জ্বালানি ছাড়াই বিদ্যুৎ উৎপাদন !
জ্বালানি ছাড়া কি বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব ? চমকে যাবার মতো কথাই বটে ! আপাত অসম্ভব এই কাজটাই সবাইকে বিস্মিত করে দেখিয়ে দিলেন ঝিনাইদহের যুবক গিয়াস উদ্দিন কচি। শনিবার (১৯ এপ্রিল ২০০৮) দুপুরে চট্টগ্রাম চেম্বার মিলনায়তনে চেম্বার কর্তৃপক্ষ প্রযুক্তিটি দেখাতে প্রদর্শনীর আয়োজন করে। নিউজ, প্রথম আলো রোববার, ২০ এপ্রিল ২০০৮।
প্রদর্শনীতে এক কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হাতেনাতে দেখানো হয়। প্রাথমিকভাবে ডায়নামো চালুর জন্য পিডিবি’র বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় এক মিনিট। ডায়নামো চালু হওয়ার পর বিদ্যুতের সংযোগ খুলে ফেলা হয়। অবশ্য যেখানে বিদ্যুৎ থাকবে না সেখানে হাতে ঘুরিয়ে ডায়নামো চালু করা যাবে বলে জানানো হয়। এক হাজার ওয়াট বা এক কিলোওয়াট শক্তির ডায়নামোটি টানা দশ মিনিট চালিয়ে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে একটি ড্রিল মেশিন, একটি টেবিল ফ্যান ও চারটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি জ্বালানো হয়। এতে খরচ হয় ৮০০ ওয়াট। বাকি ২০০ ওয়াট বিদ্যুৎ ডায়নামোয় নিজস্ব প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয়।
পরীক্ষামূলক এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৫০-৫৫ হাজার টাকা। ঝিনাইদহের যুবক গিয়াস উদ্দিন কচি ১৮ বছর ধরে মোটর ও ডায়নামো দিয়ে অনুশীলন করে প্রযুক্তিটি উদ্ভাবনে সফল হন। প্রযুক্তিটির সাফল্য দেখে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবুল কাশেম, পল্লীবিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) শহীদ উদ্দিন আহমেদ, জিইসি বাংলাদেশের পরিচালক (উৎপাদন) প্রকৌশলী এ বি এম এ বাসেত, ডয়েস পাওয়ার সিস্টেমের সার্ভিস ম্যানেজার প্রকৌশলী সৌমেন চক্রবর্তী প্রমুখ। প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, এই প্রকল্প দেখে মনে হচ্ছে বিদ্যুতের তত্ত্ব (ইলেকট্রিক্যাল থিওরি) বদলে যাচ্ছে। সফল হলে এটি হবে অবশ্যই যুগান্তকারী ঘটনা। জিইসির প্রকৌশলী এ বি এম এ বাসেত বলেন, ‘প্রকৌশলী হিসেবে আমি বলবো, এটা অসম্ভব। কিন্তু চোখের সামনে যা দেখছি তা আসলে বিস্ময়কর ! উদ্ভাবককে তার কৌশল গোপন রাখা উচিৎ।’
প্রযুক্তিটির উদ্ভাবক জানান, এক কিলোওয়াট শক্তির ডায়নামোটি তৈরিতে বিশেষ ট্রান্সফরমার, সার্কিট, ডায়নামো ও মোটরযন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া ১০ কিলোওয়াট শক্তির একটি প্রকল্পেও তিনি সফল হয়েছেন। তাঁর এই উদ্ভাবনের সূত্র হলো ‘সমন্বিত চক্রাকার ব্যবস্থায় শক্তি কখনোই নিঃশেষ হয় না।’
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানীরা নিশ্চয়ই নতুন করে ভাববেন। যদি জ্বালানী ছাড়াই বিদ্যুৎ উদ্ভাবনের এই বিস্ময়কর প্রযুক্তি সত্যিই সফল হয়, তাহলে বিজ্ঞানের ধারণায় যে এক অসম্ভব বিপ্লব ঘটে যাবে তা ভাবতেও রোমাঞ্চিত হতে হয়। বিশ্ব যেখানে আগামী দিনের সভ্যতায় বিদ্যুতের অনিবার্য আবশ্যকতা পূরণের জ্বালানির খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে, সেখানে এরকম একটা উদ্ভাবন অকল্পনীয় আশার সঞ্চার করে বৈ কি !
উন্নত বিশ্বের কোন জগৎখ্যাত গবেষণাগারের কোন বাঘা বিজ্ঞানী নয়, আমাদের দুর্ভাগা হতদরিদ্র এই সহায়-সম্বলহীন হতদরিদ্র দেশটির বুকে অনাদরে পড়ে থাকা মফস্বলের সুবিধাবঞ্চিত এক অতি সাধারণ যুবকের খেয়ালি সৃষ্টিতে পৃথিবীর ঘূর্ণায়মান চাকাটা এক নতুন গতিতে প্রাণবন্ত হবে !
এটা কি আদৌ সম্ভব !?

আলোচিত ব্লগ
শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা, লোভী এবং সাম্রাজ্যবাদীও বটে.....
শুধু হিংস্র, আগ্রাসী নয় ভারত লুটেরা এবং লোভীও....
জন্মলগ্ন থেকেই ভারতের হিংস্র ও আগ্রাসী। পাকিস্তানের সাথে যোগ দিতে চাওয়া এবং স্বাধীন থাকতে চাওয়া কিছু অঞ্চল যেমন হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাংকুর, ভূপাল, যোধপুর, জুম্ম-কাশ্মীর,... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গলা-বুক জ্বালা দেখে অম্বলের ওষুধ দিয়েছিলেন চিকিৎসক, চ্যাটজিপিটি ধরল ক্যানসার
ক্যানসার ধরল চ্যাটজিপিটি! চিকিৎসকেরা ভুল ওষুধ দিয়েছিলেন। তাতে অবস্থা আরও খারাপ হয় মহিলার। চ্যাটজিপিটিই বলে দেয়, কী রোগ বাসা বেঁধেছে তলে তলে। চিকিৎসকেরা ধরতেই পারেননি। কিন্তু চ্যাটজিপিটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র
২০০৮- ২০২৪, হাসিনা ভারতের জনম জনমের ঋণের কিছুটা শোধ করেছেন মাত্র
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের... ...বাকিটুকু পড়ুন
শিক্ষকদের দ্বৈত চরিত্র এবং বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার বেহাল দশা!
বাংলাদেশে শিক্ষার মান নিয়ে সবার মুখে নানা রকম কথা শোনা যায় । কেউ কেউ বলছেন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতি হচ্ছে , কেউ বলে দিন দিন তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এপিআই প্ল্যান্ট
ওষুধে দুটো উপাদান থাকে। ওষুধের যে রাসায়নিক উপাদানটি মূলত রোগ সাড়ানোর কাজ করে, সেটিকে বলে এপিআই। দ্বিতীয় উপাদানটিকে সহকারি উপাদান বলে, যেমন— স্টার্চ, রং বা ফ্লেভার।
এপিআইয়ের... ...বাকিটুকু পড়ুন