বাংলাদেশের সব চেয়ে উঁচু গ্রাম পাসিং পাড়া [ পাসিং পাড়া নিয়ে আমার একটা পোষ্ট আছে "মেঘের উপর বাড়ি"] । পার হয়ে খাড়া পথ নেমে গেছে জাদিপাই পাড়া । পথটা এতো বেশী খাড়া যে, কোন কোন অংশে পা ফেলা সত্যিই কঠিন । ৩০/৪০ মিনিট এই পথে হাটলেই জাদিপাই পাড়া । জাদিপাই পাড়া থেকে আরো প্রায় ৩০ মিনিট হাটলেই আপনি পৌছে যাবেন জাদিপাই ঝর্ণাতে । তবে জাদিপাই পাড়ার পর থেকে পথ আর তত বিপদজনক নয় অনেকটা পথই একেবারে সমতল কিন্তু ঝর্ণার কাছের অংশটা খুবই বিপদজনক পিচ্ছিল আর খাড়া ।
পাসিংপাড়ার উপর থেকে জাদিপাই পাড়াকে দেখতে এমনই, যেন সবুজের কোলে ঘুমিয়ে থাকা একটা ছোট্ট গ্রাম ।
জাদিপাই পাড়ায় ঢোকার মুখে বাশের গেইট ।
এমন খাড়া ঢাল বেয়ে শুধুই নেমে যাওয়া........
এক সময় পৌছে গেলাম জাদিপাই পাড়া ।
জাদিপাই এর শিশু ......
জাদিপাই পাড়া থেকে নেমে অনেকটা পথ সমতল, আর এই সমতল ভুমির পথটা বর্ষাকালীন লতাগুল্মে প্রায় ঢাকা ।
এবার আর একটু নামলেই জাদিপাই ঝর্ণা, এখানে দাড়িয়ে পাহাড়ের উপর ঐ দেখা যায় জাদিপাই পাড়াটা ।
দূর থেকে দেখা আমাদের ফেলে আসা পথ, সবুজের মাঝে ঐ লালচে খাড়া ঢাল বেয়েই আমরা নেমে এসেছি ।
এখান থেকেই আমাদের কানে আসছিল পানি পতনের মিষ্টি মধুর রিনিঝিনি আওয়াজ, তবে এই শেষের পথটুকু খুবই পিচ্ছিল আর বিপদজনক ও বটে ।
এক সময় সবুজ গাছ গাছালির ফাঁক দিয়ে আমাদের দৃষ্টি পড়লো ঐ ঝর্ণায়, মুহুর্তেই সব পথকষ্ট মিলিয়ে গেল হাওয়ায় ।
মিষ্টি মধুর কলকলানিতে পাথরের ধাপ বেয়ে নেমে অসম্ভব সুন্দর এই ঝর্ণার নামই জাদিপাই ঝর্ণা........
ঝর্ণার নেমে আসা পানির পুকুরে ঝর্ণার মতোই উচ্ছল আমরা.....
এক সময় আমরা আবার ফিরে আসি জাদিপাই পাড়ায়, আর ওখান থেকে যাবো পাসিং পাড়া.......
নিচ থেকে উঠার পথে এমনি দেখতে জাদিপাই পাড়া ।
খেলায় রত জাদিপাইয়ের শিশুরা ।
বন্যেরা বনে আর শিশুরা........
এক সময় ফিরে এলাম আমাদের পাসিং পাড়ায় ।