আগামী
ধ্বংসের সীমানায়, স্বপ্নে সাজানো আঙিনায়
তুমি কি উন্নত শিরে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতায়
বেদনা ভুলে যাই, যখনই তোমাদের খুঁজে পাই
রাহুমুক্ত করতে প্রতিজ্ঞ বন্দী চেতনা
শোষণের দেয়াল ভেঙে আলোকিত দিনের সূচনায়।
তুমি আশা আগামী, অশ্রু ধোয়া আগামী
দুঃখী মানুষের দেশে সুখের কাহিনী শোনাই
তুমি আশা আগামী, মোহিত স্বপ্নে আমি
সোনালী দিনের আশায় প্রতীক্ষার দৈর্ঘ বাড়াই
বেদনার ধূসর বালুচরে।
তুমি কি কেঁদেছ যখনই অপমান দেখেছ
যখনই এই বাংলা সয়েছে কালিমা অবহেলায়
পরাজয় মুছে যায় তোমার দৃপ্ত পদচারনায়
নির্মূল তুমি করবে সমাজ থেকে ঘৃণ্য লুটেরা
শোষিতের বিজয়ের কালে বিকশিত মনের কামনায়।
রাহুমুক্ত করতে প্রতিজ্ঞ বন্দি চেতনা
নির্মূল তুমি করবে সমাজ থেকে ঘৃণ্য লুটেরা
সংকীর্ণতা ভাঙলে এদেশ হবে ঋদ্ধ ঠিকানা
শোষনের দেয়াল ভেঙে আলোকিত দিনের সূচনায়।
না
আর চার দেয়ালে কেন একা ডূবে থাকা
এই বর্তমানকে দূরে ঠেলে অতীতের ছবি আঁকা
আর যত কারনে এই দ্বিধার বাড়াবাড়ি
জাগবেনা আর জীবন তোমার হলে সান্ধ্য আইন জারি
আর কেন হাত গুটিয়ে বসে থাকা
কিসেরই ভয়ে ভয়ে
আমি নেই কোন নিষিদ্ধ পরিচয়ে
মন যাকে দেবে সিদ্ধান্ত আজই নাও
যাবে এক নিমিষে ছন্দময় হয়ে
শুধু না না না না না বলে, কর না না আসলে।
না না না……কালজয়ী বাঁধনে আমি বন্দী হতে জানি
থাকবেনা আর তখন আমার মহাবিশ্বের হাতছানি
আর যদি এ মনবের পরিবর্তন হবে ভাবো
ভেবোনা আর না এ তোমার উৎসাহ হারাবো।
রূপকথা
শক্তি দাও বিধাতা, অনন্তকাল ধরে জ্বলছে হৃদয়
হয়তো কেউ বোঝেনা কত সত্য প্রণয়
এসেছিলে বাঁচাতে আমায়, ভরে দিলে নতুন আশায়
রূপকথার মত
ভালবাসা কত যে সুন্দর, বুঝে তোমারই কাছ থেকে
স্বর্গেরই প্রতিরূপ
বলেছিলে খুঁজনা আমায় আমি যদি কভু হারিয়ে যাই
যেতে দিও আমায়
এলো সেদিন, তুমি হারিয়ে গেলে
মনে এলো, বলেছিলে তুমি হারিয়ে যাবে সে
শক্তি দাও বিধাতা, অনন্তকাল ধরে জ্বলছে হৃদয়
কষ্ট আর বুঝিনা, স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রেখেছে
ব্যার্থ আমি হবোনা, তুমি যে আমার স্বত্তাসঙ্গিনী
শান্তিগুলো সব আমার তোমার হৃদয় মাঝে।
মোরা কেঁদেছি একই দুঃখে, হেসেছি একই সুখে
কখনো ভাবিনি তুমি চলে যাবে
এভাবে রেখে আমায় একাকী।
আজও খুঁজে ফিরি নগরে-পল্লীতে
খুঁজে তোমায় পেতেই হবে, অস্তিত্ব তুমি আমার
যদি কেউ শোন এ গান আমার
যদি কেউ খুঁজে পাও ওকে, শুনিও এই গান
আমি খুঁজেছি তোমায় আজও পাহাড় চূড়াতে
সাগরের নীল অতলে, তবু কেন তোমায় খুঁজে পাইনা
রূপকথার সমাপ্তি হয়, হয় না তো সুখের বাসরে, দুঃখ আমারই।
পূর্ণতা
সেদিন ভোরে, বুকের গভীরে
শুনেছি জমে থাকা নীল বেদনার ডাকে
এই শহরে ইটের পাহাড়ে, ছিলোনা কেউ যে দেওয়ার প্রেরনা
যন্ত্রে বাঁধা মন, ছিলো ক্লান্ত অসহায়
অর্থে কেনা সুখ, ম্রিয়মান দুঃখের ছায়ায়
আর নয় সময় উদ্দেশ্যহীন মিছিলে
তুমি সেই পূর্ণতা আমার অনুভবে
আর নয় আঁধার, তুমি স্বপ্নে ডেকে নিলে
ভরে মন অন্তহীন রঙিন এক উৎসবে
আজকে শুনি আনন্দধ্বনি,
পৃথিবী ভরেছে সুখে বেঁচে থাকার মায়ায়
শূণ্য আশার জীবন্ত ভাষায়, অদূরে দেখেছি প্রানের মোহনা।
যেদিন
যেদিন খুশির কান্না ভেজাবে এই চিবুক
তোমায় নিমন্ত্রণ, আমার সাথে কাটিও কিছুক্ষন
যেদিন হাসির ছটায় ভরবে আমার বুক
বাঁধনহারা সুখ, বিলিয়ে দেব ভরিয়ে তোমার মন।
বাধার অরন্যে, স্থরিবতায় কতকাল কেটে যায়
তবুযে স্বপ্নে ছবি আঁকা
এখন মনে আমার অনন্ত করুন সুর, থেকো বহুদূর
দুঃখের অশ্রু ঝরুক আমার একা
এখন ঝড়ে কাঁপছে আমার ঘর, আপন কি পর
হাসলে সকাল আবার হবে দেখা
যেদিন স্রোতস্বীনির অকাল স্বর্গবাস
আর ব-দ্বীপের উপবাস, লজ্জায় আমি রব অন্তঃপুরে
যেদিন বর্শাঘাতে বিলীন পঙ্কিলতার গ্লানি
যদিও মন অভিমানী
ভিজবো তোমার সাথে উদ্দীপনায় পুড়ে
যেদিন বিজয় গর্বে ভাসবে আমার দেশ
মাতাল পরিবেশ
প্রথম প্রহরে জানাবো সুপ্রভাত
সেদিন জয়ের মিছিল ছুটবে ধেয়ে বেগে
থাকব সবার আগে
রাখবো আমি তোমার হাতে হাত
সত্য
যত সাজানো গল্পে, চাকচিক্যের আড়ালে
লুকানো সত্য নীরবে কেঁদেছে, নীরবে কেঁদেছে
লোভনীয় বিকল্পে, ধাঁধানো মিথ্যার মায়াজালে
বেনিয়ার যে নকশায়
পৃথিবী রঙ বদলায়
বিপণন জীবন অবলীলায়…
গোপনীয় অবক্ষয়, মানবেতর প্রাণের অনুনয়
বিকারী তথ্য সকল বাঁধ ভেঙেছে
সাধারণের ধিক্কার, সাদা মোড়কে লুন্ঠিত সুবিচার
বেনিয়ার যে নকশায়
পৃথিবী রঙ বদলায়
বিপণন জীবন অবলীলায়…
প্রজন্ম-২০১২
না শুনি তোমার কানে
না তাকাই তোমার পানে
না দেখি তোমার চোখে
চোখ রাঙিয়ে তাকাও কেন তুমি
হাঁটিনা আমি তোমার পথে
সখ্যতা নেই তোমার সাথে
না চলি তোমার মত
সমস্যা তোমার আমার তো নয়
গড়বো নতুন সমাজ, নেই ভেদাভেদ যেখানে
পিছে ফেলে সকল অনিয়ম, যে সমাকে সবাই সমান
জানো তোমার দিন হবে শেষ
তবুই তোমার এই বিদ্বেষ
না পারো দিতে মর্যাদা
নতুন চিন্তা আহবানে
হতে পারে ভিন্ন মোদের ভুবন চালচলন
হতে পারে ভিন্ন মোদের কথোপকথন
ভিন্ন মোদের চিন্তা-ভাবনা, ভিন্ন মোদের মন
তাই বলে মানবো নাতো কটাক্ষ সারাক্ষণ
আমরা নতুন প্রজন্ম গড়বো নতুন সমাজ
জেগে ওঠো নবীনেরা যুদ্ধ শুরু আজ
আমরা নতুন প্রজন্ম আনবো সংস্কার
আমরা নতুন প্রজন্ম ভাঙবো কুসংস্কার
বাঁকা হাসি তোমার চোখে, শঙ্কিত মোদের দেখে
ছিলে অটল তোমার যুক্তিতে, আজ কেন নড়েচড়ে তোমার মন।
জনস্রোত
সবাই বলে, আর তুমিও বলো
আর তুমি কি বলো, আর তুমি কি বলো, বলো?
যে পথ জনস্রোত করেছে অবরোধ
সেই পথ এখনও কি লাগছে ভালো?
কি লাগছে ভাল, বলো?
অবশেষ আর ভাবিনা, ভেঙে সীমানা, দেখি অজানা প্রান্তর
মেঠো পথ এঁকে চলেছি, ভয় ভুলেছি, গত হচ্ছে না মন্থর
আঁধার এর সাথে সন্ধি, নই বন্দী, নয় ক্লান্ত এ অন্তর
এইখান থেকে ফিরবার, পিছু হটবার, কোন প্রশ্ন অবান্তর।
সেই আমারই দেখা চাইলে, আমার খোঁজে ব্যস্ত হলে
জনাকীর্ণ পথের নিরাপত্তার মায়া একটু ভোলো।
প্রতিবাদে দিন গুনেছি আর শুনেছি অই রাবণের হুংকার
একটুও বুক কাঁপেনি, ঘাড়ে চাপেনি, তোষামোদের নমস্কার
কুয়োতেই ওরা বড়ো হোক, আর জড়ো হোক, হাতে চাতুর্য সম্ভার
অসীমের পথে চলবো, আর বলবো এই আমার অহংকার।
প্রতীক্ষা
দুঃস্বপ্নের শেষ সীমানায়, চমকে ঘুম ভেঙ্গে যায়
জেগে দেখি তুমি পাশে নাই, চোখ পড়ে খোলা জানালায়
জোছনায় আলো নেই আর, হতাশার কালো আঁধার
নির্বাক রয় ধরণী, দুঃখ যেনো আমারই
এক ঝিম-ধরা দিবা স্বপনে, আনাগোনা সন্দেহে
আমি একা মেতে উঠি, পুণ্যে বিকশিত
পাপের খেলায়, কারাগারের অবহেলায়
পচন ধরে এ মনে, শরীরে
কবে আসবে ফিরে ভালোবাসা
জীবনের সব আশায়, হতাশার আলিঙ্গনে
ঘুণে ধরা স্বপ্নগুলো, সব যেনো এলোমেলো
স্মৃতি নিয়ে আমি একা, ভাসমান এই জীবন
তাই বুঝি বেঁচে থাকা, জানিনা এর শেষ কোথায়
এক গোলক ধাঁধাঁয় আটকে পড়া, অবনত হৃদয়ে
দিশেহারা ছুটি আমি, রাতের আলোকিত, নগর প্রণয়,
ভালোবাসার প্রতারণায়, পচন ধরা বিশ্বাসে, আশায়…
এই দেশে ওয়ারফেইজ বাদে ব্যান্ড ইতিহাস রচনা করা হবে রীতিমত পাপের শামিল। ২৯ বছর, হ্যাঁ ২৯টা বছর ধরে তারা নিজেদের মান ধরে রেখেছে, নিয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে......গতো ৫ বছরে নতুন এলবামের গান শুনে এতো ভালোলাগা আর কখনো হয়নি।
এই এলবামে কমল ভাই আর অনির সলো শুইনেন, মাথা খারাপ অবস্থা।
গান শুনতে দয়া করে এলবাম কিনুন, দেশীয় শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখুন।
ওয়ারফেইজ রকজ (চিৎকার করে!) m/



সর্বশেষ এডিট : ২২ শে অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৯