৩য় পর্ব পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস (৩য় পর্ব -রাশিয়ার পিছু হঠা)
পশ্চিম ফ্রন্টে জার্মানীর সৈন্যরা ফ্রান্স দখলে অগ্রসর হচ্ছে। এরই মধ্যে ৩০ আগস্ট, ১৯১৪ ব্রিটিশ বাহিনীর গ্লস্টারশায়ার রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়ান ফ্রান্সে অবতরণ করে। এছাড়াও ফ্রান্সের বিভিন্ন কলোনী হতে আগত সৈন্যরাও অবতরণ করা শুরু করে। ফ্রান্সের সৈন্যদের সাথে ব্রিটিশ ও কলোনীয়াল সৈন্যগণ যৌথভাবে যুদ্ধ ফ্রন্টে মার্চ শুরু করে। ব্রিটিশ সৈন্য বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ছিলেন ফিল্ড মার্শাল স্যার জন ফ্রেঞ্জ। অন্যদিকে ফ্রান্স বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ ছিলেন জোসেফ জোফ্রি।
স্যার জন ফ্রেঞ্জ
জোসেফ জোফ্রি
পশ্চিম ফ্রন্ট প্রায় ৩৭০ মাইল দীর্ঘ এবং ২ মিলিয়ন জার্মানীর সৈন্য ৭ ভাগে বিভক্ত ছিলো। প্রথম জার্মান বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন জেনারেল ভন ক্লাক। তিনি তার সৈন্য নিয়ে শম নদী পাড় হয়ে মারনে নদীর দিকে অগ্রসর হন। একই সাথে অন্যান্য জার্মান ডিভিশনও মারনে নদীর দিকে অগ্রসর হতে থাকে।
জেনারেল ভন ক্লাক
ফ্রান্স তার সৈন্যদেরকে মারনে নদীর প্রতিরক্ষায় মোতায়েন করে। এর মধ্যে ফ্রান্স জেনারেল গ্যালিনি দ্রুত সৈন্য মোতোয়েনের জন্য অভিনব এক পদ্ধতি নেন। প্যারিসের সব ট্যাক্সি-ক্যাব ও তিনি সৈন্য মোবিলাইজেশনে ব্যবহার করেন।
গ্যালিনি
৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় মারনে নদী অতিক্রমের জন্য জার্মানদের তীব্র আক্রমণ। কিন্তু ফ্রান্স বাহিনীর আর্টিলারির তীব্র শেলিং জার্মানদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এইভাবে যুদ্ধচলার মধ্যে দিয়ে জার্মান বাহিনী অবশেষে ৯ সেপ্টেম্বর পিছু হঠতে বাধ্য হয়। এই অবস্থায় ফ্রান্স ও ব্রিটিশ বাহিনী তাদেরকে সমুদ্রের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাবার কৌশল নেয়। (চলবে)