৬ষ্ঠ পর্ব পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস (৬ষ্ঠ পর্ব - তুর্কিদের আক্রমণ, প্রতিরোধ ও আর্মেনিয়ান গণহত্যা)
ফ্রান্সের প্রতিরোধের মুখে জার্মান বাহিনী পিছু হঠে যেয়ে তাদের অধিকৃত অঞ্চলে ট্রেঞ্চ খনন করা শুরু করে। অন্যদিকে ফ্রান্স ও ব্রিটিশ বাহিনীও নিজেদের অবস্থান বজায় রাখতে ট্রেঞ্চ খনন করা শুরু করে। এভাবে কয়েক মাসের মধ্যে উত্তর সাগর থেকে শুরু করে সুইস সীমান্ত পর্যন্ত ৪৩৫ মাইল দীর্ঘ ট্রেঞ্চ খনন করা হয়। আর এই ট্রেঞ্চেই হতে থাকে দুই পক্ষের যুদ্ধ, কিন্তু কোন পক্ষই এগুতে না পেরে নিজেদের অবস্থানে থাকে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অগুণিত মানুষের মৃত্যুতে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশে যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। এপ্রিল, ১৯১৫ তে তখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ নেদারল্যান্ডের হেগে শান্তি সমাবেশ হয়। একই সময়ে ভ্যাটিকানে পোপ সকল দেশকে যুদ্ধ থামিয়ে রক্তক্ষয় বন্ধের আহবান জানান। কিন্তু শান্তির পরিবর্তে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হতে থাকে। ২৩ মে, ১৯১৫ ইটালী জার্মানীর পক্ষ অবলম্বনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু ফ্রান্স ও ব্রিটিশরা ইটালীকে প্রতিশ্রুতি দেয় তাদের পক্ষ নিলে অস্ট্রিয়ার অধিকৃত ট্রিয়স্ট ও ট্রেন্টো ইটালীকে প্রদান করা হবে। এর প্রেক্ষিতে ইটালী জার্মান পক্ষ ত্যাগ করে মিত্র বাহিনীর সাথে হাত মেলায়। অন্যদিকে তখন পর্যন্ত নিরপেক্ষ ইউএসএ ও ৭ মে,১৯১৫ এর এক ঘটনায় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। জার্মানীর ডুবোজাহাজের টর্পেডোর আঘাতে ১৫০০ যাত্রীবাহী একটি ব্রিটিশ জাহাজ ডুবে যায় যাতে ১২০ জন ইউএসএর নাগরিক ছিলেন যারা সবাই মৃত্যুবরণ করেন।
পশ্চিম ফ্রন্টে এগুতে না পেরে জার্মান বাহিনী হত্যেদম হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় জেনারেল এরিখ ভন ফকেনহেইমকে নতুন কমান্ডার-ইন-চীফ নিয়োগ দেয়া হয়।তিনি পশ্চিম ফ্রন্টে অবস্থান সমুন্নত রেখে পূর্বে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন।দীর্ঘ ৬ মাসের অভিযানে জার্মান বাহিনী ৪ আগস্ট,১৯১৫ ওয়ারশ পর্যন্ত দখল করতে সমর্থ হয়।(চলবে)
এরিখ ভন ফকেনহেইম