শিক্ষকদের পৃথক বেতন কাঠামো - ১
"মানুষ কি আর এমনি বটে,
যার চরণে জগৎ লুটে.....।"
মানুষের মর্যাদা ও মহত্ব বোঝার জন্য গানের এই দুটি চরণই যথেষ্ট। মানুষের সবচাইতে দুঃসাহসিক অভিযান হলো জ্ঞানের জগতে। জ্ঞানের সংগ্রহ, সন্চালন, সংযোজন এবং নতুন জ্ঞান সৃষ্টির যে আয়োজন তাকে আমরা শিক্ষা বলি। এই শিক্ষাই মানব সভ্যতার সবচাইতে বড় উদ্ভাবন। জ্ঞানের সাধনা মানুষকে দি্যেছে গভীর অন্তদৃষ্টি।
শিক্ষা বিষয়ক আলোচনা করতে গেলেই শিক্ষক বিষয়ক আলোচনাটিও সেখানে সরাসরি এসে উপস্থিত হয়। ২০০৬/২০০৭ -এর দিকের কথা, বাংলাদেশের একজন সেলিব্রেটির সাথে কথা হচ্ছিল। তিনি নিজেও একজন শিক্ষক । একটি আড্ডার আসরে তিনি সৃজনশীল পদ্ধতির গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন। একজন শিক্ষক হিসাবে আমি সেই আলোচনায় অংশ নিয়ে বললাম, " স্যার শিক্ষার উন্নয়নের জন্যে ভালো শিক্ষা পদ্ধতি আরোপ করা অবশ্যই জরুরী। তবে ভালো শিক্ষার প্রথম শর্তই হলো ভালো শিক্ষক, এটাই প্রথমে নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশে শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা সম্পর্কে আলোচনা বহুকাল ধরে চলছে। এ সম্পর্কে অনেক বিতর্ক হয়েছে রাজনৈতিক কর্মসূচীও গৃহিত হয়েছে, কিন্তু শিক্ষকদের অবস্থার বিশেষ কোন পরিবর্তন হয়নি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শিক্ষকদের বেতন কাঠামো যথেষ্ট ভালো । আমাদের দেশের ক্ষেত্রে সরকার প্রায়শঃই সম্পদের অভাবের ধুয়ো তুলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সরকার মনযোগ দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো যথা, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ইত্যাদি এমনকি তৃতীয় বিশ্বের বহু দেশের বেতন কাঠামো পর্যালোচনা করলেই বুঝতে পারবে যে, আমাদের শিক্ষক গোষ্ঠি কিভাবে বন্চিত।
২০০৯ সালে একটি জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০০৯ (চুড়ান্ত- খসড়া) প্রণয়ন করা হয়। সেখানে জাতীয় শিক্ষা পদ্ধতি, উদ্দেশ্য ইত্যাদি সম্পর্কে অনেক পয়েন্টই ছিল, কিন্তু নীতি বাস্তবায়নে মূল ভুমিকা রাখবেন যে শিক্ষকেরা তাদের বিষয়টি প্রায় উহ্যই থেকে যায়। এই নীতি নিয়ে অনেক প্রকার আলোচনা-সমালোচনাই হয়েছে কিন্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা, সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তেমন কোন প্রাধান্যই পায়নি।
৭ই ডিসেম্বর ২০১০-এ জাতীয় সংসদে জাতীয় শিক্ষা নীতি পাশ হয়। এখানে শিক্ষকদের মর্যাদা, অধিকার ও দায়িত্ব নিরূপন করেছেন। শিক্ষামন্ত্রণালয় জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৪টি উপ-কমিটি গঠন করে দ্রুত রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলেছেন । শিক্ষকদের মর্যাদা, অধিকার ও দায়িত্বগুলো নিম্নরূপে উপস্থাপন করা হয়েছে ঃ- * শিক্ষকদের মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা: শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা শুধুমাত্র সুবিন্যস্ত বাক্য গাথার মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে প্রকৃত অর্থে তাঁদের সামাজিক মর্যাদা দেয়া না হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন করা সম্ভব নয়। সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষকদের আত্মপ্রত্যয়ী, কর্মদক্ষ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে এক একজন সফল অবদানকারী হিসেবে গড়ে তোলা জরুরি। এজন্য শিক্ষকদের দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে, শিক্ষাখাতকে শক্তিশালী করার জন্য প্রাপ্ত বৈদেশিক বৃত্তি ও প্রশিক্ষণের সুযোগ শিক্ষকদের দেয়া হবে। আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সকল স্তরের শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা হবে। * শিক্ষকদের দায়-দায়িত্ব ঃ প্রাথমিক স্তর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সকল স্তরের শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দক্ষতা, মর্যাদা ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণ জরুরি। তাদের দক্ষতা ও দায়বদ্ধতা মূল্যায়নের অব্যাহত ব্যবস্থা থাকবে। * শিক্ষার সকল স্তরের জন্য উপযুক্ত দু'টি বিষয়ে অর্থাৎ মর্যাদা ও বেতনভাতাদিসহ সুযোগ-সুবিধার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা সুপারিশ করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতিনিধিত্ব সংবলিত উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করা হবে। * মহিলা শিক্ষকদের চাকুরিতে নিয়োগসহ কোন ক্ষেত্রেই বৈষম্য রাখা হবে না। সমযোগ্যতাসম্পন্ন মহিলাদের বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। * শিক্ষার সকল পর্যায়ে শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে জেষ্ঠ্যতা এবং শিক্ষার সকল পর্যায়ে তাদের শিক্ষকতার মান বিবেচনায় আনা হবে। সেজন্য শিক্ষকতার মান নির্ণয় করার পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে। গৃহীত প্রশিক্ষণও শিক্ষার সর্বস্তরে পদোন্নতির ক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে উন্নতমানের প্রকাশনা ও গবেষণা এবং গৃহীত প্রশিক্ষণ বিবেচনায় নেয়া অব্যাহত থাকবে। * শিক্ষাক্ষেত্রে ও সমাজে বিশেষ অবদান, মৌলিক রচনা ও প্রকাশনার জন্য শিক্ষকদের সম্মানিত ও উৎসাহিত করা হবে। * মেধা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষকদের শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে পদায়ন করা হবে এবং তাদের পদোন্নতির সুযোগ থাকবে। * শিক্ষক সংগঠনগুলোর উচিত শিক্ষকদের নৈতিক আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন করা এবং এ নীতিমালা অনুসৃত হচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করা । এ ব্যাপারে সরকারও একটি উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে। * দায়িত্ব পালনকালে পরীক্ষায় নকল ও অসাদুপায় অবলম্বন বন্ধ করতে গিয়ে শিক্ষকগণকে যাতে সন্ত্রাসী ও দৃষকৃতকারীদের হামলার মুখোমুখি হতে না হয় সে লক্ষ্যে তাদের নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। * পেশাগত আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শাস্তিমূলক পদক্ষেপসমূহ সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে এবং বিধিসম্মতভাবে প্রয়োগ করা হবে। * প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে ছুটির সময় ব্যতীত শিক্ষা সংক্রান্ত কাজের বাইরে অন্যান্য কাজে সম্পৃক্ত করা হবে না। * সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের অন্যান্যদের মতো অর্জিত ছুটির ব্যবস্থা থাকবে। * শিক্ষার্থীদের মনে সুকুমার বৃত্তির অনুশীলনে উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি, তাদের মধ্যে শ্রমশীলতা, সহনশীলতা, ধৈর্য্য, নিজ ও অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা এবং অধ্যাবসায়ের অভ্যাস গঠন; কুসংস্কারমুক্ত, দেশপ্রেমিক ও কর্মকুশল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা শিক্ষকদের প্রধান কর্তব্য। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণের ব্রত নিয়ে শিক্ষকবৃন্দ মনোযোগ সহকারে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করবেন। এজন্য শিক্ষকবৃন্দের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করা বাঞ্চনীয় । * শিক্ষকদের মর্যাদা, অধিকার ও দায়িত্ব বাস্তবায়ন করাই এখন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। এত কিছুর পরেও দেখা গিয়েছে । সরকার শিক্ষকদের জন্য প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাস ব্যতীত বেশি কিছু করেছে বলে দৃশ্যমান হচ্ছে না। প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাসে কি পেট ভরবে ?
৩রা আগস্ট ২০১১ সালের সমকাল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়নের বিষয়টি সরকার বিবেচনা করছে।ইউজিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউজিসি চেয়ারম্যান বৈঠকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এতে শিক্ষকদের জন্য পৃথক বেতন কাঠামো প্রণয়ন, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অবস্থান সংসদ সদস্যদের পরের ধাপে নির্ধারণ করা, উপাচার্যদের সম্মানিত ভাতা তাদের পদ, দায়িত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা, ইউজিসিকে সম্প্রসারিত করে কার্যপরিধি বিস্তৃত ও ক্ষমতায়ন করে উচ্চশিক্ষা কমিশন হিসেবে রূপান্তরিত করা, মঞ্জুরি কমিশনের বাজেটের ঘাটতি পূরণ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদে গ্রহণ করা উচ্চশিক্ষা কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়নের প্রস্তাব করা হয়। ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রস্তাব করেন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় বা উচ্চশিক্ষা কমিশনের প্রধান হবেন একজন পূর্ণমন্ত্রী অথবা পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদার দক্ষ, যোগ্য, প্রবীণ, প্রাজ্ঞ, বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি। একই সঙ্গে কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য বাড়িয়ে তাদের কেবিনেট সচিবের পদমর্যাদা দেওয়া প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
Click This Link
শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১১
শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা
বহুল আলোচিত জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ এর জন্য এখনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে শিক্ষানীতির আলোকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক এবং দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তর নির্ধারণ করায় শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায় ২৬ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক কোনোভাবেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে রাজি নন। আবার কলেজের শিক্ষকরা চান না স্কুলশিক্ষকে পরিণত হতে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠদানকারী কলেজশিক্ষকরাও প্রভাষক পদ হারাতে রাজি নন। সূত্রমতে, উচ্চমাধ্যমিক স্তরে অনেক কলেজের অস্তিত্বও এখন হুমকির মুখে। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদানকারী কলেজ প্রধানদের পদবি অধ্যক্ষ। নতুন শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হলে তারা প্রধান শিক্ষক হিসেবে অভিহিত হবেন। এটা তারা মেনে নিতে পারছেন না। কেননা অধ্যক্ষ আর প্রধান শিক্ষকের পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল এক নয়। একইভাবে প্রভাষক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকের বেতন স্কেলও এক নয়। জানা গেছে, বর্তমানে সারা দেশে আট হাজার 'ইন্টারমিডিয়েট কলেজ' রয়েছে। এর অধ্যক্ষদের বেতন স্কেল ২২ হাজার ৫০০ টাকা। দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মাধ্যমিক স্তর হয়ে গেলে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রধান শিক্ষক হিসেবে ১৫ হাজার টাকার স্কেলে বেতন নিতে হবে। একইভাবে প্রভাষকরা ১১ হাজার টাকার স্কেল থেকে স্কুলশিক্ষকের ছয় হাজার ৮০০ টাকার স্কেলে নেমে আসবেন।
এ অবস্থায় শিক্ষানীতি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতনভাতা কীভাবে নিরূপিত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অবশ্য এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট তিনটি অধিদফতরে এখন ঘনঘন সভা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে শিক্ষানীতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সভা থেকে তিন অধিদফতরকেই প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষার ওপর আলাদা প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। শিক্ষক সংগঠনের নেতারা বলেছেন, পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল ঢেলে সাজালেই শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এতে শিক্ষকরাও খুশি হবেন। অন্যদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, হঠাৎ করে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা স্তরে শিক্ষকদের পদমর্যাদা ও বেতন কাঠামো পরিবর্তন সম্ভব নয়। তবে সরকার শিক্ষকদের পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, 'সবাইকে সম্পৃক্ত করে শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কোনোভাবেই শিক্ষকদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা হবে না। তাদের মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সরকার আন্তরিক।' প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ৮ এপ্রিল শিক্ষানীতি প্রণয়নে জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ওই বছরেই সেপ্টেম্বর মাসে তাদের সুপারিশ জমা দেয়। গত বছর মে মাসে মন্ত্রিসভায় জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুমোদন পায়। পরে সেটি জাতীয় সংসদেও গৃহীত হয়। তবে বিরোধী দল ও সমমনা ধর্মভিত্তিক দলগুলো তখন এর বিরোধিতা করে। অবশ্য দেশের অনেক শিক্ষাবিদই শিক্ষানীতিকে স্বাগত জানিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন।
Click This Link
(চলবে)
(এই লেখাটিকে আমি পূর্ণাঙ্গ বলতে চাইনা। উপরন্তু আমার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা থাকার কারনে, লেখাটি ত্রুটিপূর্ণ হওয়াও স্বাভাবিক। এই বিষয়ে আমি পাঠকদের সাহায্য চাইব। আমি আশা করি, পাঠকদের মন্তব্য ও প্রতিমন্তব্যে লেখাটির ত্রুটি ধরা পরবে এবং আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লেখাটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে।)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০১২ রাত ৯:০৮