীচে নেমে ব্রীজের দুইপাশ থেকে তোলা দুইটি ছবি।
(১৪/১৫) এক সময় আবার পাথুরে পাচিল আর সিড়িগুলো বেয়ে উপরে উঠে আসতে গরমে আমাদের আমাদের অবস্থা শোচনীয়। তাই প্রথমেই হানা দিলাম এই পাণীয়ের দোকানে।
(১৬) তবে সব চেয়ে মজা পেয়েছিলাম এই টক মিষ্টি স্বাদের তুত ফল খেয়ে। পাতায় মোড়ানো এই ফলগুলো হাতে নিয়ে খেতে খেতে চলে এসেছিলাম আমাদের ট্যাক্সিতে। আর রওয়ানা হয়ে গিয়েছিলাম আমাদের পরবর্তি গন্তব্য এশিয়ার ক্লিন ভিলেজ খ্যাত মৌলিনং এর পথে।