...............................................
[উৎসর্গ : হুমায়ুন আজাদ, যাঁকে আদর্শ ভাবলে প্রাণিত হই ]
...
সতর্কতা:
ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কার বা মুক্তচিন্তা বিষয়ে যাঁদের সংবেদনশীলতা রয়েছে,
তাঁদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে।
————————————
.
(১১)
অধিকাংশ প্রাণীর শব্দ বিক্ষেপণের দুটো মুখ থাকে-
একটা সামনে বা উপরে, অন্যটা নিচে বা পেছনে।
এই দুটো মুখের বিভেদ ঘুচাতে জানেন যিনি,
আজকাল তাকেই সফল মানুষ বলে।
(১২)
অফিস হচ্ছে সেই খোঁয়াড় যেখানে
নতুন কোন সৃজন হয় না,
যা আছে তা ধ্বংস করার প্রক্রিয়া ছাড়া।
(১৩)
মানুষের ব্যক্তিত্ব তাঁর চেহারায় নয়,
হাঁটার স্টাইলেই আঁকা থাকে।
(১৪)
‘না’ বলতে জানে না যে, তাঁর ‘হাঁ’ বলাটাই ভণ্ডামি।
(১৫)
অংক শেখার প্রথম পাঠই হচ্ছে অংক ভুলে যাওয়া,
ভুলতে না পারলে বিসর্জনের শুদ্ধতা আসে না।
(১৬)
কম্পিউটার বানায় যে, ততক্ষণই সে কম্পিউটার চালায়।
আর যে কম্পিউটার চালায়, আসলে কম্পিউটার তাকে চালায়।
(১৭)
শ্রাদ্ধের নামে মৃতের কোন শেষকৃত্য হয় না,
প্রকৃতপক্ষে জীবিতরা নিজেদেরই শ্রাদ্ধ করে।
(১৮)
আহার সংযমে দৈহিক ওজন বাড়ানোয় কোন অলৌকিকতা নেই,
রয়েছে বস্তুগত চাতুর্য্য।
(১৯)
গাম্ভীর্য একধরনের স্বার্থপর অক্ষমতা,
যা মানুষকে প্রকাশিত হতে দেয় না।
(২০)
মেরুদণ্ডের অবস্থান মানুষের হাড়বাঁধানো শিরদাঁড়ায় নয়,
যৌবনে থাকে জননযন্ত্রে, বার্ধক্যে ব্যাংক-ব্যালেন্সে।
...
[০১-১০] [*][২১-৩০]
...