মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ না করে সৌদি বাদশাকে পাথর নিক্ষেপ করলে বেশি খুশি হতাম ।সৌদি সরকারের ধন সম্পদের কত অহংকার যে টাকা দিয়ে সব মামলার দফা রফা করতে চায় । ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃত পরিবারকে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা দিয়ে নিজেদের বার্থতার দায়ভার ঘুচাতে চেয়েছিল এই সৌদি মুসলিম নামের মুনাফেক সরকার । কথায় আছে আল্লাহর মাইর দুনিয়ার বাইর ।আজ যোগ হল আরও ৭১৭ টি লাশ।উপর ওয়ালার ইংগিত বুঝি এরকমই সৌদি সরকারের প্রতি যে ,কত টাকা্র অহংকার আছে তোদের ??যারা হাজ্জ করতে গিয়ে নিহত হল আল্লাহ তাদেরকে কবুল করুন । এই আরব শাসক ,যারা মধ্য প্রাচ্যের শান্তি রক্ষায় শুধু নিরবই নয় বরং পাষাণ ভুমিকা পালন করে আসছে আজ অব্দি ।কচি কচি ফিলিস্তিন শিশু বাচ্চার বুকে কামানের গোলা ভেদ হয়ে যাওয়া চিত্রও এই পাষাণ সৌদি সরকারের মনে একটু দয়ার উদ্রেক হয়নি। একটি বারের জন্য ইসরাইলকে একটু চোখ রাঙ্গানি দিতে চেষ্টা করেনিএই জালিম সৌদি সরকার। ফিলিস্তিন ,সিরিয়া,লিবিয়া, ইরাক,ইয়ামেন ধ্বংসযজ্ঞে আরবের এ ভুমিকা দেখে মুস্লিম বিশ্ব হতবাক হয়েছে ।আজ প্রান বাঁচাতে লাখে লাখে মুসলিমরা বিধর্মীদের দেশে পাড়ি জমিয়েছে ।এসব অসহায় মানুষদের কাছে এখন সাগর আর মুরুভুমির মত মিত্তু ফাঁদও তুচ্ছ ।শুধু মাত্র বেঁচে থাকার অধিকারের জন্য তারা বিধর্মীদের লাথি গুতা খাচ্ছে। বিদায় হজে নবীজির ভাষণ আরব শেখেরা আজ বেমালুম ভুলে বসে আছে। প্রত্যেক মুসলমান একে ওপরের ভাই স্বরূপ। যেখানে আইলান নামের ছোট শিশু বাঁচার প্রত্যয় নিয়ে সুমুদ্রের কিনারায় মুখ থুবড়ে পড়ে থাকে। আর সেখানে আরব সেখেরা সোনা মোড়ানো কমোডে আর প্রাচুর্যে নিজেদের আভিজাত্য প্রকাশ করে ।
আরবদের এই নিজ স্বার্থপরতা একদিন তাদের কাঁদাবেই । তখন হয়তো আমরা অনেকে এই পৃথিবীতে থাকবনা । সেদিন আর বেশি দূরে নয় । এটা আমার কথা নয় । পবিত্র আল কোরআনে এ রকম অনেক ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে । মানুষ যখন ভোগ বিলাশে মত্ত হয়ে পড়ে তখন আল্লাহকে ভুলে যায় । আর তখনই আল্লাহ তাদেরকে আজাব দেন । আজ পবিত্র হজের দিনে অনেক পরিবার তাদের আত্মীয় স্বজনদের হারাল । এটাকে আরবদের বাবস্থাপনার উদাসীনতা ছাড়া আর কিছু বলতে পাচ্ছিনা । কাবা শরীফে ক্রেন দুর্ঘটনাও একি রকম দায়িত্বহীনদের পরিচয় দেখিয়েছে আরব সরকার ।
কিছুদিন আগে পবিত্র ক্বাবার কালো পাথরে এক নিরাপত্তা পুলিশের পা রাখার ছবি ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল । যে কালো পাথরে চুমু দেয়ার জন্য ধর্ম প্রান মানুষ নাওয়া খাওয়া ত্যাগ করে। সেখানে কাদের দায়িত্ব রাখা হয় ?? যাদের সামান্য কাণ্ড জ্ঞান নেই যে ,সে কার ভীতর দায়িত্ব পালন করছে । পবিত্র জায়গায় ধার্মিক লোকদেরকেই দায়িত্তে নিয়োজিত করা উচিৎ বলে আমি মনে করি ।আজ ক্বাবায় ,মিনায় মানুষের রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে? বিধর্মীদের হাসি তামাশার বস্তু বানাচ্ছে এই আরবের শয়তান শাসকেরা । আজ ক্বাবা শরীফের নিকটবর্তী পবিত্র স্থানে বিলাশ বহুল হোটেল , বার আরও নোংরামি তৈরির পায়তারা করছে এই আমেরিকা পুষ্ট আরেক ইস্রাল রুপি পাষাণ সৌদি আরব সরকার ।
আল্লাহ এসব নিহত হাজীদের হাজ্জকে কবুল করুন এবং সেই সাথে স্বার্থপর আরবদের অহংকারের পতন করুন ।যারা আছে শুধু নারী গাড়ী আর ভোগ বিলাশ নিয়ে...
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:১৩