মুল থিম -
১. আজকালকার ছেলেমেয়ের দুই দিনের ভালোবাসা।
২. বাবা - মায়ের কষ্ট।
৩. ছেলেমেয়ের উপলদ্ধি।
রাফ গল্প -
পাঁচ দিন আগে শিলা ও অর্কর ব্রেকআপ হয় । অর্ক উইনি নামের আরেকটা মেয়ের সাথে রিলেশন করে। শিলা এটা সহ্য করতে পারে না, শিলা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। শিলা হসপিটালে এটা জানার পরও অর্কর কোন ভাবান্তর হয় না। উল্টো সে উইনির সাথে আরও বেশী সময় কাটায়। এক রাতে হঠাৎ অর্ক শিলার আত্মাকে দেখে ভয় পায়। সকালবেলা দুঃস্বপ্ন ভেবে উঠে দেখে ওর পাশেই শুয়ে আছে শিলা। অর্ক খুবই ভয় পেয়ে যায়। কিন্তু সে তার মা, বন্ধ, আশেপাশের কাউকে বলে না, কারণ সবাই তাকে পাগল ভাববে। এদিকে শিলা অর্কর জীবন হেল বানাই ফেলে। অর্কর ফেসবুকে সব ফ্রেন্ডদের কত কত গার্লফ্রেন্ড আছে,কে কার সাথে কি কি চিটিং করতেছে সব বলে দেয়, মোবাইলে এস এম এস করে সব মেয়েদের সাবধান করে দেয়। এছাড়াও অর্ককে বিভিন্ন লজ্জাকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে। মা বন্ধুরা ভাবে অর্ক পাগল হয়ে যাইতেছে তাই ওকে ফকিরের ঝাড়ু– পেটা সহ নানান রকমের চিকিৎসা চালানো হয়। এদিকে শিলার আত্মা মাঝে মাঝেই হাসপাতালে আসে, দেখে ওর মা বড় বোন ছোট বোন কত কান্নাকাটি করতেছে। আরও দেখে ওর জন্য মার কত টাকা খরচ হয়ে যাইতেছে। আত্মীয় স্বজন সবাই বলে এমন মেয়ের পেছনে নিজেকে ফতুর করার কোন মানে হয় না আরও দুইটা সন্তান আছে। তবু মা চেষ্টা করতে থাকে।শিলার খুব কষ্ট হয়। সে ফিরে আসে অর্কর কাছে। অর্ক ওর এক বন্ধুকে সব খুলে বলে বন্ধু সব কথা বিশ্বাস না করলেও অর্ককে বুদ্ধি দেয় যে শিলাকে বলতে, অর্ক জীবিত শিলাকে ভালোবাসতে চায় আবার আগের মত। মৃত আত্মাকে না।
শিলাকে অর্ক এ কথা বললে শিলা হসপিটালে ফিরে আসে। হসপিটালে এসে শিলা দেখে মা কাদতেছে। টাকার অভাবে ডাক্তাররা শিলার দেহে লাগানো যন্ত্রপাতি খুলে ফেলতেছে।
এর পর অনেকদিন কেটে যায়। কিন্তু অর্ককে আর শিলা ফোন দেয় না যোগাযোগ ও করে না। অর্কর নিজেকে খুব একা একা লাগে সে শিলাকে খুজে কিন্তু পায় না। কেউ বলে না ওকে কোথায় শিলা। অবশেষে অর্ক রেডিওতে ভুত এফ এম এ তার এ অদভুতুরে কাহিনী শোনায় এবং শিলাকে যোগাযোগ করতে বলে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৪৬