জন্মেছিলাম এক ঘন বর্ষায় নানুমনির হাতে
চেতনাশূন্য মা যে আমার ব্যথায় তখন কাঁদে
যেইনা আমি চেঁচিয়ে উঠলাম মায়ের কানের পাশে
সকল যন্ত্রণা ভুলে যেঁয়ে মা ফেলফেলিয়ে হাঁসে
কান্না ছেলের থামাতে পারছেনা কেহ , কি হল কি হল ?
মা যে তখন বুকে নিয়ে আমায় মায়াবী চুমু খেলো
যেমন মায়ের তেমন ছেলে চুপ হয়েছে কাঁদা
বুকের সাথে মিশিয়ে নিয়ে মা, প্রার্থনা করছে হে খোদা ।
বাবা গেল আযান দিতে মামা গেল মিষ্টি কিনতে
মায়ের মতই হয়েছি আমি, ভুল হলনা কারো আমায় চিনতে
কতইনা বডি গার্ড রেখেছিল আমার পোকামাকড়ের ভয়ে
রাত জাগে মা ঘুম পাড়িয়ে ছেলেকে বুকে নিয়ে
এমনি করে এলো একদিন নাম রাখার পালা
মাকে আমার দূরে সরিয়ে নেতৃত্বে ছোট খালা
নীয়াজ, সোহেল, সোহাগ, রাসেল, শাহীন ,শুভ ছয়টি নিলো খালা
লটারিতে দাদি উঠিয়ে বলল রাসেল নামটাই চালা ।
ছোট বেলায় শিখিয়েছ মা তুমি অনেক আদব লেয়াজ
সবকটি এখনো মনে পড়ে আমার ঠিক রেখেছি তার রেওয়াজ
অযথা হাজারো প্রশ্নের উত্তর দিতে মা আকুলিবিকুলি নিয়ে
রেগে গেলে বাবা দমক দিতে তুমি বলতে আমিই দিব শিখিয়ে
মা যে আমার চলার সাথী হাত ধরে হাত রাখি
তুমি ছেড়ে চলে গেলে মা নিভে যাবে চোখের বাতি
বড় হয়েছে দেখ তোমার খোকা আজ ২২ বছর তিন মাস বয়েস
মায়ের শেখানো আদর্শে আমি গড়েছি নিজের চয়েস ।।
___রাসেল হোসেন (০৬/১০/১৩)