আমার বন্ধু রুশোর পা ভাঙছে গত বছর নভেম্বর মাসে, এই অবৈধ বাকশাল সরকারের ৫ জানুয়ারীর একতরফা নির্বাচন রুখে দেয়ার আন্দোলন করতে গিয়ে। আওয়ামী পুলিশ ও গুন্ডাপান্ডা একসাথে আকস্মিকভাবে বি এন পি এর শান্তিপূর্ন মিছিলে গুলিবর্ষন করে।পরে আমার বন্ধু ঢাকার এপোলো হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেয়। এ্যপোলো হাসপাতালে তার দুই পায়ের অপারেশান হয় এবং পায়ের ভেতরে স্ক্রু দিয়ে প্লেট লাগালো হয়। তার হাটা চলার উপর রেস্ট্রিকশান দেয় এ্যপোলোর ডাক্তাররা। কমপ্লিট রেস্টে থাকতে বলছে ২ বছর।
বাংলাদেশের ডাক্তারদের উপর রুগীদের আস্থার অভাব আছে বিভিন্ন কারনে। এ্যপোলো ও ইউনাইটেড হাসপাতালের মত প্রতিষ্ঠানের লাশ আটকে রেখে টাকা আদায়, বা আই সি ইউ তে মরা লাশ জীবিত বলে দিনের পর দিন বিল আদায় করার ঘটনাগুলা রুগীদের মনে কিরকম প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে তা বলাইবাহুল্য।
তাই আমার বন্ধু ঠিক করে, ইন্ডিয়ার চেন্নাই এ্যাপোলো হাসপাতালে গিয়ে তার পা আবার চেকআপ করাবে। সফর সঙ্গী হিসাবে আমাকে ঠিক করে। আমি ত আমতা আমতা শুরু করে দিলাম। ইন্ডিয়া যাওয়ার ব্যাপারে আমার এলার্জি আছে।তাদের অনেক কিছুই আমার পছন্দ হয় না। ১১ সালে ঠিক করেছি, ব্যবসার প্রয়োজন ছাড়া আর ইন্ডিয়া যাবো না।কিন্তু কি আর করা, বন্ধুর পায়ের ব্যাপারটা সেনসেটিভ হওয়ার রাজী হলাম। রাজশাহীর ভিসা অফিসে পাসপোর্ট দিলাম। ৩০ দিন পর ৬ মাসের মাল্টিপোল ভিসা দিলো।
কলকাতায় আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিলো আর এক বন্ধু পিয়াস।তার বাড়ী খুলনা।ওর ইন্ডিয়ায় আমদানী রপ্তানী ব্যবসা আছে।আমার হাতে সময় কম থাকায় আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিলাম যেখানেই যাবো ফ্লাই করবো। কলকাতা থেকে চেন্নাই, ইন্ডিগো এয়ারে ভাড়া ৫৫০০ রুপি পার হেড।সময় ২ঘন্টা। ২ দিন চেন্নাই থাকতে হলো চিকিৎসার জন্য। ডাক্তার রিপোর্ট দিলো বাংলাদেশের চিকিৎসা পদ্ধতি ঠিক আছে। শুনে খুব ভালো লাগলো। ত, আমরা ঠিক করলাম গোয়া যাবো। চেন্নাই অনেক বড় শহর হলেও টুরিস্ট এট্রাকশান তেমন একটা নাই, আমাদের ঢাকার মত। আর তাছারা আমার বন্ধুর জন্য হাটাচলা কষ্টকর, তাই ঠিক করলাম গোয়ার বীচের কাছে কোন নিরিবিলি জায়গায় দুই তিন দিন রিলাক্স হয়ে থাকবো।
চেন্নাই থেকে স্পাইসজেট প্লেনে গোয়া চলে গেলাম।ভাড়া ৩৮০০ রুপি পার হেড। সময় ২ ঘন্টা। গোয়া এয়ারপোর্ট থেকে পানাজি শহরে চলে আসলাম।যেটা গোয়ার সিটি সেন্টার। সেখানে এক রাত থেকে কলভা বিচে চলে গিয়েছি। কলভা বিচটা মোটামুটি ভালোই(আমি এই পর্যন্ত যেকটা দেশের বীচ দেখছি সেগুলা আমাদের কক্সবাজারের কাছে কিছুই না। শুধুমাত্র সরকারের উদাসীনতার কারনে বীচটায় কোন সুযোগ সুবিধা নাই) তাই সেখানে ২ রাত থেকে আবার স্পাইসজেট বিমানে কলকাতা চলে আসছি।এবার ভাড়া ছিলো ৭৫০০রুপি পার হেড । মুম্বাই একটা আধা ঘন্টার স্টপেজ ছিলো। টোটাল সময় লেগেছিলো ৪.৫ ঘন্টা। পরের দিন, হোম সুইট হোম। এই ছিলো এবারের ইন্ডিয়া টুর।
যেহেতু বাহিরে ঘোরাঘুরি কম হয়েছে তাই ছবি তেমন একটা তোলা হয় নি।
গোয়ার অনেক বাড়ীঘর এই টাইপের............
পানাজী বা পানজীম এ পানজীম ইন ছিলাম।খুব চমৎকার হেরিটেজ হোটেল.
কোলাভা বীচ
আমরা তিনজন
এক ডিনারে ক্রাব খেলাম। ইয়য়য়য়য়ামি !
আমি
কোলাভা বীচে Acacia Palm Resort 2 রাত ছিলাম।
আমার দুই বন্ধু।
আমি