somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিজের লেখা গানের সংকলন ( ৬৫টি গান)

১৯ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বন্ধুগন, কেমন আছেন সবাই? আজ আপনাদেরকে আমার নিজের লেখা গানগুলির একটি সংকলন উপহার দিচ্ছি। যে গানগুলি বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে ফেইজবুকের পাতায় অথবা সামহোয়ার ইন ব্লগে। এখানে আছ ৬৫টি গান। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হৃদয় ছোঁয়া অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ আমার এই গানগুলি। এই গানের মধ্যে পাওয়া যাবে চিরায়ত বাংলার সুধা মাটির গন্ধ। মাঝি-মাল্লার গান, ভাটিয়ালি, মুর্শিদি বা গুরুবাদী গান বলেই মনে হবে আমার এই গানগুলিকে। আপনাদের কারো কাছে ভালো লাগতে পারে আবার কারো কাছে নাও লাগতে পারে। ভালো লাগা না লাগা সম্পূর্ন আপনাদের নিজ নিজ অভিরুচি। কিন্তু আমার নিজ অনুভূতি আর উন্মাদনার নির্যাসটুকুই প্রকাশ মাত্র। গানগুলিতে আছে প্রেম-ভালবাসার কথা। আছে বিরহের কথা। আছে গুরু ও শিষ্যের ভাবের কথা। শ্রষ্টার অপার করুনা লাভের আকাঙ্খা আবার আধ্যাত্মিক চিন্তার খোড়াক পাওয়া যাবে কোনো কোনো গানের ভিতর। বিচার বিশ্লেষণের দায়িত্ব পাঠক আপনাদের কাছে ছেড়ে দিলাম। বেশ কিছু গানের সুর নিজেই করেছি আবার অনেক গানের সুর করা হয়নি। যদি কোনো মিউজিসিয়ান বা কণ্ঠ শিল্পীদের আমার এই গানগুলি ভাল লেগে থাকে, তাহলে তাদের কাছে অনুরোধ রইলো মিউজিক এবং ভোকালের সমন্বয়ে শ্রুতাদের মাঝে তুলে ধরার। একটি গান তখনই স্বার্থক হয়ে উঠে যখন বানী, সুর এবং কণ্ঠ এক সাথে উপস্থাপিত হয়। সুতরাং চলুন গানের পাতায়___

গান (০১) ২৭ জুন ২০১৩ ইং

মন তুই বুঝলিনারে গুরু কী ধন
গুরু চরণ পুজলিনা তুই হারাইলি রতন।।

জনম কি তুই পাবি আবার
জল শুকালে কাটবি সাতার
অবহেলায় গেলো সময় নাম হইলো না স্মরন।।

যে নাম নিলে খোদা মিলে
ওই নাম জপো মনে দিলে
অহংকার তোর যাবে চলে হবে শয়তানের পতন।।

এক বাক্যে ঈমান আনো
লা শরীক তাহারে জানো
এ জীবনের আয়ূ ক্ষীণো মনা থেকোনা অচেতন।।


গান (০২) ২৩ জুলাই ২০১৩ ইং

মনরে ক্বাবা পানে ধেয়ে চলো ক্বাবা চিনলা না
(তুমি) মন ক্বাবাতে একবার নামাজ পড়লা না।

মনের ভিতর আছে ক্বাবা
তালাশ করলে তবেই পাবা
কাছে তোমার মন-মহাজ (সেজন) দূরে থাকে না।।

অন্ধকারে যায় কি দেখা
প্রদীপ বিনে আলোর রেখা
সরল পথটি আঁকাবাঁকা তুমি সরল হলেনা।।

সাধুর চরন ধৌত করলে
মনের ক্বাবা ঘরটি খুলে
আবুল-তাবুল পথ চলিলে পথের সন্ধান পাবা না।।



গান (০৩) ৭ জুন ২০১৩ ইং


প্রেম কারে কয় প্রেম কারে কয়
গুরু পদে মত্ত হলে প্রেমে শিখা যায়।।

প্রেমের মান নিরিখ ধরন
প্রেমের নাম অনুসরন
মুর্শিদ চান দয়া করে প্রেম দিয়ে দেয়।।

নাই আমার গুরু মণি
কিসে পাই জ্ঞানের খনি
মূর্খ আমি আন্ধা আমি মন কুপথে বেড়ায়।।

অভাগা কান্দিয়া কহে
মন তুমি বুঝলা না হে
তোমার গুনার দিন যে হেলায় ফেলায় যায়।


গান (০৪) ১৩ জুন ২০১৩ ইং

গুরু ভাবো যারে মানো তারে
হৃদ কমলে ফুটলে ওফুল গুছবে দুকুল
ক্ষুধা-তৃষ্ণা রবে নারে গুরু গুরু ডাকো তারে।।

প্রেমের সুতায় বাঁধো ও নাম
ইহলোকে হোক বদমান
ছেড়ো না ছেড়ো না তারে গুরু গুরু ডাকো তারে।।
অন্তরে অন্তর যামি
বসে আসেন ভবস্বামী
গুরু নাম জপিলে তুমি
আপনি পাবে আপনারে গুরু গুরু ডাকো তারে।।

মনে পোষে লোভ হিংসা
মিছে তোমার সকল আশা
ছেড়ে সকল ভবের নিশা
বারে বারে ডাকো তারে যে আছে বাহিরে ভিতরে।।


গান (০৫) ২৭ জুলাই ২০১৩ ইং

ভাবিয়া পাগলে কয়
আপন আপন কেহ নয়
সাঙ্গ করে ভব লীলা
যাইবা আবার কোথায়।

আইছো একা যাইবা একা
মাঝ পথে ক্ষনিক দেখা
পাইলা তাতে ক্ষনিক সখা
আসলে কেউ করো নয়।।
ভাবিয়া পাগলে কয়
আপন আপন কেহ নয়....

দুই দিনের এই দুনিয়া
নয় কিছু দেখো ভাবিয়া
মরলা শুধু হাপাইয়া
কাজের কাজ তো কিছু নয়।।
ভাবিয়া পাগলে কয়
আপন আপন কেহ নয়....

হুশের ঘরে নাই বাতি
কবরে কি পাইবা সাথী
সামনে হয় কী যে গতি
রইলা পড়ে কার আশায়।।
ভাবিয়া পাগলে কয়
আপন আপন কেহ নয়....


গান (০৬) ২৯ জুলাই ২০১৩ ইং

আমার ভিতর যে কথা কয়
(তারে) ধরি কেমন করে
ধরা যায়না ছোঁয়া যায়না
দেখা দেয়না মোরে।

সারা জীবন কেটে গেলো
আমার আমার করে
ঘর-বাড়ি-বিষয়-সম্পদ
আমার আমি নারে।।

কী দাম আছে এ সংসারে
দেহের বায়ূ গেলে ওড়ে
অবুঝ এ মন বুঝতে নারি
মিছার গরব করে।।

থাকতে দেহের বায়ূ ও তাপ
ওজন করো পূন্য ও পাপ
ঠান্ডা হলে বদনের তাপ
লাভ হবে নারে।।

নিজের কাছে হয়না খবর
মুর্শিদ ধরে করো খবর
নজরেতে রাখো নজর
চলো মুর্শিদের বাজারে।।

মুর্শিদের দ্বীন ও দয়ায়
নিজের দেহে নিজের কায়ায়
আপন প্রভু বাঁধবে মায়া
পাঁকা-পুকতো করে।।


গান (০৭) ৩০ জুলাই ২০১৩ ইং

মন আমার মানিক-রতন চিনেনা
বস্তা ভরা চান্দি-সোনা
দস্তা ভেবে খুলে না।

দিবা-নিশি ভূতের পূজা
কিসের নামাজ কিসের রোজা
কানে নেশার বিড়ি গুঁজা
নেশায় তারে ছাড়েনা।।

ডাকলে তারে খোদার পথে
সময় খুঁজে পায়না তাতে
টাল-বাহানা রোজ প্রভাতে
ভাল কথা শুনেনা।।

নিজের খেয়ে নিজের পরে
আর কত বুঝাবে কে-রে
নিজের বোঝ নিজে নে-রে
সময় ঘুরে আসেনা।।


গান (০৮) ৩১ জুলাই ২০১৩ ইং


প্রেমো-ভক্তি না হইলে পাবে কী তাহারে
মাটির দেহ খাঁটি হয় প্রেম অনলে পুড়ে।

প্রেম বিহনে সাধন-ভজন
বৃথায় যাবে মানব জীবন
প্রেমো বৃক্ষ করো রোপন
হৃদয়ের মাঝারে।।

খাঁটি প্রেমের প্রেমিক হলে
দিলের পর্দা যাবে খুলে
নূরের বাতি ওঠবে জ্বলে
অন্ধকার ওই ঘরে।।

পূজো আপন গুরুর চরণ
জলে-স্থলে রাখো স্মরণ
ভয় কী তোমার হইলে মরন
নামের দামান ধরে।।


গান (০৯) ৩ আগস্ট ২০১৩ ইং


সাঁই আমার কী খেলা খেলায়।।

ঢাকা আছে সংগোপনে
দেখা যায়না দুই নয়নে
জ্ঞানের জ্যোতি উদয় হলে
আধার কেটে যায়।।
সাঁই আমার কী খেলা খেলায়।।

ক্বলব জিন্দা হয়ে গেলে
অমূল্য ধন তবেই মিলে
অন্ধকার থাকেনা দিলে
বলেন খুদ খোদায়।।
সাঁই আমার কী খেলা খেলায়।।

সেথায় যদি চাও যেতে মন
ভজো সাধুর দুটি চরণ
দিবা-নিশি রাখো স্মরণ
মনের মণি কুঠায়।।
সাঁই আমার কী খেলা খেলায়।।


গান (১০) ৫ আগস্ট ২০১৩ ইং


মন আমার পড়লো বিষম শয়তানের ধোঁকায়
আল্লা-রাসুল ভুলে মন মজে কুনিশায়।।

মহাজনের খেয়ে পরে
তারই নাফরমানি করে
এই ভাবে কী জীবন ভরে
বাটপারি করা যায়।।
মন আমার পড়লো বিষম শয়তানের ধোঁকায়...

মিছে কথা ঠগবাজিতে
দিনের শুরু ধোঁকা দিতে
জানোনা মন ওই ধোঁকাতে
নিজেই পড়তে হয়।।
মন আমার পড়লো বিষম শয়তানের ধোঁকায়...

ছাড়ো তোমার ভেলকিবাজি
আসল কাজে হও না রাজি
বেটা ভালো বেটাই পাজি
বুঝবে শেষ বেলায়।।
মন আমার পড়লো বিষম শয়তানের ধোঁকায়...

গান (১১) ৫ জুলাই ২০১৩ ইং

প্রভু তোমার নাম জপিতে পারিনা এই অধম
কী নামে ডাকিলে খুশি তোমার রাঙ্গা মন।।

পাপি আমি পাপে ডুবে থাকি
নেশায় কাটে দিন-রজনী কোথায়া বা কী
তবু তুমি দয়া করে
আলো-বাতাস দাও সারাক্ষন।

প্রভু তোমার নাম রহমান রহিম
করিম ও জব্বার তুমি অনন্ত অসীম
ওই নামে ডাকি তোমায়
করো মোর হৃদয়ে আসন।

গান (১২) ৮ আগস্ট ২০১৩ ইং

মর্ম মূল কাটিয়া দিলে
শাখা মূলের জোড় কোথায়
অন্তরে বীজ বুনেছিলাম
প্রেম-প‌্রীতি-ভালবাসায়।।

বীজ বুনিলাম বৃক্ষ হলো
গাছে ধরলো ফল
কী সুন্দর দেখিতেছিলো
রসে টলমল।।
সে ফল খাইবো বলে ভেবেছিলাম
সে আর হলো কোথায়া।।

যতন করে মনের ঘরে
পুষিলাম তারে
বনের পাখি পোষ মানেনা
বুঝিলাম পরে।।
পাখি খাঁচা ভেঙ্গে গেলো ওড়ে
কাঁদে আমার মনোরায়।।

বুঝলো নারে ওইনা পাখি
মনের গহীন ঘর
ভালোবাসা ছিলো শুধু
অন্তরের ভিতর।।
এবার ভেবে বলে এই পাগলে
পড়িসনা কেউ প্রেম কূয়ায়।।

গান (১৩) ৯ আগস্ট ২০১৩ ইং

সব থাকিতে সব হারালে
দাদারে মিলিবে এই কপালে সেই গোপাল
প্রেম যমুনায় ঝড় ওঠিলে ধরিস মাঝি হাল।।

যা আছে তোর সোনাদানা
রং মহল আর বালাখানা
মিটাও সকল লেনাদেনা
মোহ-মায়া ছেড়ে দিয়ে ওড়াও নবীর পাল।।


মাল বোঝাই করিয়া নায়ে
যাও মাঝি ভাই বৈঠা বেয়ে
কাঁপিয়ো না স্রোতের ভয়ে
ঝড়-তুফান দেখিয়া তরি করিও শামাল।

এই তরণীর আগে-পিছে
ডাকাতিরা লুকিয়ে আছে
সুযোগ পেলে নিবে খিচে
মাঝি তোমার পাটাতনে রাখিও খেয়াল।।

গান (১৪) ১১ আগস্ট ২০১৩ ইং

ওহে প্রভু দয়াময়
আর কত ব্যথা দিবে গো আমায়
আমি সহিতে পারিনা ব্যথা… বুক ভেঙ্গে যায়।।

তুমিই জানো অন্তরযামি
কী ব্যথায় পুড়ি গো আমি
দিওনা ব্যথা আর আমারে… প্রভু দয়াময়।।

তারে তুমি দাও বুঝিবার
কী যাতনা হৃদয়ে আমার
আর কতদিন জ্বলিবে অনল… প্রভু দয়াময়।।

ব্যথায় করি হাবুডুবু
চাহিয়া দেখেনা কভু
কী অন্তর দিলে গো তারে… প্রভু দয়াময়।।

দিবানিশি জ্বলে আগুন
জল ঢালিলে জ্বলে দ্বিগুন
কেউ দেখেনা মনের আগুন… প্রভু দয়াময়।।

গান (১৫) ২০ আগস্ট ২০১৩ ইং

সকল কথা বুঝো তুমি নিজেকেই বুঝলানা
অহংকারে রইলে পড়ে নিজের খবর নিলেনা

যদি আমি তোমায় বলি
সঠিক পথে চলো চলি
জবাব দিলে মুখটি খুলি
আমি সঠিক আছি ফটিক বেঠিক কিছু দেখিনা।।

বলি তোমায় না না ফটিক
যে জন বলে আমি সঠিক
নিজের ভালো নয় বলা ঠিক
অন্যে যারে ভালো বলে সেই তো আসল জনা।।

সঠিক বলে আজাজিলে
ভুল শুধু হয় মানুষ হলে
নত হলে রতন মিলে
এই কথাটি কেনো তুমি বুঝেও বুঝোনা।।

গান (১৬) ২০ আগস্ট ২০১৩ ইং

ওরে মন আমার তুই বুঝবি যে কখন
(তোরে) বুঝাইতে বুঝাইতে গেলো সারাটা জীবন।।

সহজ কথা বুঝে না মন
আপনাকে কয়না আপন
পরের সাথে গলাগলি সকাল-সন্ধ্যাক্ষন।।

প্রেমের মনি জ্বলে কোথায়
খোজ করে না শুধুই ঘুমায়
অলস বেলা বসে কাটায় কী হয় যে কখন।।

মনের দুঃখ মনেই রইলো
বুক চিড়িয়া না দেখিলো
মুখ দেখে কী বুঝা যায় রে অন্তরের বেদন।।

রইলো পড়ে এই লেখুনী
মরলে দেখিস রে পাষানী
বুক ভাসালে নয়ন জলে লাভ কী রে তখন।।

গান (১৭) ২৩ আগস্ট ২০১৩ ইং

কবর তোমায় ডাকে ও ভাই শুনতে তুমি পাওনা।
মরন কথা স্মরণ করো দ্বীনের পথে হও রওয়ানা।

ছাড়তে হবে সকল কার্য
মৃত্যু ও ভাই অণিবার্য।
একটু দাড়াও______ ভেবে দেখো,
মৃত্যু এলে পালাবার পথ রবে না।

আপন সবাই পর হইবে
রঙিন জামা খুলে নিবে
সাদা কাপন পরিয়ে দিবে রবে না মকমলের বিছানা।।

চাটাই দিয়ে ছাউনি দিবে
বাঁশের কয়েক টুকরা পাবে
অবশেষে মাটির উপর হবে বিছানা।

সারা অঙ্গ পঁচে যাবে কিরায় খাবে দেহ,
অন্ধকার ওই ঘরের খবর নিবে না আর কেহ।
সময় থাকতে হুশিয়ার মন আর বসে থেকো না।।

গান (১৮) ৩১ আগস্ট ২০১৩ ইং

(দেখো) চোখ থাকিতে অন্ধ মানুষ ঘুরিয়া বেড়ায়
ডায়নে বায়ে আছে মানুষ হুশ তাদের কোথায়।।

রাত্রি কাটে নেশায় ডুবে দিনে যায় নামাজে
লোক দেখানো নামাজ পড়ে মুসলমান কয় নিজে
(মানুষ) মরন কথা ভুলে গেছে___ দুনিয়ার নেশায়।।

ভালো কাজে ডাকলে মানুষ আসেনা ছুটিয়া
মন্দ কাজে ভিড় জমেছে দেখোনা চাহিয়া
(মানুষ) ভুলে গেছে আল্লা-রাসুল___ শয়তানের ধোঁকায়।।

বাবায়-দাদায় ছিলো বলে হইছি মুসলমান
মুসলমানের কাম করিনা নাই খাটি ঈমান
(মানুষ) ডুবে আছে মিছে কাজে ___ কে তারে বুঝায় ।।

বনের পশু-তরু-লতা মৎস নদীর জলে
হু আল্লাহু জিকির করে সকাল-সন্ধ্যা কালে
(মানুষ) বিবেক দিয়ে চিন্তা করো __ সময় চলে যায়।।

গান (১৯) ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

অন্তর দিয়ে বাসলে ভালো জ্বলে-পুড়ে মরবি সই
অন্তরে জ্বলিছে আগুন দেখেনা কেহই।।

অন্তর পুড়ে কয়লা হলো বন্ধুয়ার প্রেমে
নিঠুর বন্ধু বুঝলো না রে বাঁচি কেমনে
তারে ছাড়া জ্যান্ত মরা বন্ধু আমার কই।।

মনের আগুন দেখা যায়না মরিলাম জ্বলে
দিবানিশি জ্বলে চিতা প্রেমের অনলে
পাষান বন্ধু বুঝিলনা কেমন করে ঘরে রই।।

লোকে আমায় পাগল বলে কলংক গলায়
বন্ধুয়ার পিরিতের বিষ নামায় কোন উজায়
বন্ধু বিনে প্রাণে মরি আমি যে সই আমরা নই।।

গান (২০) ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

ভাবের মরা মরছে যেজন তার কি আছে মরার ভয়
একুল ওকুল দুকুল গেলে তার কি ক্ষতি হয়।।

মরার আগে মরন যাহার কপালে লিখে
ভয় থাকেনা পরানে তার আজরাইল দেখে
তোরা মরবি যদি আয়না ছুটে
ভাবের দেশে প্রেম খেলায়।।

হৃদ মাঝারে প্রদীপ জ্বেলে জপি বন্ধুর নাম
বন্ধু নামের জপমালা গলায় তুলিলাম
(আমি) কুল কলংকের ভয় করিনা
বন্ধু যদি আমার হয়।।

প্রাণ থাকিতে জ্যান্ত মরা যেজন মরিলো
ভবেতে থাকিয়া তারা স্বর্গ দেখিলো
যারা প্রেমের মরা মরলো সখি
ওই মরনে জীবন পায়।।

গান (২১) ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

মনে যদি চায় রে বন্ধু দেনা আমায় বিষের পিয়ালা
অন্তর পুড়ে ছাই হলো আর সহে না জ্বালা।।

প্রেম দিয়া বানাইয়া একখান বিষের বড়ি দে
হাসতে হাসতে পান করিবো দুঃখ নাই তাতে
বন্ধু প্রেম বিহনে আর মারিসনা ওরে শ্যাম কালা।।

প্রেমিক জানে প্রেমের মর্ম অন্যে বুঝে কী
প্রেমের শরাব পান করিয়া পাগল হয়েছি
প্রেমের নেশায় মাতাল আমি পাগল বলে দেয় ঢিলা।।

যে প্রেমেতে ওয়াস করনী পাথরে দাত ভাঙ্গলো
জালালুদ্দিন রুমি পাগল শামস্ হৃদয় বান্ধলো
ওই প্রেমের ছুরি বক্ষে মারিস রইলো মোর দ্বার খোলা।।

প্রেম সুরতে পরমেশ্বর হৃদ মাজারে উদয় হয়
প্রেমের মাঝি লা মাকামে নূর তরঙ্গে বৈঠা বায়
দেখ নূরের ঝলক ঝিলিক মারে নূরে নূরে হয় খেলা।।

গান (২২) ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

যার সাথে যার ভাব হয়েছে তার পিছে পিছে ছুটে মন
তারে এক নজর দেখিবে সে কখন।।

ভালবাসা সর্বনাশার নাম
পিরিতি করিয়া আমার হইলো বদনাম
তবু তারে দেখিতে মন সদায় করে উচাটন।।

মনের ভিতর করে যন্ত্রনা
ঘরে যে আর থাকা যায় না
তারে ছাড়া প্রাণ বাচে না আমি করি কী এখন।।

ভালবাসা বিষের পেয়ালা
অন্তর পুড়ে হইলো রে কালা
নিঠুর কালার প্রেমে পড়ে প্রাণ থাকিতে হয় মরন।।

গান (২৩) ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

মুসলমানের নাম রাখিয়া মুসলমানের কাম করিনা
আমি কেমনে মুসলমান হইলাম কেমনে মুসলমান
পড়লাম না নামাজ আমি শুনে মসজিদের আজান।।

কান আমার বধির হলো
চক্ষু আছে নাই আলো
মন্দ কাজ লাগে ভালো
ঘরে শুধু সাজিয়ে রাখলাম হাদিস আর কুরান।।

গো মাংশ দিলে পেটে
মুসলমান কি হয় বটে
ঈমান আমল খটখটে
শুধু খতনা কেটে নাম রাখিলাম মোহাম্মদ কুরবান।।

পৈত্রিক সূত্রে মুসলমান
যেনো তহসিল-ক্ষতিয়ান
চাষ হয়না এই দেহখান
আমি মুসলমান আমার বাবা আর দাদার অবদান।।

আইসা ভবে হাইসা খাবে
এইভাবে মন হয় কিভাবে
খোদার কাছে কি জব দিবে
রহমান নাম ছাড়িয়া যেদিন হইবেন নিদয়াবান।।

গান (২৪) ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

মানিক ছিলো রাস্তায় পড়ে চিনলিনা অধম
চিনলে পরে ধরতি তারে (তাহার) চুমিতি কদম।

সস্তা ছিলো হিরা মানিক ধন
তুই অবহেলায় হারাইলি রতন
ভেবে দেখ মন পাবি কী আর এই মানব জনম।।

সময় গেলে হবেনা সাধন
ঝরবে শুধু কালো দুই নয়ন
পাবে কী আর ফিরিয়া আজকের এই করম।।

গুরু বাক্য শিরে তুলিয়া
এক রাস্তায় যাও চলিয়া
ডাকো তারে মন খুলিয়া ছুটিয়া আসিবে পরম।।

গান (২৫) ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

প্রেম দিয়া ধরলিনা রে তুই প্রেমের কারিগর
রাখলি তারে দূরে দূরে ভাবলি তারে পর, রে ভাবলি তারে পর।।

চোখের আলো যেজন দিলো পথ দেখালো তোরে
ভালবেসে ডাকলি নারে রাখলি অনাদরে,
তারে রাখলি অনাদরে।।
তুই আপন মানুষ ছেড়ে দিলি পাইয়া সুখের ঘর।।

সুখের পরশ পাইয়া তুই দুঃখ গেলি ভুলে
সুখ-দুঃখ খেলা করে চার আঙ্গুল কপালে
রে চার আঙ্গুল কপালে।।
পেয়ে ধন হারাইলি মন কাদবি রে তুই সারা জীবন ভর।।

ঘর-বাড়ি চায় না সে চায় শুধু তোর মন
যে মনের ভিতর বাস করে মনের মহাজন
রে মনের মহাজন ।।
সেথায় মনের দামে মন পাওয়া যায় না করে দাম দর।।

গান (২৭) ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

(তুই) প্রেম তরঙ্গে ঝাপ দিসনে মন
আছে সেথায় হাঙ্গর-কুমির ভয়ংকর ভীষণ।।

প্রেম নদীর ওই তর তুফানে
নৌকা ডুবে ক্ষনে ক্ষনে
মন মাঝি তুই বুঝে শুনে তাহা করিস রে গমন।।

প্রেমের মানুষ জিয়ন্তে মরে
নিজের কবর নিজেই খুড়ে
ঘর বাড়ি সকল ছেড়ে ধরে সে মুর্শিদের চরণ।।

সাধ যদি হয় সেখায় যেতে
পারিবেনা আর ফিরিতে
হয় ভাঙ্গিয়া ফের গড়িতে মরার পূর্বে হয় মরন।।

গান (২৮) ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

খাটি প্রেমের প্রেমিক কয় জন হয়
ভবে খাটি প্রেমের প্রেমিক কয় জন হয়
অন্তরে প্রেম না জাগিলে প্রেম তাহা যে নয়।।

আসল প্রেমের প্রেমিক যেজন হয়
তারা বিনা দামে বিক্রি হয়ে নিরিখ ধরে রয়
একের ভিতর মিলে তারা দ্রবিভূত হয়
তাদেরকে খাটি প্রেমিক কয়।।

খাটি প্রেমিক হতে হলে
সাধুর চরণ তলে বাসা বাধতে হয়
সাধু বাবার দয়া হলে অমূল্য ধন নগদ মিলে
বাকির কোনো নাম গন্ধ নয়।

গান (২৯) ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

পাগল মাস্তানা তোমার প্রেমে
ও দয়াল রে……।।
দয়া করো দয়াল আামার
ক্ষমা করো গুনা আমার
তুমি দয়া না করিলে কে দয়া আর করতে পারে।।

আধার চোখে পথ দেখিনা
বিনা তোমার রহম-করুনা
দয়া করে দয়া করো গুনাগার এই বান্দারে।।

বসে আছি দয়ার আশে
রহমান নাম ধরে কষে
তুমি দয়া না করিলে ডাকবো আমি আর কাহারে।।

ঘর ছাড়িলাম পর হইলাম
তোমার নামে নাও ছাড়িলাম
মুহাম্মদের পাল উড়াইয়া ডাকি খোদা তোমারে।।

গান (৩০) ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

নামের বোঝা ঘাড়ে লয়ে আরেফ হতে পারলিনা
তোর মতো অধমের হয় না তুলনা।।

চক্ষে আঙ্গুল দিয়া তোরে
গুরু গোসাই দেখাইলো রে
দেইখা তারে দেখলি নারে
তোর মতো নাই রে কানা।।

কাছে বসে হারাইলি রতন
ঘুমাইলি বিড়ালে মতন
করিলিনা আদর যতন
খুইলা দিয়া দিলখানা।।

কপাল গুণে গুরু মিলে
চিনে তারে শিষ্য হলে
গুরু-শিষ্য দুয়ে মিলে
নিরঞ্জনে হয় ফানা।।

ভবের লোভে মত্ত হয়ে
ডুবে গেলি চুনা দইয়ে
আয়ূ গেলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে
ঝড় তুফানে দেয় হানা।।

গান (৩১) ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইং

তুমি বুঝলে না হে প্রিয়ে আমার মনের বেদন
তুমি যে আমার একজন।
রাগ অনুরাগ দুঃখ জ্বালা
তুমি আমার গলার মালা
তুমি না বুঝিয়া দুঃখ দিলা
আমার হিরা-মানিক-ধন।।

সকলের সকল আছে
আমার মন কিছুই না যাচে
ক্ষনে কাদে ক্ষনে হাসে
পাবো কী তোমার নিঠুর মন।।

তুমি আমার নয়ন মনি
আর কিছু যে চাইনা আমি
তুমি বিনে শুন্য ভূমি
কে আছে আর তোমার মতন।।

গান (৩২) ৫ অক্টোবর ২০১৩ ইং

আমারে পাগল বানাইয়া তুই রইলি কোথায়
প্রেম সাগরে ঝাপ দেওয়া দায়।।

আমি পাগল তোর লাগিয়া
ঘর বাড়ি সংসার ছাড়িয়া
মরি তোর প্রেমের বিষে অন্তর জ্বলে যায়।।

প্রেমের বিষ উজান চলে
লোকে দেখে পাগল বলে
আমি পাগল তোর লাগিয়া আয় না কলিজায়।।

প্রেমের মর্ম প্রেমিক বুঝে
তোমরা তাহা বুঝবে না যে
কি যন্ত্রনায় মরি আমি জানে শ্যাম কালায়।।

গান (৩৩) ৫ অক্টোবর ২০১৩ ইং

মানুষের বাহির দেখে ভিতর চেনা যায় না মনা
লম্বা দাড়ি পায়জামা-পাঞ্জাবী পরে আলেম হয়না।


অন্তরে লোভ-লালসা বাহিরে মৌলানা
চক্ষে ভাসে হুর-পরী আর সুন্দরী ললনা
বাহিরে আতর গোলাব রহিলো অন্তরে আবর্জনা।।


তসবিহ জপো চর্ম মুখে আল্লা-আল্লা বোল
ঠোটে বাজে ধর্ম কালাম বাজে গন্ডগোল
লম্বা জামা ধুইলে ঘষে রেখে অন্তরে গো চুনা।।


মুসলমান নামে শুধু মূলে মোনাফিক
মুসলমানের শত্রু তুমি ধিক শত ধিক
বাহির ভিতর এক না হলে মুসলমান হয়না।।

গান (৩৪) ১৬ অক্টোবর ২০১৩ ইং

তুমি কুরবানী দিলে কী!
কুরবানী না বনের পশু মনের পশুটি?
তুমি কুরবানী দিলে কী!

মনের পশু মনে পোষে
রক্ত মাংশ খেলে চুষে
আগুন জ্বলে ঘুষে ঘুষে রইলো না বাকি।।

দেহ রাজা পাইলো সাজা
নফস মহাশয় মোটাতাজা
পঞ্চ বানু বাজায় ধেনু দেখেনা কার কী।।

কুরবানী হলো না আমার
পশু পালে ভরলো খামার
ভেবে না পাই চক্ষু আধার উপায় করি কি?

গান (৩৫) ১৮ অক্টোবর ২০১৩ ইং

ও দুনিয়া রে… আমি ছাড়িতে পারিনা তোরে
ছাড়তে পারলে পাইতাম তারে জনমের তরে।।

বৃক্ষ যেমন শিকড় দিয়া আকড়ে ধরে মাটি
তেমনি আমি বসলাম পেতে ছড়িয়ে ঘটিবাটি
ভেবে দেখি কেউ আমার নয় আমার বলি যারে।।

হারিয়ে আল্লা-রাসুল হারিয়ে দুকুল
অসময়ে খুজে ফিরি বসন্তের মুকুল
আমার দুমুখো সাপ কাটে বসে অন্তরের ভিতরে।।

লোভ-লালসার মায়া জালে হইলাম আমি বন্দি
লোভের স্রোতে এই তরনী মায়া-মোহের সন্ধি
আমার সারা অঙ্গ ছেয়ে আছে রঙ জালের ঘেরে।।

গান (৩৬) ৩০ অক্টোবর ২০১৩ ইং

রঙ মহলে আছে রঙের বেপারি
সহজে যায়না ধরা রঙ তাহার-ই।।

মন মনোরা দাও খুলিয়া
প্রেমের মাদুর দাও বিছায়া
প্রেমের সুতায় লও গাঁথিয়া ওই নাম তাড়াতাড়ি।।

মুখের ডাক শুনেনা তিনি
ডাকিতে হয় অন্তরে আনি
অন্তরে ডাক দিলে শুনি আসেন আরশ ছাড়ি।।

অতি নিকটে তবু বহুদুরে
দুই নয়ন দেখেনা তাহারে
কী খুঁজিতে কী খুঁজিরে কী ধরিতে কী ধরি।।

মন আমার ভীষন বোকা
পদে পদে খায় সে ধোঁকা
আসল মহাজনের দেখা পাইবে কেমন করি।।

গান (৩৭) ৭ নভেম্বর ২০১৩ ইং

তুমি পাবেনা তাহার মন
অভিনয় আর ছল-চাতুরী রইবে যতক্ষন।

মনের দুয়ার না খুলিয়া
থাকো যদি চুপ রহিয়া
পাবে না রতন তোমার হবেনা সাধন।

গুরু বলে অন্তরে ধরো
দুনিয়াকে বিদায় করো
পাবে অন্তরে সে ধন মেলে দেখো দুনয়ন।

ভুলিয়া ভোগ বিলাস
করো তাহার তালাশ
পাবে মনি পাবে কাঞ্চন করিলে সন্ধান।

গান (৩৮) ৮ নভেম্বর ২০১৩ ইং

ইশকের জোয়ার এলে মনে ঘরে থাকতে পারবেনা
গুরু চরন করো সাধনা।

আশোকে মাশোক মিলিয়া
খোদার ঘরে যায় চলিয়া
ইশক বিনা হবেনা তাহারে জানাশোনা।।

নূরের প্রদীপ জ্বলে সেথায়
প্রেম বিনা দেখিতে না পায়
প্রেমিক জানে প্রেমের মরম অন্য কেহ জানেনা।।

দুয়ে মিলে একক হলে
তাহারে প্রেম সঠিক বলে
চিনি যেমন জলে গুলে জলের ভিতর হয় ফানা।।

এই পাগলের মনে ব্যথা
প্রেমিক দিলো যথা তথা
পাগল তবু কহে কথা খুলে মনের দ্বার খানা।।

কুল-কলঙ্গের ভয় আছে কী
পাগল তাহার নাই যে বাকি
দিবানিশি ঝরে আঁখি দেয়না তারে শান্তনা।।

গান (৩৯) ২৯ নভেম্বর ২০১৩ ইং

মন আমার মানে না বারন
মন চায় মনের মানুষ হয় না সে আপন।।

মন লুকালো মনের ভিতর
মন জানেনা তাহার খবর
মনের ভিতর লুকোচুরি খেলে সারাক্ষন।।

শিশু মন রয় ঘুমের ঘোরে
মন আমার চায় যে তারে
এ মনের আহাজারি বুঝেনা সেই মন।।

মন মিশেছে মনের জলে
থাকে না মন দেহ তলে
এক নজর দেখিতে করে পাগলের মতন।।

গান (৪০) ২ ডিসেম্বর ২০১৩ ইং

মন তুমি মনের ঘরে সহজে মন এসো না
মনের ঘর যে তীরের ফলা ঢুকলে বাহির হয়না।।

এই ঘরের দরজা খোলা
প্রবেশ আছে বাহির তালা
ঢুকে পড়লে মহা জ্বালা যন্ত্রনা আর যন্ত্রনা।।

কানা বগি যেমন ফাঁদে
ছট পট করিয়া কাঁদে
মনের চরে ঘর বেধে মরবে সখি বাঁচবেনা।

মনের ঘরে যায় না ঢুকা
মন যদি না দেয়রে টুকা
চালাক চতুর হলো বোকা যেথায় মনের বেচাকেনা।।

গান (৪১) ২০ ডিসেম্বর ২০১৩ ইং

প্রেম করোনা প্রেমিক বিহনে
যেজন প্রেম বুঝেনা দেয় না ধরা মন লুকায় মনে।।

প্রেমের নামটি লইলে মুখে
গালি দিবে হাজার লোকে
লাজ শরম নাই তার চোখে প্রেমের প্রেমিক যেজনে।।
প্রেম করোনা প্রেমিক বিহনে....

এক নজর দেখিলে তারে
ক্ষুধা তৃষ্ণা যায় যে দুরে
প্রেমিক বলে প্রেমের সুরে মরিবো প্রেম রবে যেখানে।।
প্রেম করোনা প্রেমিক বিহনে....

প্রেমিক জনের মুখের কথা
প্রেম কাননে ঝরায় ব্যথা
প্রেম বিহনে পুষ্পমালায় অশ্রু ঝরায় প্রেমিক নয়নে।।
প্রেম করোনা প্রেমিক বিহনে....

অকারনে ক্ষনে ক্ষনে
প্রেমের আগুন জ্বলে মনে
প্রেমিক যারা তারাই জানে কী আছে ওইখানে।।
প্রেম করোনা প্রেমিক বিহনে....

গান (৪২) ১ জানুয়ারি ২০১৪ ইং

প্রেম দরিয়ায় আমি সাতার দিয়াছি
প্রেমের শরাব পান করিয়া বেহুশ হইয়াছি।।

পাগল বলে বলুক লোকে
তবু যদি পাই তাহাকে
নিন্দা আর কলংকের মালা গলায় পরেছি।।
প্রেম দরিয়া আমি সাতার দিয়াছি…

ঘড়ির কাটা মতো এ মন
তাহার কথা করে স্মরণ
আমি যে তাহার ভিতর ঢুকে পড়েছি।।
প্রেম দরিয়া আমি সাতার দিয়াছি…

দেহ আছে মনটা যে নাই
ভিতরে সে বাহিরে নাই
জীবন থাকিতে আমি মরে গিয়াছি।।
প্রেম দরিয়া আমি সাতার দিয়াছি…

গান (৪৩) ৩ জানুয়ারি ২০১৪ ইং

বটবৃক্ষের ছায়ার তলে রৌদ্রে মরে অস্থিরে
ছায়া লাগে না গায় আপন স্বভাবের ফেরে ।।

গুরু কথা নাই যে মনে ছায়া পাবে কেমনে
অবিরত ধোকাই দিবে আজাজিল ওই শয়তানে
গুরুর কথা ভুলে গেলে বিপদে ধরবে ঘিরে।।

তারে রাখো অন্তরে মন সেই তো নায়ের কান্ডারী
মাথার তাজ বানাও তারে ছাড়ো তোমার ঘরবাড়ি
ও নাম ভুল পড়িলে গন্ডগোলে পড়িবে বারে বারে।।

নিজের দোষে দোষী তুমি দোষো যারে তারে
ওরে সমর্পন করলে না তুমি আপনি আপনারে
তোমার তুমি রাখলে সাথে গুরুর দয়া হবে নারে।।

এক নিয়তে ক্বেবলা মুখি হয়ে নামাজে দাঁড়াও
নামাজ হবে মিরাজ তোমার ভয় কেনো মুর্শিদের নাও
মুর্শিদ চরন ছেড়ে দিলে বিপদে ছাড়বে নারে।।

গান (৪৪) ৩ জানুয়ারি ২০১৪ ইং

ছেড়ো না গো ধরছো যারে মরনের ভয় করো না
মরন তো ভাই সাথেই ঘুরে তাহার ভয়ে মরো না।
তোমার সংগের সাথী ছেড়ো না….

দুই নয়নের কাজল করে বন্ধুর নামটি রাখো ধরে
প্রেম বাঁধনে বাঁধো না তুমি প্রেমের মালা পরো না।
ছেড়ো না গো ধরছো যারে মরনের ভয় করো না
তোমার সংগের সাথী ছেড়ো না….

প্রেম কাননের ফুল হয়ে ভোমরকে ফুল-মধু দিয়ে
প্রেম সুভাস বিলাও না তুমি ওই নয়নে তাকাও না।
ছেড়ো না গো ধরছো যারে মরনের ভয় করো না
তোমার সংগের সাথী ছেড়ো না….

এলে তারে বসতে দিও অন্তরখানা চায় সে প্রিয়
সে ঘরটি বন্ধ রেখো না তুমি তারে কষ্ট দিও না।
ছেড়ো না গো ধরছো যারে মরনের ভয় করো না
তোমার সংগের সাথী ছেড়ো না….

পাগল হলে পাগল চিনে মওলার পাগল ঘুরে বনে
পাগলের শাপ নিও না তোমায় ওই পাগলে ছাড়বে না।
ছেড়ো না গো ধরছো যারে মরনের ভয় করো না
তোমার সংগের সাথী ছেড়ো না….

গান (৪৫) ৫ জানুয়ারি ২০১৪ ইং

খোদা তুমি মানুষের মন বানাইছো কী দিয়া
দেখাও তারে দেখি আমি দুই নয়ন ভরিয়া।।

অর্থ কড়ি সহায় সম্বল যা ছিলো গো আমার
উজার করে দিয়া আমি মন পাইলাম না তার
মনের মালিক কে গো তুমি দাও এই ভেদ খুলিয়া।।

আমার আমি বিকে গেলাম বিনা মূলের দরে
তাকে আমি পাইনি কভু এক মিনিটের তরে
আমার হাজার কথা তুচ্ছ হলো তার কাছে বলিয়া।।

প্রেম কথাটি বলতে গিয়ে কলংকের হার গলে
নিন্দা আর ঘৃনা ছাড়া আর কী আমায় দিলে
পাগল মানুষ ঘুরে বেড়াই কান্দিয়া হাসিয়া।।

গান (৪৬) ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ইং

ওরে মন আমার মনের মানুষ আমি পাই কোথায়
মন বেচাকিনা করে মন যারে দেওয়া যায়।।

মানুষ দেখি শত শত
পাইনা মানুষ আমার মত
মন আমার আহত ক্ষত-বিক্ষত হয়ে ছটপটায়
পাই না মানুষ যার আছে হুশ
পথে ঘাটে দেখি মানুষ বেশি বেশি কথা কয়।।
মনের মানুষ আমি পাই কোথায়…..

মন আমার পাগলপাড়া
তাহার খোঁজে দিশেহারা
কোথায় গেলে যাবে ধরা মন ভোমরা মধু চায়
মনেরে বুঝাই কী করে
দেখে শুনেও বুঝে নারে মনের খুঁজে হাত বাড়ায়।।
মনের মানুষ আমি পাই কোথায়…..

টাকা পয়সা চায় না মন
মন হওয়া চায় মনের মতন
এমন একজন মানুষের মন বন্দি হলো পিঞ্জিরায়
হায় পিঞ্জিরা খুলিয়া দেখি
নকল আর ফাঁকিঝুঁকি সব নাট্য মঞ্চের অভিনয়।।
মনের মানুষ আমি পাই কোথায়….

গান (৪৭) ১৭ জানুয়ারি ২০১৪ ইং

ক্বাবাঘর ভেঙ্গে দিয়েছিস রে মন ভোলা
ক্বাবাঘর ভেঙ্গে দিয়েছিস ।।
যে ক্বাবায় রুকু করেছি
যে ক্বাবায় সিজদা করেছি
সে ক্বাবা ভেঙ্গে দিয়ে পাগল বানাইছিস
রে মন ভোলা ক্বাবাঘর ভেঙ্গে দিয়েছিস।।

দিনে রাতে সব বেলা
তোরই কথা হয় বলা
জায়নামাজ বিছায়া আমি নামাজ পড়েছি
তোর নামের তসবিহ জপেছি
তুই আমার মনের ভিতর ঝড় তুলেছিস
রে মন ভোলা ক্বাবাঘর ভেঙ্গে দিয়েছিস।।

দুই খানা হাত তুলিয়া
খানে ক্বাবায় বসিয়া
আমি আল্লাহু আল্লাহু জিকির ক্বলবে তুলেছি
তোর ছবি বক্ষে ধরেছি
তুই আমার খানে ক্বাবায় আগুন দিয়েছিস
রে মন ভোলা ক্বাবাঘর ভেঙ্গে দিয়েছিস।।

যেখানে আহার নিদ্রা নাই
সে ছাড়া দ্বিতীয় কেউ নাই
আমি আল্লা-রাসুল দুইটি নাম গলায় পরেছি
তুই-আমি এক হয়েগেছি
তুই অভাগা দেখে শুনে এ কী করেছিস
রে মন ভোলা ক্বাবাঘর ভেঙ্গে দিয়েছিস।।

গান (৪৮) ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ ইং

আমার ঘরখানা যে ভেঙ্গে গেলো কালবৈশাখী ঝড়ে রে
আমার মন যে কেমন করে আমার অন্তর পুড়ে মরে।।

যারে আমি বাসলাম ভালো মন-প্রাণ সপিয়া
সে যে আমায় ঘৃনা করলো কাছে না আসিয়া
আমার প্রাণ পাখি যে ছটপট করে
তারে না দেখিয়া রে।।
কালবৈশাখী ঝড়ে..
আমার ঘরখানা যে ভেঙ্গে গেলো কালবৈশাখী ঝড়ে রে…


আমায় ছেড়ে গেলো চলে পিছে না ফিরিয়া
সুখের দেশে চলে গেলো সাজিয়া-গুছিয়া
হায়রে একবারও হইলো না মনে
এই অভাগার কথা রে।।
কালবৈশাখী ঝড়ে..
আমার ঘরখানা যে ভেঙ্গে গেলো কালবৈশাখী ঝড়ে রে…

আশা ছিলো আমি হবো তার নয়নের জ্যোতি
ভেঙ্গে গেলো আশার বাসা নিদারুন নিয়তি
হায়রে আমার কথা ভুলে গেলো
সুখের পরশ পাইয়া রে।।
কালবৈশাখী ঝড়ে..
আমার ঘরখানা যে ভেঙ্গে গেলো কালবৈশাখী ঝড়ে রে…


গান (৪৯) ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ ইং

ওরে মনের মানুষ দুরে রেখে
মন কী করে ঘরে থাকে মন আমার মানে না রে
যার জন্য যে অন্তর কাঁদে সে কী কাঁদে আমার তরে
মন আমার মানে না রে…।।

এই দুনিয়া কয়দিন রে ভাই
মইরা গেলে কিছুই যে নাই
কেনো করো গর্ব বড়াই বুঝো না রে।।
তুমি নিলা নারে তাহার খবর
বাস করে যে তোমার ভিতর তুমি তারে চিনলা নারে।।

দিবানিশি তোমার তরে
যাহার হৃদয় পুড়ে মরে
তুমি সেই দরদী রে চিনলা নারে ।।
তুমি যদি চিনতা তারে
ডাকিতে হৃদয় ভরে রাখিতে না দূরে দূরে।।

জেনে বুঝে তুই আমারে
মারিস না আর এই মরারে
মানুষ ভবে কয়বার মরে তুই বুঝিস নারে।।
ওরে তুই যে আগুন জ্বালাইলিরে
সেই আগুনে অন্তর পুড়ে বন জঙ্গল পুড়ে না রে।।

গান (৫০) ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ইং

আমার মন ওড়েছে মদিনার পথে
ওই মক্কা-মদিনার ধুলি গায়ে মাখিতে।।

ব্যথিত হৃদয় আমার প্রেমের মানিক জ্বলে
ভালবাসার মূল্য আমার হলো না কপালে
দ্বীনের নবী ডাক দিয়াছেন তাহার রওজাতে।।

অন্তরের গোপন কথা শুনেনা কেউ এসে
যারে আমি ভালবাসি সে ভালো না বাসে
দ্বীনের নবী মুস্তফা ডাকিয়াছে ভালবাসিতে।।

গান (৫১) ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ইং

আমার মন মানে না
আমার প্রাণ মানে না
মন প্রাণ সপিয়া দিলাম সে তো বুঝে না।
আমার মন মানে না....

ধিকি ধিকি জ্বলে আগুন জলে নিভে না
যার সাথে প্রেম করিলাম সে তো বুঝেনা।।
আমার মন মানে না
আমার প্রাণ মানে না
মন প্রাণ সপিয়া দিলাম সে তো বুঝে না।
আমার মন মানে না....

দিবানিশি ঝরে আঁখি
ওড়ে যায় মনো পাখি
কী করি গো ওলো সখি বলে দেনা।।
আমার মন মানে না....

প্রেমের জ্বালা সেই বুঝে
প্রেম সাগরে ডুবেছে যে
শুকনায় বসে জলের মিন ধরা দেয় না।।
আমার মন মানে না....

গান (৫২) ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ইং

একজন মনের মানুষ পাই আমি কোথায়
যেজন আমার হয়ে দিবানিশি আমার কথাই কয়।।

মানুষ আছে হাজার হাজার
মনের মানুষ হয়না আমার
মনের কথা বুঝার মতো কী আছে উপায়।।

বুকের মাঝে আগুন জ্বালে
মনের মানুষ একজন পেলে
বুক ছিড়িয়া দেখাতাম রে জ্বলি কী জ্বালায়।।

আসে না কেউ মনের ঘরে
সবাই থাকে অনেক দূরে
হায়রে বন্ধু যদি থাকতো কেহ ডাকিতো আমায়।।

গান (৫৩) ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ইং

যন্ত্রনা আর কতো দিবি মরার আগেই দে
মরার পরে চিতার আগুন ধরবে না দেহে
আমার………….
দেহ পুড়ে ছাই হয়েছে প্রেমের অনলে
যন্ত্রনা আর কতো দিবি মরার আগেই দে…।।

প্রেমের বিষে মরি আমি লোকে দেখে না
দুনিয়ার মানুষ যে আমার প্রেম বুঝেনা
আমি জেনেবুঝে কলংকের ভুজ নিয়েছি কাধে।।

মুখের কথা চোখের দেখা দেখলি না এসে
একবার কাছে ডাকলি না রে প্রেমের পরশে
দুঃখে আমার বুক ফেটে যায় চোখ দুটি কাঁদে।।

আমি ভালবেসে অপরাধী তোর আদালতে
তাই ভাল লাগে নিঠুর বন্ধু আমায় কাঁদাতে
আমি যদি যাই মরিয়া বন্ধু কে আর কাঁদিবে।।

গান (৫৪) ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ইং

মালা কার গলে পরাই
ফুলের মালা বাসি হলো বন্ধু কোথায় পাই।।
মালা কার গলে পরাই….

পন্থ পানে রইলাম আমি
আসবে বলে বন্ধু তুমি
আর এলেনা এ পথ ধরে ভুলে গেছো তাই।।

দিবানিশি আশায় থাকি
বারে বারে তাকিয়ে দেখি
কে এলো রে দেখ লো সখি কেউ বুঝি রে নাই।।

নয়ন ভরে দেখবো তারে
সখি লো বলিস বন্ধুরে
তার নয়নে নয়ন রাখি মরিতে যে চাই।।

গান (৫৫) ৫ এপ্রিল ২০১৪ ইং

ওই নাম আমায় শুনাইও না প্রানে ব্যথা দিওনা
ওই নামে যে ব্যথা ভরা সইতে পারিনা।।

চোখের জল নদীর জল একাকার হলো
জলেতে জল মিশে জল কণা হারালো
তেমনি আমার চুকে গেলো সকল লেনাদেনা।।

নামের মালা গলায় পরে পাগল হয়েছি
বুঝেনা অবুঝ হৃদয় যারে ভালবেসেছি
মুখ দেখে দুখ বুঝা দায় যায়না তারে চেনা।।

প্রেম করে আসামি হলাম এ ত্রিভুবনে
নামের সুধা পান করে আজ অশ্রু নয়নে
নিঠুর কালা দুরে বসে বাজায় সুখের বীণা।।

গান (৫৬) ৯ এপ্রিল ২০১৪ ইং

অন্তর পুড়ে ছাই হলো রে বাহির থেকে দেখেনা
কেউ বাহির থেকে দেখেনা…
প্রেমানলে পুড়ে কিছু রইলো না।।

যার পিরিতে জ্বলে মরি
সে দিলো সুদুরে পাড়ি
এখন আমার নয়ন বারি কেউ তো চেয়ে দেখেনা।।

প্রেমের বিনিময়ে তারে
সপে দিলাম হৃদয়টারে
সেই হৃদয়ে আসন করে আমায় দিলো যন্ত্রনা।

প্রেমের নীতি এমন সখি
যেনো শ্রাবণে ঝরে আঁখি
সংকটে ঝড়ের পাখি কোথায় যাবে নাই জানা।

যার অন্তরে প্রেমের ঝড়
তার ভেঙ্গেছে সুখের ঘর
আপন মানুষ হলো পর কে বুঝে তার বেদনা।।

গান (৫৭) ১০ এপ্রিল ২০১৪ ইং

মানুষ মরে গেলে রয়না কিছু
বেঁচে থাকলে পিছুপিছু অহংকার আর বদমাইশটা ঘুরে
পাগল মনোরে কয়েদখানায় বন্দি করো তারে।।

পাশের বাড়ির গনি মিঞা
মরে গলো সব ছাড়িয়া একা বিদায় করে দিলাম তারে
ঘর-বাড়ি রাখিয়া গনি
ছাড়িয়া দু চোখের পানি একা বিদায় নিলো চিরতরে।।

দম থাকিতে দমের ঘরে
শক্ত করে বান্ধ তারে কুমন্ত্রনার নাটের গুরুটারে
লোভ-লালসা মোহ মায়া
ঈর্ষা নিন্দা সব ছাড়িয়া এক নিশানায় থাকো চরন ধরে।।

ভিসা টিকেট দিয়া হাতে
ছাইড়া দিছে দুনিয়াতে কেবল দুই চার দিনের তরে
থাকতে সময় একটু বাকি
করিও না তাকাতাকি চিনে নিও মনের মালিকটারে।।

গান (৫৮) ১২ এপ্রিল ২০১৪ ইং

না জানি কী অপরাধে হয়েছি দোষী
ভালবাসা জুটিলোনা কপালে আসি।।

যারে আমি বাসলাম ভালো
ব্যথার মালা গলায় পরালো
ভালবাসা হলো না মোর পূর্নিমার হাসি।।
প্রেমের অনল জ্বলে বুকে
দেখা যায়না চর্ম চোখে
প্রেমাদালতে প্রেমের ঝুলে প্রেম ফাঁসি।।

সর্ব সময় দেখি তারে
মনের ঘরে বসত করে
নিঠুর কালা মধুর সুরে বাজায় তার বাঁশি।।

গান (৫৯) ২০ এপ্রিল ২০১৪ ইং

তুমি পাশে থেকেও আছো দুরে এই যাতনা কেমনে সই
বন্ধু তোমার মনের মতো হলাম কই।।

মন যে সদায় তোমায় খুঁজে তুমি থাকো লুকিয়ে
দাও না দেখা প্রান সখা এসোনা মোর হৃদয়ে
তুমি বিনে প্রান বাঁচেনা
কেমন করে ঘরে রই।।
(আমি) বন্ধু তোমার মনের মতো হলাম কই।।

প্রেম কলঙ্গের অপরাধে অপরাধী হয়ে
দেশে দেশে ঘুরে বেড়াই উজান তরী বেয়ে
আর কতদিন রাখবে দুরে
আমি কী তোর কেহ নই।।
(আমি) বন্ধু তোমার মনের মতো হলাম কই।।

এক নজর না দেখলে তোমায় প্রাণপাখি যায় ওড়ে
শুন্য খাচা ঝড়-বাদলে খসে খসে পড়ে
তুই যে আমর প্রান সখা
মনের দুঃখ তোরে কই।।
(আমি) বন্ধু তোমার মনের মতো হলাম কই।।

গান (৬০) ২৪ এপ্রিল ২০১৪ ইং

পাখি আসা যাওয়া করে তোমার দেহ মাটির ঘরে
যেদিন পাখি ওড়ে যাবে আসবে না আর ফিরে।।

হাওয়ার উপর বেঁধে ঘর
থাকবে কী রে জনম ভর
আখি দুইখান বন্ধ হলে (পাখি) রইবে না আর নীড়ে।।

মনরে আমার রইলি ভুলে
দিন কাটালি হেসে খেলে
আপন খাচার পাখিটারে (তুই) দেখলি নারে ধরে।।

পাখির বাসা তোর ভিতরে
দেখলিনা তুই পাখিটারে
কপাল পোড়া এ সংসারে তোর চেয়ে আর কেরে।।

সময় থাকতে ও ভোলা মন
চিনে নাও পাখিটা কেমন
(বসে) পাখির মেলা সকাল বেলা মুর্শিদের বাজারে।।

গান (৬১) ১০ মে ২০১৪ ইং

কী দেখেছি দুই নয়নে জানিনা গো জানিনা
তোমায় ছাড়া পাগলপারা মন যে মানে না।।

অন্তরের ভিতরে তুমি
বাহিরে দেখিতে আমি
তুমি ছাড়া প্রান বাঁচেনা দুরে দুরে থেকো না।।

অন্ধকারে চাঁদের আলো
ঝিলিমিলি করে ভালো
কোথা থেকে মেঘ যে এলো চাঁদের হাসি দেখিনা।।

তুমি ছাড়া আমার মরন
জল ছাড়া মাছটি যেমন
অন্তরে বাঁধিয়া এ ঘর (মোরে) ঝড় হয়ে পর করো না।।

আছো রক্তনালী ধমনীতে
আছো তুমি দুই আঁখিতে
দুই নয়নের আলো তুমি (আমি) অন্যকিছু দেখিনা।।

গান (৬২) ১৫ মে ২০১৪ ইং

ও আমার প্রাণের বাঁশি আমি তোমায় ভালবাসি
বাঁশির সুরে প্রাণ ভরেছে যাবো না মথুরা-কাশী।।

দেখা দাও হে নয়ন কোনে
আর কিছু গো চায়না মনে
তুমি আমার মানিক-রতন আমি তোমার চরণ-দাসী।।

বাঁশি শুনে পাগল এ মন
ছুটে বেড়ায় যখন-তখন
ধরে রাখা যায়না তারে নামের মালা গলায় ফাঁসি।।

বাঁশির সুরে যাদু আছে
ফুঁ দিলে যাই বাঁশির কাছে
পাগল বানাইলো বাঁশি শয়নে স্বপনে আসি।।

বাঁশির যে সুর শুনি আমি
ওই সুরটি শুনোনা তুমি
বাঁশি আমার প্রেমের নদী আমি তাহার জলে ভাসি।।

গান (৬৩) ১৬ মে ২০১৪ ইং

দেহের বড়াই কইরো নারে ভাই…
দেহের বড়াই কইরো না ভাই দেহ গলে পঁইচা যায়
প্রাণ পাখিটি ওইড়া গেলে এই দেহের মূল্য কোথায়।।
থাকিতে পাখিটি ঘরে
পিঞ্জরায় ঢুকিয়া তারে
দেখো পাখি কেমন করে হাওয়ার ঘরে আসে যায়।।
দেহের বড়াই কইরো না ভাই…

মাটির ঘরে বসত করে ঘরের মালিক নিরঞ্জন
খোজ করিয়া দেখনা ভাই বৃথায়া গেলো এই জীবন
ছয় জনায় ডাকাতি করে
মানিক-রতন নিলো কেড়ে
এখন খালি হাতে দ্বারে দ্বারে কাঁদিয়া ভাসাও নয়ন।।
দেহের বড়াই কইরো না ভাই…..

আগুন পানি বাতাস মাটি এই ঘরের চার খুটি
ঝড় তুফানে ভাইঙ্গা গেলে মাটির দেহ হয় মাটি
তখন তোমায় বলিবে লাশ
মোহ-মায়া ভোগ আর বিলাশ
পাইবা না করিয়া তালাশ ভাল-মন্দের খুনশুটি।।
দেহের বড়াই কইরো না ভাই…..

গান (৬৪) ২৬ জুন ২০১৪ ইং

আমি গুরু তোমারে সপে দিলাম আমারে
জীবনে মরনে ঠাঁই যেনো পাই
দয়াল তোমার রাঙ্গা চরনে।।
ঠাঁই যেনো পাই দয়াল তোমার রাঙ্গা চরনে…

দয়া করে আমারে তুলে নাও তোমার নায়ে
কে আছে গো এই অধমের তুমি বিহনে
তুমি যদি মারো বাঁচাইতেও পারো
নাই গো দয়াল তুমি বিনে ত্রিভুবনে ।।

আমি পাপি বেশুমার হিসাব কিতাব নাই গোনার
এসো তুমি দয়া করে হৃদয় আসনে
তুমি যদি হও আমার চাই না সোনার সংসার
বাঁধিবো ঘর মনের ভিতর সংগোপনে।।

প্রেম-ভক্তি নাই আমার দয়া তবু হয় তোমার
অপার কান্ডারী নায়ের ঝড়-তুফানে
করিয়া আমায় মুমিন পাড় করিও ওই দিন
কাঠগরাতে দাঁড়াই যেদিন হাশর ময়দানে।।

গান (৬৫) ৩ জুলাই ২০১৪ ইং

প্রেমের বাগানে আছে আল্লা-রাসুল নাম
মুর্শিদের বাজারে এসে দেখিতে পেলাম।

প্রেম ছাড়া ফুটেনা সে ফুল
মন বাগিচা হয় না আকুল
ভ্রমরা বসে না ফুলে (তারে) কতই ডাকিলাম।।

গুরু তোমার চরন তলে
রাখিও যেয়োনা ভুলে
প্রেম কাননে হবো আমি মুর্শিদের গোলাম।।
লোক-নিন্দা কলংকের ভয়
সব ছাড়িয়া ডাকি তোমায়
কেউ বা ডাকে রহিম বলে কেউ বা বলে রাম।



































৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ড: ইউনুস দেশের বড় অংশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ভোর ৫:২০



ড: ইউনুসের ১ম বদনাম হলো, তিনি 'সুদখোর'; ধর্মীয় কোন লোকজন ইহা পছন্দ করে না; যারা উনার সংস্হা থেকে ঋণ নিয়েছে, তারাও উনাকে সুদের কারণে পছন্দ করে না; ধর্মীয়দের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগে তো পানি দিতনা মারার আগে। এখন ভাত পানি খাওয়াইয়া মারে।

লিখেছেন আহসানের ব্লগ, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪


আগে তো পানি দিতনা শেষ নিস্বাশের আগে। এখন ভাত পানি খাওয়াইয়া মারে। আর শামীম মোল্লা ভাইয়ের কপালে অবশ্য অত্যাচার ছাড়া কিছু জোটে নাই। “ভাই আমারে আর মাইরেন না বলে অনুনয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

শেখ হাসিনাকে থাকতে দেয়ায়, আপনি ভারতের উপর কতটুকু রেগেছেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৩



"শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের নো-ম্যানসল্যান্ডে ঘোরাফিরা করেছে; আশা করছে, যদি কোন বিএসএফ ধাক্কা দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত প্রবেশ করার ব্যবস্হা করে;" ইহা ছিলো ১ জন "নতুন মুক্তিযোদ্ধা"... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ এবং ২০২৪ এর হানাদার ও রাজাকারকে সমর্থন করা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০০



১৯৭১ সালের হানাদার আমাদের দেশের সম্পদ তাদের দেশে নিয়েগেছে। ২০২৪ এর হানাদার আমাদের দেশের সম্পদ বিভিন্ন দেশে নিয়েগেছে। কারণ আমাদের দেশই এদের দেশ। ১৯৭১ সালের হানাদার ছিলো ভিনদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা আর আমাদের ক্ষয়ে যাওয়া বিবেক

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬


একটা গল্প প্রচলিত আছে এমন: রমজান মাসে বাংলাদেশে বেড়াতে এলেন উত্তর কোরিয়ার এক নাগরিক। কোনো এক রোজাদারকে জিজ্ঞেস করলেন, আপনারা সারাদিন না খেয়ে থাকেন কেন?
উত্তরে রোজাদার বললেন, আমরা স্র্রষ্টার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×