সীতাকুণ্ড অপরূপ প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের লীলাভূমি । এ এলাকাকে হিন্দুদের বড় তীর্থস্থান বলাই ভালো । এখানের সর্বোচ্চ পাহাড় চুড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির । আর অন্যান্য আরো রয়েছে বড়বাজার পূজা মন্ডপ, ক্রমধেশ্বরী কালী মন্দির, ভোলানন্দ গিরি সেবাশ্রম, কাছারী বাড়ী, শনি ঠাকুর বাড়ী, প্রেমতলা, শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রাহ্মচারী সেবাশ্রম, শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম, গিরিশ ধর্মশালা, দোল চত্বর, এন,জি,সাহা তীর্থযাত্রী নিবাস, তীর্থ গুরু মোহন্ত আস্তানা, বিবেকানন্দ স্মৃতি পঞ্চবটি, জগন্নাথ আশ্রম, শ্রীকৃষ্ণ মন্দির, মহাশ্মশানভবানী মন্দির, স্বয়ম্ভুনাথ মন্দিগয়াক্ষেত্, জগন্নাথ মন্দির, বিরুপাক্ষ মন্দির, পাতালপুরী, অন্নপূর্ণা মন্দির ইত্যাদি
চন্দ্রনাথ পাহাড়ে চড়ার পূর্বে সুন্দর ফুলগুলো দেখে একবার ক্লিক না করে পারলাম না ।
শুরু হলো আমাদের মূল চন্দ্রনাথ অভিযান......
প্রথম কিছুদূর উঠেই ডান পাশে বেশ কয়েকটি মন্দির,,,,,,,,,
আমাদের হেটে চলার পথটা এখানে বেশ মশৃণ, সম্ভবত কার্পেটিং করার জন্য বক্স কেটে রাখা হয়েছে, এই এলাকা বিভিন্ন ধরনের গাছ, বুনফুল এবং গুল্মলতায় পরিপূর্ণ হলেও আমরা শুকনো মৌসুমে যাওয়ার করণে সবই ছিল যেন নিষ্প্রাণ ।
মন্দাকিনী ঝর্ণাঃ মন্দির গুলো হতে চন্দ্রনাথ যাওয়ার পথে আনুমানিক ১৩/১৪শ ফুট সামনে গেলে চোখে পড়বে চন্দ্রনাথ পর্বতের মধ্য হতে অঝোড় ধারায় অজস্র জলধারা কুলকুল রবে নেমে আসছে মন্দাকিনীর এই স্রোতটি । যদিও শুকনো মৌসুমে এর ধারা অত্যন্ত ক্ষীন হয়ে পরে তথাপিও এই পানীয় আপনাকে শীতল করবে ইহার নিশ্চয়তা ১০০% । চন্দ্রনাথ মন্দিরে যাওয়ার দুটি পথ আছে, বাম দিকের সিঁড়িটি হতে ছত্রশিলা, কপিলা আশ্রম, ঊনকোটি শিব মন্দির ও বিরুপাক্ষ মন্দির এবং পাতালপুরী যাবার রাস্তা হয়ে চন্দ্রনাথ মন্দির পর্যন্ত চলে গেছে। আর ডান পাশের রাস্তাটি সরাসরি চন্দ্রনাথ মন্দিরে চলে গেছে ।
এই চুড়াটায়ই অবস্থিত বিরুপাক্ষ মন্দির, অর্থাৎ আমাদের প্রথম গন্তব্য ।
দূর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাপার, কঠিন গরমে আমরা ঘেমে নেয়ে একাকার ।
অবশেষে প্রথম চুড়ার বিরুপাক্ষ মন্দিরে পৌছলাম ।
মন্দিরের অভ্যন্তরে.......
এই পথ ধরেই যেতে হবে চুড়ায়........
যে পথে এখানে এলাম ।
পিছনে ফেলে আসা পথের ছবি । এক সময় পৌছে গেলাম চন্দ্রনাথ মন্দিরে অর্থাৎ শিতাকুন্ড পাহাড়ের সর্বোচ্চ চুড়ায় । সমুদ্রপৃষ্ট হতে এ মন্দির প্রায় ১১/১২ শত ফুট উঁচু।
সবাই ক্লান্ত, চলছে খাবার রান্নার আয়োজন ।
গাছের ডাল ভেঙ্গে চামিচ বানিয়ে গরম নুডুলস্ খাওয়ার মজাই আলাদা

ভক্তের ভক্তি
গুরুর সাথে আমার পোজ

গাছের অবস্থাটা দেখছেন ? এই গাছে যে কোন নিয়তে কিছু একটা বেধে দিলে নিয়ত পুরণ হয় । সুতরাং গাছের এই অবস্থা....
তিনি এই ব্লগের একজন ব্লগার কি নিয়তে বাধছেন জানিনা, আপনারা জানেন কি ??
বিদাই বেলায় একটি সম্মিলিত পোজ ।
এবার ফেরার পালা.........
ইকো পার্কের ভেতরের পথটা বেশ প্রশস্ত আর ইট বিছানো, তাই এদিক দিয়ে যাতায়াত ও বেশ সহজ ।
কোন এক অজানা ফুল
খটখটে শুকনো জায়গায় এই সুন্দর ফুলটা কে অস্বাভাবিকই লাগছে, তবে বান্দরবানে উপজাতিদের আমি দেখেছি সবজি হিসাবে এমন ফুল ব্যবহার করতে, তবে ঐগুলো পুরোপুরি সবুজাব ।
সহস্র ধারা ঝর্ণা
ইকোপার্কের মেইন গেইট, আমরা এদিক দিয়েই বেড়িয়ে আসি