ছবির বস্তুটাকে আপনি কি নারিকেল ভাবছেন ? নিশ্চিত থাকুন, এগুলো নারিকেল নয়। তবে তা যে-গাছের ফল বা বীজ, আমাদের অত্যন্ত পরিচিত সে গাছটাকে উদ্ভিদের বৈজ্ঞানিক শ্রেণীকরণে একে তৃণগোত্রের উদ্ভিদ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও গাছটির আকার আকৃতি বা উচ্চতা বিবেচনায় নিলে আমাদের অনভিজ্ঞ বিস্ময়ের সীমা থাকে না !
বীজই বলুন আর ফলই বলুন, চল্লিশ-পঞ্চাশ বছরে নাকি এই বীজ একবারই ধরে। তাও যদি গাছটাকে সেই বয়েস পর্যন্ত জীবিত রাখি আমরা। সমস্যা হচ্ছে গাছটির ব্যবহারিক প্রয়োজনের সাথে পাল্লা দিয়ে এতগুলো বছর দুধ-কলা খাইয়ে এই গাছ পোষার মতো ধৈর্য্য বা ইচ্ছা কোনোটাই মানুষের থাকে না। ফলে উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম ছাড়া এই বীজ দেখে যাওয়ার সৌভাগ্য খুব নগন্য মানুষেরই হয়।
ক'দিন আগে শেষ হওয়া ঢাকা বৃক্ষমেলা থেকে আমার এক বন্ধু এই বীজ দুটো কিনে আনেন। এমন কৌতুহল উদ্দীপক কাহিনী শুনে কার না ইচ্ছে হবে ওগুলোকে ফটোফ্রেমে বেঁধে রাখার ! মোবাইল ক্যামেরাটা তাক করে আমিও খিচে দিলাম।
যাঁরা চিনেন, তাঁরা তো চিনেনই। যাঁরা চিনেন না, সুযোগে চিনে রাখুন। এগুলো হচ্ছে ব্যাম্বো সীডস বা বাঁশের বীজ। তাও যে সে বাঁশ নয়, হালকা পাতলা নিরীহ মুলিবাঁশ !
[সর্বনিম্নের ছবিটি নেয়া হয়েছে ব্লগার সোহান বাশার-এর ব্লগ-পোস্ট ] থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬