শিশুর কাধে বস্তা ভরা বিদ্যা
- মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন
শিশু হেটে যায়।
বয়স হয়নিকো ছয়।
তবু একটা বিদ্যার বস্তা তার কাধে দেয়া হয়।
গ্রন্থগত বিদ্যা করতে অর্জন ,
শিশুকালের শিশুপনা করেছে বর্জন।
খেলাধুলা করেছে বর্জন।
খেলাধুলা করবে কোথায়?
মাঠ ছিল যেথায়,
সেথায় এক দালান উঠেছে।
সেই দালানের কুটিরে কুটিরে।
বিদ্যার দোকানিরা পসরা সাজিয়েছে।
বিদ্যা করতে বিক্রয়।
যাতে শিশু গুলো মানুষ হয়।
সার্টিফিকেটে অনুমোদিত মানুষ।
ছোট শিশু বিদ্যার বস্তা কাধে ছুটে।
সে এখন মাঠে দৌরায় না ।
খেলে না কুত কুত ,হাডুডু, গোল্লাছুট।
খেলে ফুটবল ক্রিকেট।
হাতে থাকেনা না বল ,বেট।
সকালে এক গ্লাস খেয়ে দুধ।
সে চলে বিদ্যার বস্তা নিয়ে।
ওজন তার যেমন তেমন।
বিদ্যার বস্তাখান মনের মতন;।
মা রোজ ভরে দেয় সেই বস্তা।
হরলিক্স নয় এতো সস্তা।
সেটা খেলে টানতে পারবে বস্তা
লম্বা হবে,শক্তিশালী হবে,
বুদ্ধি হবে ছুরির মত দাড়ালো।
মা বলে ,শিক্ষিকা বলে ,
পড়তে হবে বেশী ,
নোট,গাইড বই আনো।
সোনামনীকে রোজ খেতে দাও ডানো।
স্যার বলে ,বেশী করে খাও কমপ্ল্যান ।
খাও আরো হরলিক্স।
ডাক্তার হতে হবে,
পড়তে হবে ফিজিক্স।
ছোট থেকেই অংকে হও দক্ষ
মাথাটা তবেই হবে পরিপক্ক।
ছোট সোনামনী ভাবে।
ছুটি মিলবে কি ভাবে?
এই জেলখানা হতে।
বাবা বলে অবসরে কার্টুন দেখো।
স্যার বলে সেখানেও ইংরেজি শিখো।
এই যে বিদ্যালয়,
বিদ্যার আলয় তো নয়
বিদ্যার দোকান সবগুলো।
বিদ্যা করে বিক্রয়।
এই আজকের শিক্ষকগুলো।
শিক্ষকনয় তারা ,
বিদ্যার ব্যাবসায়ী তারা।
ছাত্রগুলো খদ্দের এখন।
বিদ্যা করে ক্রয়
যার যেটা প্রয়োজন হয়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২