somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

ইংরেজি সাহিত্যে যে ১০০ টি বই আপনাকে পড়তেই হবে (সাত)

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৬১। 'ওয়েভ' লেখক- সোনালি দেরানিয়াগালা। ০০৪ সালে ক্রিসমাসের একদিন পরে শ্রীলঙ্কায় দেরানিয়াগালা তাঁর স্বামীকে তাদের হোটেল রুমের জানালার কাছে ডাকে। সে বলেছিল, “আমি তোমাকে অসংলগ্ন কিছু দেখাতে চাই।” তখন সমুদ্র স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে কিছুটা ফুলে-ফেঁপে থাকা মনে হচ্ছিল। সমুদ্র স্বাভাবিকের চেয়ে আরো কাছে মনে হচ্ছিল। মুহূর্তের মধ্যে সমুদ্র তাদের উপরে চলে এসেছিল। সেই সময় দেরানিয়াগালা তাঁর স্বামী, বাবা-মা, তাঁর দুই তরুণ ছেলেকে ভারত মহাসাগরের সুনামিতে হারান। তাঁর বেঁচে থাকাটা ছিল অলৌকিক। এই বইতে সোনালি তাঁর সেই স্মৃতি অতিরিক্ত ভাবাবেগ ছাড়াই খুব ঘনিষ্ঠ বর্ণনায় তুলে ধরেছেন। এই বইটি উত্তেজনাকর ঘটনায় পরিপূর্ণ।

৬২। 'আখেনাতেন' লেখক- নাগিব মাহ্‌ফুজ। উপন্যাসটির একটি বিশেষত হলো, এর রচনা শৈলী। ১৪৪ পৃষ্ঠার এ উপন্যাস জুড়ে শুধু একজন লোক সম্পর্কেই প্রশ্ন করে গেছেন সত্যানুসন্ধানী মেরিয়ামুন। খ্রিস্টপূর্ব চতুর্দশ শতকের ফারাও সম্রাট আখেনাতেন, যিনি ফারাও সম্রাট তৃতীয় আমেনহোতেপের দ্বিতীয় পুত্র।

৬৩। 'ম্যাডাম বোভারি' লেখক- গুস্তাভ ফ্লবার্ট। একজন চিকিৎসক নারীর জীবনের নানা বর্ণিল দিকগুলোর অসাধারণ উপস্থাপন উপন্যাসটিকে হৃদয়ছোঁয়া করেছে পাঠকদের কাছে। উচ্চাভিলাষী জীবনযাপনের আড়ালে একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের খোঁজে নতুন করে স্বপ্নবোনা এবং সব প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার গল্প উপন্যাসের কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে পাঠকদের প্রতিটি পৃষ্ঠা পড়ে যাওয়ার পেছনের আসল শক্তি।

৬৪। 'আততায়ী' লেখক- কেন ফলেট। সময় - ১৯১৪ সাল । বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আভাস পেতে শুরু করেছে সবাই । আর সেই যুদ্ধকে সামনে রেখেই রাশিয়া আর ইংল্যান্ড গোপন এক চুক্তিতে যুক্ত হতে ইচ্ছুক । যার ফলে উভয় দেশই লাভবান হয় । সেই চুক্তির জন্যই লন্ডনে আসে এক রাশিয়ান কূটনৈতিক । কিন্তু এই চুক্তি যেন না হয় আর রাশিয়া আর ইংল্যান্ডের এই সম্পর্কের ইতি ঘটে সেই ব্যবস্থা করার জন্য রাশিয়া থেকে আসে একজন এনার্কিস্ট । যার হৃদয়ে ভয়ের অস্তিত্ব নেই । বরং আছে উপস্থিত বুদ্ধি , ধ্বংসলীলা চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জিনিস তৈরির দক্ষতা । এই যখন গুরগম্ভীর পরিস্থিতি তখন এর মাঝে ১৯ বছর আগের একটি প্রেমকাব্যের স্মৃতিচারণ করা হয় । কি উম্মাদ , উত্তাল সেই প্রেম । দৈবক্রমে এই প্রেম , রাজনীতি একে অপরের সাথে মিশে যায় । গল্প আগাতে থাকে নতুন এক মাত্রায় ।

৬৫। 'বর্ন আইডেন্টিটি' লেখক- রবার্ট লুডলাম। তার কোনো অতীত নেই; স্মৃতিভাণ্ডার একেবারেই শূন্য। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাগর থেকে একদল জেলে তাকে উদ্ধার করে। নিজের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা করতে গেলে প্রচণ্ড ক্ষমতাবান একদল লোক তাকে হত্যা করার জন্যে মরিয়া হয়ে ওঠে। ওদিকে সন্ত্রাসের যুবরাজ কার্লোসও তাকে খুন করার জন্যে মরিয়া। কিন্তু কেন, কিসের জন্যে, তার কিছুই জানে না জেসন বর্ন। একে একে বদলে যেতে থাকে তার পরিচয়। শেষপর্যন্ত কি জেসন বর্ন, এই সব ভয়ঙ্কর লোকের হাত থেকে বাঁচতে পারবে, জানতে পারবে নিজের সত্যিকারের পরিচয়? বর্ন সিরিজের প্রথম উপন্যাস "বর্ন আইডেন্টিটি"!!

৬৬। 'দ্য গার্ল উইথ ড্রাগন টাট্টু' লেখক- স্টিগ লারসন। এক ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক যখন মানহানির মামলায় সাজা পেয়ে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ঠিক তখনই অপ্রত্যাশিতভাবে অভিনব একটি প্রস্তাব আসে তার কাছে-ত্রিশ বছর আগের এক তরুণীর নিখোঁজ কেসটি তদন্ত করতে হবে। এক পর্যায়ে সমাজচ্যুত অদ্ভুত এক মেয়ে লিসবেথ সালান্ডারের সাথে পরিচয় ঘটে সাংবাদিকের। শুরু হয় দু’জনের তিন তিনটি ভিন্ন মিশন। টান টান উত্তেজনার অসাধারণ এই থৃলারটি বর্তমান বিশ্বে সবচাইতে বেশি বিক্রি হওয়া উপন্যাস।

৬৭। 'রিভার গড' লেখক- উইলবার স্মিথ। পড়েছি। স্মিথ কিছু সত্য আর কিছু তার কল্পনা দিয়ে বইটি লিখেছেন। বাস্তব।উপন্যাসটি মূলত প্রেম, হত্যা, জিঘাংসা, লোভ ইত্যাদি নিয়ে। এটি লেখকের মিসরীয় সিরিজের প্রথম বই।

৬৮। 'ম্যাপ অব বোন্‌স' লেখক- জেমস রোলিন্স। জার্মানির প্রাচীন এক ক্যাথেড্রালে প্রার্থনারত মানুষদের অজানা নিষ্ঠুর এক পদ্ধতিতে খুন করে সনড়বাসীর পোশাক পরা ডাকাতদল। ক্যাথেড্রালে রাখা মূল্যবান গুপ্তধন ফেলে তারা নিয়ে যায় পুরনো কিছু হাঁড়। এই হাঁড়ের আড়ালে লুকানো আছে অজানা এক নির্দেশনা, যার ভিত উন্মোচিত হলে মহাবিপর্যয়ের মুখে পতিত হবে মানবসভ্যতা। বিপর্যয় ঠেকাতে তদন্তে নিয়োগ দেয়া হয় সিগমা ফোর্স এজেন্ট কমান্ডার গ্রেসন পিয়ার্স আর তার দলকে, তাদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে ভ্যাটিকান বিশেষজ্ঞ ভেরোনা আর লেফটেনান্ট র‌্যাচেল। তদন্ত শুরু হতেই বাধার সন্মুখীন হয় তারা। একের পর এক আμমন আর ধ্বংসযজ্ঞের মুখে জীবনবাজি রেখে এগিয়ে যেতে থাকে অভীষ্ঠ লক্ষ্যের দিকে। এক দিকে বাইবেল, ইতিহাস, মিথ আর বিজ্ঞানের দূর্ভেদ্য পাজল আর অন্যদিকে শক্তিশালি প্রতিপক্ষ।

৬৯। 'অ্যাম্বার রুম' লেখক- স্টিভ বেরি। পৃথিবীর সবচাইতে ব্যয়বহুল আর রহস্যময় একটি বিষয় হলো অ্যাম্বার রুম। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর থেকে এটি লাপাত্তা। দীর্ঘদিন পর একদল লোভি মানুষ সক্রিয় হয়ে ওঠে। খুন হয় এক বৃদ্ধ। ঘটনা মোড় নেয় ভিন্ন দিকে। তারপর বেরিয়ে আসতে থাকে নানান কাহিনী। টান টান উত্তেজনার একটি ট্রেজার-হান্ট থৃলার।

৭০। 'দ্য শাইনিং' লেখক- স্টিফেন কিং। দ্য শাইনিং উপন্যাসটিকে হরর থৃলার জগতের ক্লাসিক মাস্টারপিস বলা হয়। জ্যাক আর ওয়েন্ডি স্বামী স্ত্রী। তাদের পাঁচ বছরের একটা বাচ্চা ছেলে আছে যার নাম ড্যানি। জ্যাক সাবেক মদ্যপ এক ব্যক্তি। যে অনেক কষ্টে মদ থেকে নিজেকে দূরে রেখেছে, কিন্তু এমন কোন দিন নেই যেদিন তার মদের নেশা মাথায় চড়েনা। সে চাকরিহীন। ঘনিষ্ট বন্ধু আল শকলির সুপারিশে সে ঐতিহাসিক হোটেল 'ওভারলুক' এ শীতকালীন কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি পায়। হোটেলটা যেখানে অবস্থিত, সেখান থেকে শীতকালে কোন জায়গাতেই কোন রকম যোগাযোগ করা অসম্ভব ব্যাপার। সেখানে সে তার পরিবারকে নিয়ে ওঠে। শীতের সময় এই হোটেলটি সংস্কারমূলক কাজের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, ফলে এখানকার অতিথিরা চলে যান অর্থাৎ এটি শুন্য হয়ে পড়ে। কিন্তু ২১৭ নম্বর কক্ষে এক রহস্যময়ী নারী থেকে যান। কিন্তু তিনি কখনো জনসমক্ষে আসেন না। আবার গভীর রাতে প্রায়ই মুখোশধারী কিছু ব্যক্তিকে লিফট দিয়ে উঠানামা করতে দেখা যায়। কিন্তু আসলে তারা কারা? গভীর রাতে হটাৎ করেই এই হোটেলটি যেন একটি প্রাণীর মতো জীবন্ত হয়ে উঠে! এই হোটেলে তো আধিভৌতিক রহস্যময় কিছু একটা আছেই! কিন্তু কি সেটি ?
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রসঙ্গঃ ডক্টর ইউনুস স্যারের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য...

লিখেছেন জুল ভার্ন, ৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:০৪

প্রসঙ্গঃ ডক্টর ইউনুস স্যারের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য...

জাপান সফরে ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস স্যার উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন- "দেশের একটামাত্র দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়"।


কথাটা আংশিক সত্য।
কারণঃ
★ দেশে রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কৃমির হাজার বছরের ঘুম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩০ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:০৬




রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ার পারমাফ্রস্টে ৩০০টি প্রাগৈতিহাসিক কৃমি আবিষ্কার করেছেন, যার মধ্যে দুটিকে সফলভাবে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয়েছে। এই কৃমিগুলি হাজার হাজার বছর ধরে বরফে আটকা পড়ে ছিল, তবুও গলানোর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নির্বাচন চাইলে নির্বাচন কমিশনের কাছেই চাইতে হবে, ড. ইউনুসের কাছে নয়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ৩০ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:১৯


বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরেফিরে আসছে—বিএনপি আসলে নির্বাচন চায় কার কাছে? সম্প্রতি নানা বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, দলটি যেন নির্বাচন চাচ্ছে ড. ইউনুসের (অর্থাৎ প্রধান উপদেষ্টার) কাছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভাবে মটরবাইকে স্বস্ত্রীক ট্যুর দেই

লিখেছেন অপলক , ৩০ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫০



আসলে আমি ফ্রিডম পছন্দ করি। আদেশে নয়, অনুরোধে মন গলে আমার। শহুরে হট্টগলের চেয়ে প্রকৃতি ভাল লাগে। দল বেঁধে ট্যুর দেবার চেয়ে একাকি ট্যুর দিতে ভাল লাগে। বনের কুকুররা... ...বাকিটুকু পড়ুন

"বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি".....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ৩০ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

"বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি".....


বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ হতে হবে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি। হতে হবে সকল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের এই দর্শনের নিহিত রয়েছে আত্মসামাজিক,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×