প্রায় সাত লক্ষ লোক অলরেডি পানি বন্দি হয়েছে।বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখলাম আরো প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ মানুষের পানি বন্দি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।সরকারী হিসেবে ৩৪ জন মৃত্যু বরন করেছে।দু-এক দিনের মধ্যেই আরো অনেক মানুষ অসুস্হ হবে।যেহেতু প্রফেশনালি আমার সারভাইভাল টেকনিক এর উপর কোর্স করা আছে তাই বর্তমান বন্যা কবলিত এবং ভবিষ্যতে আশঙ্কা করা হচ্ছে এমন মানুষদের জন্য আমি কিছু পরামর্শ নিচে পয়েন্ট আকারে দিয়ে দিলাম।হয়ত কারো কিছু কাজে লাগলেও লাগতে পারে।
১.প্রতি বছর বন্যা কবলিত হয়,এমন স্হানে যদি বাস করে থাকে অতি দ্রুত অপেক্ষা কৃত উঁচু স্হানের দিকে চলে যাওয়ার চেষ্টা করুন।
২.শুধু মাত্র বড় রকমের বন্য হলে যদি আপনার এলাকা বন্যা কবলিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে তাহলে তাহলে আপনাকেও বন্যা পরবর্তী সঙ্কট মোকাবেলার প্রিপারেশন নিতে হবে।
৩.বন্যার সবচে বড় সমস্যা বিশুদ্ধ পানি।আপনার কাছে কি পর্যাপ্ত পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট আছে? অথবা ফিটকারি?
৪.বন্যার সময় দূষিত পানি পানে ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়,আপনি কি পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন মজুদ রেখেছেন??
৫.সাত দিন চলার মত প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার(চিড়া,মুড়ি,মোয়া,গুড়,বিসকিট ইত্যাদি যেগুলো রান্না করার প্রয়োজন হয় না) মজুদ রাখা ভাল।
৬.বন্যায় সাপ থেকে খুব সাবধান থাকতে হবে।
৭.ঘরে টর্চ লাইট(পানী রোধী হলে ভাল) ছোট বড় ছুরি,চাকু,লম্বা দড়ি রাখলে কাজে দিবে।দিনে আয়না এবং রাতে টর্চ লাইট সংকেত প্রদানে সাহায্য করবে।
৮.যদি আয়না অথবা আলো না থাকে তবে কোন ধাতব বস্তুতে ক্রমাগত আঘাত করেও মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন।
৯.খোলা ছাদ অথবা টিনের চালে আশ্রয় নিলে পলিথিন অথবা অন্যকিছুর সাহায্যে মাথার উপর ছাদ তৈরী করুন।বন্যাকবলিত অবস্হায় কোন অসুখ বিপদের উপড় বিপদ তৈরী করবে।
১০.এবং অবস্যই সাবান সাথে রাখবেন।শৌচকর্মের পর সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার করতে ভূলবেন না।
নিজের সামান্য ঙ্গানে আপনাদের পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করলাম।পরিশেষে সকলের কাছে আহবান এই প্রাকৃতিক দূর্যোগে সকলে একসাথে যদি ঝাপিয়ে না পড়ি তবে এ বিপদ মোকাবেলা করা যাবে না।যে যেখানে আছেন যে অবস্হাতেই থাকুন না কেন বন্ধুদের নিয়ে গ্রুপ তৈরী করুন।এবং যা পারেন সাহায্য তুলুন অথবা করুন।
ধন্যবাদ।