৪র্থ পর্ব পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস (৪র্থপর্ব - ফ্রান্সের সফল প্রতিরোধ)
বৃটেন, ফ্রান্স ও বেলজিয়াম জার্মানীর কলোনীগুলোতে যৌথভাবে আক্রমণ শুরু করে। তারা জার্মানীর ৫টি আফ্রিকান কলোনী টোগো, ক্যামেরুন, রুয়ান্ডা, নামিবিয়া ও তানজেনিয়াতে একসাথে আক্রমণ করা শুরু করে। তাদের লক্ষ্য ছিল কলোনীগুলো দখলের মাধ্যমে জার্মানীতে কাঁচামাল ও যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া। জার্মানীও তার কলোনী গুলো রক্ষায় প্রাণপন প্রতিরোধ গড়ে তোলে। এর মাধ্যমে আফ্রিকা মহাদেশও হয়ে ওঠে যুদ্ধের নতুন ফ্রন্ট।
অন্যদিকে এশিয়ায় জাপান তখন আর্থিক ও সামরিকভাবে দ্রুত উন্নয়ন করছে। বৃটেনের সফল দূতিয়ালীতে জাপান তাদের সাথে মিত্রতা ঘোষণা করে। এরই প্রেক্ষিতে জাপান চীনের পোর্ট অফ সিংতাও আক্রমণ করে যা চীনের উপকূলে জার্মানীর একটি এনক্লেভ। ৭ দিন ধরে জাপান আর্টিলারি শেলিং করে সিংতাও জার্মানদের দখল মুক্ত করে নিজেরা দখল করে। এরপর জাপান শুরু করে তার চীন দখলের অভিযান।
অন্যদিকে তখন প্রায় সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইস্তাম্বুল পর্যন্ত অটোম্যান সাম্রাজ্যের অধীন। তখন অটোম্যান সুলতান মেহমেদ ৫। কিন্তু দেশের প্রকৃত ক্ষমতা ও সৈন্য বাহিনীর নেতৃত্ত্ব ইয়ং টার্কিস নামক মুভমেন্টের হাতে যাদের নেতা আনোয়ার পাশা।
মেহমেদ ৫
আনোয়ার পাশা
আনোয়ার পাশা জার্মানীতে উচ্চশিক্ষা লাভ করেন যার ফলে তার জার্মানীর ভাষা-সংস্কৃতির উপর দখল ছিল। অন্যদিকে জার্মানী কূটনৈতিকভাবে অটোম্যান তথা তুর্কি শাসকদের সমর্থন লাভের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। এইদুয়ের সম্মেলনে অটোম্যান সুলতান জার্মানীর সাথে মিত্রতা ঘোষণা করে এবং একই সাথে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। আনোয়ার পাশা একে "হোলি ওয়ার" হিসেবে অভিহিত করে। অটোম্যানদের এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ জার্মানীর জন্য সুখবর বয়ে আনে। কারণ এতে করে দার্দানেলিস প্রণালী যা ভূ-মধ্যসাগর ও কৃষ্ণ সাগরকে যুক্ত করেছে তার উপর মিত্র অটোম্যানদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়াও রাশিয়াকে ককেশাস ফ্রন্টে ব্যস্ত রাখা যাবে। (চলবে)