। লিঙ্গান্তর...।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
(০১)
হঠাৎ করিয়া একখান গায়েবী আওয়াজ হইলো- ‘ হে প্রাণীগণ, সৃষ্টির পুনর্বিন্যাসকাল আসন্ন। এবার প্রস্তুত হও। অনতিবিলম্বে তোমাদের মধ্যে পরস্পর লিঙ্গ পরিবর্তন করিয়া দেওয়া হইবে।’
চিরিং করিয়া উঠিয়া বসিলো আক্কাছ। অজান্তেই বাম হাতখানা অভ্যাসবশত তলপেট বাহিয়া নিচে নামিতে লাগিলো। এইটা কী শুনিলো ! বৈচিত্র্যহীন ছুটির দিনের মধ্যাহ্ণভোজ সারিয়া ক্রমে ক্রমে গরম হইয়া ওঠা মাথাটাকে নতুন কভার লাগানো বালিশখানায় ভালো করিয়া রাখিতেও পারিলো না, ওই পাশের ঘর হইতে স্ত্রী খালিজা বানু ওরফে কলিজা বেগমের হম্বিতম্বিটাও পুরাদমে শুনা যাইতেছে, আচমকা এই গায়েবী ঘোষণা ! এইটা কী করিয়া সম্ভব ! পুরুষগুলা সব নারী হইয়া নারীগুলি পুরুষ হইয়া যাবে ! নাহ্, সে ভুল শুনিয়াছে !
কিন্তু সে যে ভুলই শুনিয়াছে, এইটা ভাবিয়া নিশ্চিন্ত হইবার সুযোগ কোথায় ! তার আগেই লাফাইতে লাফাইতে কলিজা বেগম আসিয়া উপস্থিত- ‘ শুনতে পাইছো কিছু ?’ উল্লাসে লাল হইয়া ওঠা কলিজা বেগমের ভয়ঙ্কর মুখখানার দিকে ততোধিক আতঙ্ক লইয়া আক্কাছ রেহান ওরফে আক্কু রায়হান নির্নিমেষ চাহিয়াই রহিলো। ‘বহুৎ তেল হইছে তোমার, এইবার বুঝবা ! ডলা খাইলে জমাইন্যা তেল সব কেমনে বাইয়া বাইয়া পড়ে !’ কথার শেষে চুঁ চুঁ করিতে করিতে উৎফুল্ল কলিজা বেগম নাচিয়া নাচিয়া বাহির হইয়া গেলো।
‘ বেটা মিনষেগুলা বউৎ বাইড়া গেছে খালাম্মা ! এইবার এমন চিপা দিমু, খালি বাপ বাপ করবো !...’ কাজের বুয়া কদমির মা’র ঝাঁঝালো গলাটা অতি উচ্চমার্গে উঠিবার আগেই তাকে থামাইয়া দিয়া কলিজা বেগমের মিষ্টি-মধুর শাসানির শব্দ শুনা গেলো- ‘ চুপ করো তুমি ! আর শুনো, কাইল থাইকা তো তুমি আর বাসার কামে আইতে পারবা না ! এরপর থাইকা তোমার অই বাদাইম্যা পোলাটা কী জানি নাম, হ, অই কদমরেই পাঠাইয়া দিয়ো।’
অনতিবিলম্বে যাহা ঘটিতে যাইতেছে, তাহার ফলাফল কোথায় গিয়া দাঁড়াইবে, আর কাহিনী যে কী হইতে যাইতেছে, তাহা আগাম কল্পনা করিয়া আক্কাছ শিউড়িয়া উঠিলো। নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের দ্রুতি বাড়িয়া বুকখানা দ্রুত উঠানামা করিতে লাগিলো। তখনি হঠাৎ করিয়া সন্দেহ হইলো- বুকটা কি কিঞ্চিৎ উঁচু উঁচু লাগিতেছে না ! নিশ্চিত হইবার জন্য বাম হাতখানা পুনরায় নড়িয়া চড়িয়া উঠিলো। এবং তখুনি সেই সোহাগী ডাকে চমকাইয়া উঠিলো- “ আক্কুউউউউউ.....!” অর্থাৎ আবারো কলিজা বেগম। “ আমার আক্কু বেগঅঅঅম...।” নামের লিঙ্গান্তরিত সম্বোধন শুনিয়া আচমকা মাথায় আগুন ধরিয়া গেলো ! এক্ষুনি ইহার একটা বিহিত করিবার নিমিত্তে চিৎকার করিতে গিয়াও শেষপর্যন্ত করা হইলো না। বুকের ভিতরে কোথায় যেন একটা তীক্ষ্ণ ব্যথা মোচড় দিয়া উঠিলো। আর কীইবা বিহিত করিবে সে ! এখন আর তাহার যে কিছুই করিবার নাই। পরিস্থিতি পুরা পাল্টাইয়া যাইতেছে ! তবে এই আপত্তিকর সম্বোধনের হেতু বুঝিতেও দেরি হইলো না। “ তোমার অই লাফাঙ্গা ইয়ারটা, গাবলু না লাবলু, অইটারে যে দেখি না আইজ কাইল ! তারেও এইবার আইতে কইয়ো ! মাইয়া হইলে তারে যা খাসা লাগবো না ! উফ !...” হাওয়ার মধ্যে এক অনির্বচনীয় তৃপ্তির শীৎকার ছাড়িয়া কলিজা বেগম ভাসিতে ভাসিতে পুনরায় চলিয়া গেলো।
দরদর করিয়া আক্কাছের ঘাম বাহির হইতে লাগিলো। আর দমকাইয়া দমকাইয়া আফসোসগুলিও ছলকাইয়া উঠিলো, আহা, কী কুক্ষণেই না এই মায়াদয়াহীন খান্নাছ মাইয়ালোকটার চক্করে সে পা দিয়াছিলো ! পুরুষ মানুষের একটু আধটু এইদিক সেইদিক যাইবার অভ্যাস থাকিতেই পারে ! তাহা না হইলে পুরুষ হইলো কী করিয়া ! অন্যথায় এই স্বামী পরিত্যক্তা কলিজা বেগমই বা আক্কু রায়হানের ঘরে আসিতো কিভাবে ! সেইদিন যদি এলাকার লোকজন তারল্যে বুদ হইয়া থাকা আক্কাছকে কলিজা বেগমের ঘরে হাতেনাতে ধরিয়া ফেলিয়া জোর করিয়া তাৎক্ষণিক বিবাহ করাইয়া না দিতো, কোথায় থাকিতো এই কলিজা বেগম ? দ্বিতীয় বিবাহের বোঝা ঘাড়ে লইয়া ঘরে আসিতে না আসিতে অরিজিনাল স্ত্রীটাও কিনা এক কথার উপর উল্টা তালাক দিয়া বাচ্চাটাকে হাতে ধরিয়া বাপের বাড়ি চলিয়া গেলো ! থলথলে কয়েক মণ মাংস লইয়া এই কলিজা বেগম কী করিয়া বুঝিবে যে, সেই দুঃখ ভুলিয়া থাকিতেই আক্কাছ ওরফে আক্কু রায়হানের পুরুষ শরীরটা এখনো মাঝে মাঝে একটু আধটু এইদিক ওইদিক চলিয়া যায় !
চরিত্রে কিঞ্চিৎ তারল্য আসিলেও ধর্মেকর্মে আক্কাছের বিশ্বাস বা মতিগতি এখনও শেষ হইয়া যায় নাই। তদুপরি এই গায়েবি বাণীকেই বা অবিশ্বাস করিবে কী দিয়া ! কোথায় যেনো পড়িয়াছিলো সে, বাহ্যিক পরিবর্তন হইবার আগেই মানুষের আভ্যন্তরীণ পরিবর্তন শুরু হইয়া যায়। কলিজা বেগমের ভাবভঙ্গিতে যে সেই আলামতই স্পষ্ট হইয়া উঠিতেছে, তাহা তো আক্কাছ হাড়ে হাড়ে টের পাইতে শুরু করিয়াছে !
সদ্য রূপান্তরিত আক্কাছের তন্বী শরীরটার দিকে ষণ্ডাপুরুষদেহী বীভৎস কলিজা বেগম যেইভাবে অশ্লীল আগ্রাসী লোলায়িত ভঙ্গিতে আগাইয়া আসিতে লাগিলো, দেখিয়াই তন্বী দেহখানা তাহার থরথর করিয়া কাঁপিতে লাগিলো। চক্ষু মুদিলেই ভবিষ্যৎ পরিণতির এইরকম ভয়ঙ্কর দৃশ্য ভাসিয়া উঠিলে আক্কাছের আর স্থির হইয়া চক্ষু বুজিবার উপায় রহিলো না। ভূমিকম্প হইবার প্রাক্কালে প্রকৃতির মধ্যে যেইরূপ অস্থিরতা শুরু হইয়া যায়, পাখিরা ইহাদের গাছ-গাছালির আশ্রয় ছাড়িয়া উদ্দেশ্যহীন কিচির-মিচির করিতে করিতে অস্থির হইয়া যায়, বাহিরেও সেইরকম কোলাহল শুনা যাইতে লাগিলো। এবং সেই সঙ্গে আক্কাছকেও বুঝি অস্থির রকমের অস্থিরতায় পাইয়া বসিলো। এতোকালের দ্বিপ্রাহরিক নিদ্রাভ্যাসখানিও তাহাকে এই জনমের মতো ছাড়িয়া গেলো, ইহাতে আর সন্দেহ রহিলো না। কিছুই ভালো লাগিতেছে না। শরীরখানাকে এইদিক ওইদিক বারকয়েক মোচরাইয়াও কোন লাভ হইলো না। অনতিবিলম্বে যে অসহনীয় অপমানের মুখাপেক্ষি হইতে হইবে তাহা ভাবিয়া হঠাৎ করিয়া আক্কাছের মরিয়া যাইবার ইচ্ছাটা জাগিয়া উঠিলো। এবং তৎক্ষণাৎ আর কিছু না ভাবিয়া শরীরে জামা-কাপড় চাপাইয়া ঝটপট ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলো।
(০২)
মরিবার জায়গারও কি এইরকম অভাব পড়িয়া গেলো ! মরিবার জন্য উপযুক্ত জায়গা খোঁজাও যে এতো বেশি কষ্টের কাজ তাহা আগে কখনোই বুঝিতে পারে নাই আক্কাছ। প্রতিদিন যত্রতত্র কতো মৃত্যুর সংবাদ পড়িয়াছে পত্র-পত্রিকায়। এইসব বালখিল্য কর্মকাণ্ডের ঘোর বিরোধীও ছিলো সে। কিন্তু আজ সেইসব ঘাটে-আঘাটে অকাতরে মৃত্যুপ্রাপ্তদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাবোধ জাগিয়া উঠিলো তাহার- সত্যি তো, কতো সাধ্য-সাধনা করিয়াই না তাহাদেরকে এই কাজে সফল হইতে হইয়াছে ! অবিশ্রান্ত হাঁটিয়া হাঁটিয়া শেষে শ্রান্ত ক্লান্ত হইয়া ফুটপাতের মধ্যেই বসিয়া পড়িলো আক্কাছ। শরীর আর টানিতেছে না। একটা রিক্সাও চোখে পড়িলো না। পড়িবে কী করিয়া ! প্যাডেলের উপর শক্তি প্রয়োগের পাশাপাশি যেটুকু উদ্যমের প্রণোদনা মিশাইলে শক্তি কর্মক্ষম হইয়া উঠে, তাহাই যে অনুপস্থিত। অতএব রিক্সা চালাইবে কে !
স্ত্রীর পৃষ্ঠের উপর চেলাকাঠ ভাঙিয়া যেইসব পুরুষকূল এতোকাল মরদবাজী দেখাইয়াছে, উহাদের অবস্থা আরও শোচনীয় দেখাইতেছে। আগাম ইঙ্গিত অনুভব করিয়াই কিনা উহারা রীতিমতো বিমর্ষ হইয়া পড়িয়াছে। তবুও শহর জুড়িয়া অস্থিরতা। কিন্তু কোথাও কোন উদ্যমের লেশমাত্র নাই। এই শেষ বিকালেও দোকানগুলির অধিকাংশেরই ঝাঁপ নামাইয়া ফেলা। দুই একটা যাওবা খোলা রহিয়াছে, ক্রেতাহীন বিক্রেতার ফ্যাকাসে মুখখানা হাতের চেটোর উপর ঠেশ দিয়া রাখা। রাজ্যের হতাশা ধারণ করিয়া অনিবার্য পরিণতির অপেক্ষায় বলীর পাঁঠার মতো নিশ্চুপ হইয়া আছে। এদিকে পুলিশী বরাদ্দের চাঁদা তুলিতে নির্ধারিত কেউ না আসিলেও ফুটপাতের ভ্রাম্যমান দোকানগুলিতে প্রাণের কোন স্পন্দন নজরে আসিতেছে না। রাস্তায় রাস্তায় মোড়ে মোড়ে যানজটের পরিবর্তে মানুষের জটই চোখে পড়িতেছে বেশি। কে কাহার উপর হুমড়ি খাইয়া পড়িতেছে, কে কাহাকে কিভাবে গুঁতো মারিতেছে এইসবে এখন আর কাহারও ভ্রক্ষেপই নাই। কে কাহার সঙ্গে কোথায় কিভাবে যাইতেছে কিংবা যাইবে সেইরকম তাড়া কিংবা কৌতুহলও নজর হইতেছে না। যেনবা মৃতদের মিছিল !
এইসব দৃশ্য পরিদৃশ্য প্রত্যক্ষ করিয়া আক্কাছ আরো বেশি মুষড়াইয়া পড়িলো। কতকাল আগে বাপ-মা মরিয়া গেলেও যেই অনুভূতি কখনো হৃদয়ঙ্গম করে নাই, আজ তাহার নিজেকে বড়োই এতিম মনে হইতে লাগিলো। সে এখন কী করিবে কোথায় যাইবে কিছুই বুঝিয়া উঠিতে পারিতেছে না। কোন পার্ক-টার্কে গেলে কেমন হইতো ! কিন্তু সেই উপায়ও নাই। শহরের কোন শৃঙ্খলাই আর অবশিষ্ট নাই। একেবারে দুমড়াইয়া মোচড়াইয়া সবকিছু এলোমেলো হইয়া গিয়াছে যেন। হঠাৎ আক্কাছকে খুব আতঙ্কে পাইয়া বসিলো। মরিতে তো পারিলোই না, এখন কি এই রাস্তার মধ্যেই পড়িয়া থাকিতে হইবে ! কোনরূপ সিদ্ধান্তে আসিবার আগেই একসাথে কতকগুলি হাসির শব্দে চমকাইয়া উঠিলো।
কতক মেয়েছেলে তাহাকে ঘিরিয়া ধরিয়াছে। কিন্তু মেয়েছেলেগুলোর চেহারায় রমণীসুলভ কমনীয়তার কোন ছোঁয়া আছে বলিয়া মনে হইলো না। তাহার বদলে কী রকম পুরুষালী ভাব প্রকট হইয়া উঠিতেছে। প্রথম দৃষ্টিতে হিজড়া বলিয়াই ভ্রম হয়। এদিক সেদিক তাকাইয়া খেয়াল করিলো সে, আরো যেসব মেয়েছেলেরা একটু বেশিরকমভাবেই রাস্তায় আসা-যাওয়া করিতেছে, সবার মধ্যেই এইরকমের পুরুষালী ভাব প্রকাশ পাইতেছে এবং তাহাদের চলনে-বলনেও লজ্জাশীলা কোমলতার জায়গায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষিত হইতেছে। ঘিরিয়া ধরা মেয়েছেলেগুলির একজন তো তাহার উদ্দেশ্যে ফিস করিয়া মুখে শিষ দিয়া বসিলো ! ডোন্ট-কেয়ার ভাবের আরেকজন আক্কাছের চোখে চোখ মারিয়া নিজের ঠোঁটগুলি যেইভাবে চাটিতে লাগিলো, তাহাতে অবস্থা খুব সুবিধার মনে হইলো না ! এবং তখনি তাহার তলপেটে তীব্র একটা ব্যথা চাগাইয়া উঠিতে লাগিলো। হায় আল্লাহ্, সময় কি তাহলে আসিয়া পড়িলো ! ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে কী রকমের একটা অনুভূতিও জাগিয়া উঠিতেছে !
নিরূপায় আক্কাছের কী মনে হইলো কে জানে ! এই ঘোর সন্ধ্যাবেলায় শহরের একটা বিশৃঙ্খল রাস্তায় বেঘোরে ছিঁড়াফাড়া হইবার জন্য নিজেকে বিলাইয়া দেওয়ার চাইতে চক্ষের বিষ হইলেও কলিজা বেগমকেই শ্রেয় মনে হইতে লাগিলো। সময় দ্রুত ফুরাইয়া যাইতেছে ! ইহা ভাবিতেই ঝটকা মারিয়া দাঁড়াইয়া গেলো সে এবং উহাদের বেষ্টনি মারাইয়া পড়ি কি মরি হইয়া উর্ধ্বশ্বাসে দৌঁড়াইতে লাগিলো। পিছন হইতে উহারাও বুঝি তাড়া করিলো। ক্রমশই নিকটবর্তী হইতে থাকা পায়ের শব্দে আক্কাছ তাহার নিজের গতি আরও বাড়াইয়া দিতেই কিসের উপর যেন হুমড়ি খাইয়া পড়িয়া গেলো।
(০৩)
বেলা দ্বিপ্রহরে লোডশেডিং-এর সিদ্ধ গরমে ঘুমের মধ্যেই পাশে শায়িত স্ত্রী কলিজা বেগমের সাথে উল্টাপাল্টা কিছু করিয়াছিলো কিনা ঠাহর করিতে পারিলো না। কিভাবে যেন খাট হইতে ছিটকাইয়া মেঝেতে পড়িয়া আক্কাছ সম্বিৎ ফিরিয়া পাইলো বটে। কিন্তু কিছুতেই সে নিশ্চিত হইতে পারিতেছে না, বিন্যাসমুহূর্তের আগে না কি পরে সে অবস্থান করিতেছে ! গায়েবী আওয়াজের কথা মনে হইতেই চিরিং করিয়া উঠিয়া বসিলো এবং অজান্তেই ফের বাম হাতখানা তাহার অভ্যাসবশত তলপেট বাহিয়া নিচে নামিতে লাগিলো...!
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
মিশরের ঝটিকা সফর ২০২৪ _ প্রস্তুতি পর্ব
দুনিয়াতে অনেকের কাছেই টাকা-পয়সা হাতে ময়লা। দুবাইয়ে থাকার সুবাদে সত্যিই অনেক মানুষকে দেখছি যারা এত টাকা খরচের রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে না। এ কারণেই লুই ভিতন ২০ লক্ষ টাকার টেডি বিয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন
তোমাদের অভিবাদন হে বিপ্লবী!
তোমাদের অভিবাদন হে বিপ্লবী!
বিপন্ন সময়ে, ইতিহাসের ক্রান্তিকালে
চাটুকারিতা আর মোসাহেবির আবশ্যিকতাকে দলে
স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে-
ছররা গুলি, টিয়ার শেল, গুপ্ত আক্রমন
সব কিছু ছাপিয়ে দৃঢ় চেতনায় অবিচল- বিজয়ের স্বপ্নে।
তোমাদের অভিবাদন হে... ...বাকিটুকু পড়ুন
অবশেষে রিক্সালীগ সফল!
অবশেষে আবারো সরকার হার মানলো। হার মানলো রিক্সালীগের কাছে। এটা শুরু মাত্র। এখন সবকিছুতেই হার দিয়েই চলতে হবে হয়তো। যেটা কারোরই কাম্য ছিলনা। কাম্য ছিল তাদেরই যারা অন্যায়ভাবে শত শত... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেগা মানডে: সংঘর্ষ, বিক্ষোভ ও অহিংস প্রতিবিপ্লবের ভূত চেপে বসেছে ঢাকাবাসীর ঘাড়ে !
ভ
ঢাকায় নৈরাজ্য বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হচ্ছে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে। আজকে তার সাথে ঢাকাবাসী প্রত্যক্ষ করলো অহিংস অভ্যুত্থান কর্মসূচীর! বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন
চিন্ময় ব্রহ্মচারী প্রভুকে গ্রেফতার করা হল কোন উদ্দেশ্যে?
আমার ধারণা চিন্ময় ব্রহ্মচারী প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্য। ভালো উদ্দেশ্যে তাকে গ্রেফতার করা হয় নাই। চিন্ময় ব্রহ্মচারীর কথা বার্তা আমার ভালো লাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন