সত্তরতম জন্মদিনে প্রফেসর ইউনূস।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
তিনি আমাদের একমাত্র নোবেল লরিয়েট। অনেক বিতর্ক তাঁকে নিয়ে। তিনিই কি এসব বিতর্কের জন্ম দেন, না কি নিজেদের কাটতি বাড়াতে মিডিয়াই এসব বিতর্কে ইস্যু তৈরির ঘৃতাহুতি দিয়ে যায়, তাও এক রহস্য বৈ কি। তবে কোন রাষ্ট্রনায়ক বা ওয়ার্ল্ড ক্লাস পারফর্মার না হয়েও অসাধারণ মেধা আর অনন্য সৃজনক্ষমতার চৌকস উপস্থাপন, অর্থনীতির ক্ল্যাসিক তত্ত্বকে উল্টে দিয়ে সৃষ্ট তত্ত্বের সাথে প্রয়োগযোগ্যতার বিস্ময়কর সাফল্য প্রদর্শন এবং সাদাসিধে ব্যক্তি-জীবনের গ্লামারাস কারিশমা ও ঈর্ষণীয় যোগ্যতা তাঁকে হতভাগ্য গরীব একটি দেশের সাধারণ শিক্ষক প্রতিনিধি থেকে এক প্রভাবশালী বিশ্ব-ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। তাঁকে নিয়ে আমরা যত বিতর্কই করি না কেন, বিশ্ব-মানচিত্রের এক কোণে পড়ে থাকা অসংখ্য সমস্যা-জর্জরিত বাংলাদেশ নামের ছোট্ট এই দেশটির বিশ্বপরিচিতি তুলে ধরতে তাঁর অবদান কোন অংশে কম নেই। এবং তাঁর মতো দ্বিতীয় আরেকটা বিশ্ব-ব্যক্তিত্ব তৈরি হতে এই হতভাগ্য জাতিকে আরো কতোকাল যে অপেক্ষা করতে হবে কে জানে। করে খাওয়ার বদলে কেড়ে খাওয়ার সংস্কৃতিতে পর্যুদস্ত এই দেশে তাঁকে নিয়ে অহঙ্কার আমরা করতেই পারি।
জ্ঞান চর্চা ও প্রয়োগের ক্ষেত্রে সব তত্ত্বই আমাদেরকে বাইরে থেকে ধার করে আনতে হয়। কিন্তু যে তত্ত্ব ও তার প্রায়োগিক কৌশলটি গোটা বিশ্ব আমাদের থেকে ধার নিয়ে যায় তা হচ্ছে ড. ইউনূসের ক্ষুদ্রঋণ তত্ত্ব। বিশ্ব অর্থনীতিতে যার প্রায়োগিক সাফল্যের কার্যকর প্রভাবের কারণেই নরওয়েস্থ নোবেল শান্তি কমিটি ২০০৬ সালে ক্ষুদ্রঋণের স্রষ্টা ড. ইউনূস ও তাঁরই সৃষ্ট এই তত্ত্ব প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংককে যৌথভাবে বিশ্বের সবচাইতে মর্যাদাপূর্ণ নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে।
বিশ্বের প্রায় সবগুলো মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারসহ আশিটিরও বেশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও অসংখ্য খেতাবে ভূষিত একক ব্যক্তি হিসেবে ড. ইউনূসের জুড়ি তিনি নিজেই। তাঁর ধারেকাছেও দুনিয়ায় আর কেউ আছে বলে জানা নেই। তিনি এই বাংলাদেশেরই সন্তান।
১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্ট্রগ্রামে জন্ম নেয়া বিরুদ্ধ স্রোতের যাত্রী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের এই ৭০তম জন্মদিনে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। শুভ জন্মদিন ড. ইউনূস।
[ ড. ইউনূসের জীবন ও কর্ম সম্পর্কে আরো জানতে গত জন্মদিনে দেয়া এই পোস্টটি] পড়ুন
১৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ট্রাম্পের প্রশাসনে একের পর এক ভারতপন্থী লোকজন নিয়োগ হচ্ছে...
ট্রাম্পের প্রশাসনে একের পর এক ভারতপন্থী লোকজন নিয়োগ হচ্ছে...
বলাই বাহুল্য, আগামী ৪ বছর বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার সবরকম চেষ্টাই ভারত করবে। এবং এখানে যদি আমেরিকাকে আংশিকভাবেও যুক্ত করা যায়, তাইলে সেই... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মর্দে মোমিন
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে জুবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনজন নিহত ও প্রায় শতাধিক আহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রেম বেশি না বিরিয়ানি বেশি
কলম্বিয়া সুপার মার্কেটের পাশে বসে তিতুমীর কলেজের এক কপোত-কপোতী ছুটিয়ে প্রেম করতেছে। এটা যে একটা সুপার মার্কেটের পাশের জায়গা, এটা যে জনবহুল বাংলাদেশের অতি জনবহুল একটা এলাকা এইটা ওদের মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আয়নাঘর
আয়নাঘর হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাউন্টার-টেরোরিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) দ্বারা পরিচালিত একটি গোপন আটক কেন্দ্রের নাম। শেখ হাসিনার আমলে তৈরি এই আয়নাঘরেই রাখা হতো গুম করে রাখা মানুষদেরকে। আলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিরিয়ানদের ইসলামিক রাজনীতি বুঝুন, বাংলাদেশের ভবিষ্যত বুঝতে পারবেন।
সিরিয়াকে ধ্ংস করেছে শিয়া ও সুন্নীরা; সুন্নীদের পক্ষে আইএস, আমেরিকা ও ইসরায়েল ছিলো, শিয়াদের পক্ষে ছিলো আসাদ, রাশিয়া ও ইরান। আপনি যদি সিরিয়ার পতনকে সঠিকভাবে বুঝেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন