নিঃশব্দ বৈশাখ কি আসে জীবনে?!
আসে কি কোন কোলাহল ভরা শীত?
সেই শীত যে শীতের কোন দরোজা জানালা নেই,
নেই মন ভাঙ্গা গান, পাখির সুর !
অথচ আমি শুধু সেই সময়কেই চিনি,
যে সময়ে হাত ছোঁয়াতো উষ্ণ নরম হাত।
যে বেলাতে ঘুম ভোলাতো প্রভাতফেরীর রাত।
কি ছিলো না সেই দিনগুলোতে !
অদ্ভুত মাখামাখি সময়ের, বন্ধুত্বের, প্রাণের,
একদল কলেজ পড়ুয়া মেয়ের!
আরও কচি কিছু ভাবনার আবেশ।
আমি অসম্ভবে ছিলাম।
ছিলাম উদ্বেলিত, কখনো ডানা ভাঙা পাখির মত।
ঠিক যেন ভোরের ঘুম ভেঙে গেছে আমার!
উদাসিনী মাইলগুলো অভিনব কায়দায় হাজির হতো।
কখনো জানালায় দাঁড়িয়ে মুখ বাড়িয়ে চিৎকার করে গান গাওয়া।
কখনো একাকী এক পথিকের পানে চেয়ে থাকা।
অপেক্ষার কত অসংখ্য প্রহর কেটেছে অযাচিত ভাবনায়।
একটি গ্রীষ্ম কি এসেছিলো সমস্ত প্রশ্নের জবাব নিয়ে?
অপেক্ষার অবসান ঘটানো বসন্তের পাতাও নড়েনি।
এক বাজারি মনের খেলাধুলা ছিলো শূন্য জায়গাটায়।
সময়, সময়, সময় যেন চোরাবালি!
মুহূর্তে টেনে নিলো সেই দারুণ আনন্দের বান্ধবীর বিয়ে।
চুপ শব্দ করে হারিয়ে গেলো যত বুক কাঁপানো উত্তেজনা।
আমি কি খেই হারিয়ে ফেললাম! তুমি কি তা জানো?
তুমি কি জানো কত কিছু লেখার পড়ে আমার আঙ্গুল
আবার তোমায় লিখতে বসেছে ?!
এই ঠাণ্ডা বয়সেও কেন বারবার উত্তেজিত হই আমি !
বুকের মাঝখানটা কেমন টলমল লাগে।
আমার ইচ্ছেগুলো কখনো সীমা পায়নি।
কখনো ছাড়া পায়নি উড়ে যাওয়ার মত।
উড়ন্ত পথে যত ফুল সে ধরতে চেয়েছে
ততই জেঁকে বসেছে কাঁটা।
গুচ্ছ গুচ্ছ খোঁপায় বেঁধেও শান্তি পায়নি সে,
শান্ত হয়নি এই মন।
হেঁটেছি অনির্বার।
হেঁটে চলেছি একই রকম।