আমার রেল লাইন ধরে ঢাকা টু চিটাগাং হাটার কথা অনেকেই জানেন । তেমনি একদিন হাটছিলাম । আমার সহহাটুরে খেজুরের রস খাওয়ার খুবই ইচ্ছের কথা বলছিল, আমি বললাম ঠিক আছে চেষ্টা করবো তোমাকে রস খাওয়ানোর জন্য । তবে আশেপাশে তাকিয়ে খুবই হতাশ হচ্ছিলাম এই জন্য যে, রেল লাইনের পাশে যে কয়টি খেজুরের গাছ দেখছিলাম তার কোনটিই রসের জন্য কাটা হয়নি । কিন্তু নরসিংদীর কাছাকাছি এসে বাম দিকে তাকাতেই আমাদের মুখে হাসি ফুটল, অনেকগুলো খেজুরের গাছ তার মাঝে কয়েকটিতে আবার রসের কলসী ঝুলছে । সেই রস খাওয়ার ফটো ব্লগ.......................................

যদিও অনেকদিন গাছে চড়া হয়নি তবু সাহস করে গাছে চড়ে গেলাম ।
রসের হাড়ি হাতে নিয়ে আমি খুশিতে আটখানা, তবে রস অল্প থাকায় ঘোষণা দিয়ে দিলাম যার যার রস সে নিজে পেরে খাবে ।
কি আর করা আরো একজন উঠে গেল অন্য একটা গাছে
রস পেরেছেন না বিশ্ব জয় করেছেন হাসি দেখে ঠিক বুঝা গেল না ।
হাড়িতে রস আছে দেখেই তিনি বের করেছেন বত্রিশ.........
তিনি অবশ্য সাহায্যকারী ছাড়া আর পুরোটা নামতে পারলেন না ।
একজন খাচ্ছে অন্যজন না খেয়েই কত্তো খুশি

অতঃপর তিনিও ঝাপিয়ে পড়লেন
খাচ্ছেন আর ভাবছেন গাছ থেকে পেরে টাটকা রস খাওয়ার স্বাধই আলাদা ।
এতো সাধের রস গ্লাস দিয়ে খেয়ে কি তৃপ্তি মিটে ? তাই...............
আমাদের রস খাওয়া দেখে রাচ্চাদের বোতল বেধে রাখা অন্য একটি গাছের বুলবুলিটার ও বুঝি খুব তেষ্টা পেয়ে গিয়েছিল........