১৯৯৬ সালে এভারেষ্ট অভিযাত্রীরা এক ভয়ংকর ঝড়ের কবলে পড়ে। এভারেষ্ট - ইতিহাসে সবচেয়ে বেশী পশ্চিমা পর্বতারোহী নিহত হয় এই দিনে ।
অভিযাত্রী দলের সদস্য যিনি পেশায় একজন সাংবাদিক এই ভয়াবহ দূর্যোগ অবোলোকন করেন ভুক্তভোগী হিসেবে, লিখেছেন " ইন টু থিন এয়ার " বইটি, যা ১৯৯৭ সালে বেস্ট সেলার হয় ।
বইটিতে লেখক তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন । বইটির অনুবাদ বা অংশ বিশেষ ধীরে ধীরে পোষ্ট করব ভাবছি ।
চ্যাপ্টার ওয়ান
বিশ্বের শীর্ষ বিন্দুতে দাড়িয়ে, এক পা চীনে আর অন্য পা নেপালে রেখে আমি আমার অক্সিজেন মাস্ক থেকে বরফ পরিষ্কার করলাম। বাতাসের বিপরীতে কাধ উচু করে, কিছুটা ঝুকে , তিব্বতের বিশালতার দিকে অপলক চেয়ে থাকলাম । আমি বুঝতে পরছিলাম আমার পায়ের নীচে মুছে যাওয়া পৃথিবীর দৃশ্যটা অভাবিত, অনিন্দ । এই মুহুর্তটার ছবি মনের মাঝে কত একেছি, আর এর অনুভুতিটা কেমন হবে বহু মাস ধরে তা ভেবেছি । কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন এখানে এলাম তখন ত অনুভবের শক্তিটুকুও হাড়িয়ে ফেলেছি।
সময়টা মে মাসের ১০ তারিখ, দুপূর বেলা । এর আগের ৫৭ ঘন্টা ঘুমাইনি। ঘত তিন দিনে খুব জোড় করে যতটুকু খাবার মুখের ভেতর ঢুকাতে পেরেছি তা ছিল এক বাটি সুপ , এক মুঠ ভাত আর কিছু বাদাম। কয়েক সপ্তাহের ভয়াবহ কাশিতে স্বাভাকিক শ্বাসটা নিতেই বুকের খাচার ভিতর অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছিল। ২৯০২৮ ফুট উচুতে , বায়ুর স্বল্পতায় ব্রেন এত স্বল্প এত অল্প অক্সিজেন পাচ্ছিল যে মস্তিষ্ক একটা নির্বোধ শিশুর মত কাজ করছিল। আমি বিশেষ কিছুই অনুভব করতে পারছিলাম না, শুধু শীত আর অপরিসীম ক্লান্তির অনুভুতিটাই বাকি ছিল !
আমি চুড়ায় পৌছেছিলাম আনাতোলি বুক্রেভের কয়েক মিনিট পর, আর এ্যান্ডী হ্যারিসের একটু আগেই ।রাশিয়ান বংশদ্ভুত বুক্রেভ একটা আমেরিকান এক্সপেডিশন কোম্পানীর গাইড। আমি একটা মুলত নিউজীল্যান্ড দলের সদ্স্য ছিলাম, আর এ্যান্ডী হ্যারিস ছিল সেই দলের গাইড।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৯