সাজেক এমন একটি যায়গা যেখানে ভাগ্য ভাল হলে ২৪ ঘণ্টায় আপনি প্রকৃতির তিনটা রূপ দেখতে পারবেন ।কখনো খুবি গরম একটু পরেই হটাত বৃষ্টি এবং তার কিছু পরেই হয়ত চারদিকে ঢেকে যাবে কুয়াশার চাদরে । রাতে এই দুর্গম পাহাড়ের চুড়ায় যখন সোলারের কল্যাণে বাতি জ্বলে উঠে তখন সৃষ্টি হয় অসাধারণ এক পরিস্থিতি । অনেক বাচ্চারা রোড লাইটের নিচে বই নিয়ে বসে পড়ে অথবা ঐ টুকু আলোর ভিতরেই খেলায় মেতে উঠে । সাজেকে ৩টা হ্যালি প্যাড আছে ৩টার সুন্দরজ তিন রকম । এছাড়া রুইলুই পারা হতে হেটে আপনি কমলং পারা পর্যন্ত যেতে পারেন এই পারাটিও অনেক সুন্দর এবং অনেক উচুতে অবস্থিত ।কমলার সিজনে কমলা খেতে ভুলবেন না । সাজেকের কমলা বাংলাদেশের সেরা কমলা । বাংলাদেশ আর্মিদের দারা রুইলুই পারার অধিবাসীদের জন্য একটা ছোট তাত শিল্প গরে তোলা হয়েছে । সুন্দর সুন্দর গামছা ,লুঙ্গী পাওয়া এখানে ।
যাতায়াতঃ সাজেক রাঙ্গামাটিতে পরলেও খাগড়াছড়ি হয়ে যাতায়াত সুবিধা ।
যারা খাগ্রাছরি হয়ে আসবেনঃঢাকা-টু খাগ্রাছরি আসবার জন্য শ্যামলি,এস-আলম,সেন্টমারটিনপরিবহনের বাস রয়েছে । খাগ্রাছরি থেকে দিঘিনালা পরজন্ত বাস/চাদের গারি/ সিএঞ্জি রয়েছে । বাসে অ চাদের গারিতে ভারা ৪৫/- জনপ্রতি ।দিঘিনালা থেকে জন ভেদে চাদের গারি অথবা মটর বাইক নিতে পারেন । একদিনের জন্য চাদের গারি ভারা পরবে ৩০০০/- টাকা ২দিনের জন্য ৫০০০/- ( কথা বলে নিতে হবে )১২/১৩ জন জেতে পারবেন । এছারা মটর বাইক রয়েছে আপডাউন ৭০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে জাবেন এবং চাদেঁর গাড়ি ভাড়া জনপ্রতি ৩২০/-টাকা। মটরবাইক একটু রিস্কি ২/৩ বার নামতে হয় ।
যারা রাঙ্গামাটি হয়ে আসবেনঃরাঙ্গামাটি থেকে নৌপথে লঞ্চযোগে অথবা সড়কপথে বাঘাইছড়ি যাওয়া যায়। রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল ৭.৩০ থেকে ১০.৩০ ঘটিকার মধ্যে লঞ্চ ছাড়ে। ভাড়া জনপ্রতি ১৫০-২৫০ টাকা। সময় লাগে ৫-৬ ঘন্টা। বাস টার্মিনাল থেকে সকাল ৭.৩০ থেকে ৮.৩০ ঘটিকার মধ্যে বাস ছাড়ে, ভাড়া জনপ্রতি ২০০ টাকা। সময় লাগে ৬-৭ ঘন্টা। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি বাঘাইছড়ি যাওয়া সম্ভব। ঢাকা থেকেও সরাসরি বাঘাইছড়ি যাওয়া যায়। বাঘাইছড়ি থেকে জীপ (চাদেঁর গাড়ি) অথবা মোটর সাইকেলে সাজেক ভ্যালীতে পৌঁছানো যায়। ভাড়া জনপ্রতি ৩০০/-টাকা। অবস্থান- সাজেক, বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা।
যেখানে থাকবেনঃরুইলুই ক্লাব হাউজ ( ১০ জনের জন্য ৫০০/- টাকা) এবং alo-রিসরট( ডাবল ১০০০/- সিঙ্গেল ৫০০/-) এই ২টির যে কন একটি তে থাকতে পারেন । পলাশ চাকমা - ০১৮৬৩৬০৬৯০৬ (alo-রিসরট)স্তুডেন্ট/জাদের থাকবার জন্য মটামূটি একটা ব্যাবস্তা হলেই হয় তারা রুইলুই-ক্লাব হাউজে থাকতে পারেন । এর সামনে ফাকা কিছু জায়গা আছে । রাতে বারবি কিউ/গানবাজনা অরথাত মজা করার জন্য উপজুক্ত । এছারা বাংলাদেশ আরমি নিয়ন্ত্রিত "সাজেক রিসট" ০১৭৬৯৩০২৩৪৪ এবং বিজেবি নিওন্ত্রিত অত্যাধুনিক রিসট "রুন্ময়" http://rock-sajek.com/ ২টা তেই আয়েস করে থাকা যাবে। আর খাবার ব্যাবস্তার জন্য পূর্বেই যোগাযোগ করে নিতে পারেন। মানুষ কম হলে অইখানে গিয়েও করতে পারেন । ভাত + সবজি বললে রিসরটের তত্যাবধানে জিনি আছেন তিনি ব্যাবস্তা করতে পারেন মাছ/ মাংস পথে মাচালং বাজার থেকে নিয়ে গেলে ভাল হয়। সব চেয়ে ভাল হয় এক রাত সাজেক থাকলে ।বিলিভ মি অসাধারন জায়গা । ·
ট্যুর প্লানঃ#রাতের বাসে, ঢাকা – খাগড়াছড়ি
১ দিনঃ খাগড়াছড়ি তে সকালের নাস্তা সেরে - দীঘিনালা – সাজেক - আলো রিসোর্ট ।
২দিনঃ সাজেক – দীঘিনালা – তৈদুছড়া ১ ও ২ ঝর্ণা - খাগড়াছড়ি (রাতের বাসের টিকিট নিয়ে নিবেন)–আলুটিলা ও গুহা – রিসাং ঝর্ণা-- খাগড়াছড়ি- ঢাকা ( রাতের বাসে )
#এছাড়া আপনি দীঘিনালা এসে লংগদু হয়ে রাঙামাটি এর পর ঢাকা ফিরতে পারবেন । দীঘিনালা থেকে চাদের গাড়ি/ মটরসাইকেলে লংগদু আসতে সময় লাগবে প্রায় ২ ঘণ্টা । আর লংগদু থেকে সকাল ৭ টা ,১০ টা এবং দুপুর ১ টায় নৌকা আছে যা রাঙ্গামাটির রিজারবাজার পর্যন্ত যায় । সময় লাগে প্রায় ৪ ঘণ্টা। ভারা পড়বে ১৩০/- টাকা ।পথে পড়বে নয়নভিরাম সব পাহাড় ,পাহাড়ি গ্রাম আর কাপ্তাই লেক ।
কিছু প্রয়জনিয় নাম্বারঃ সাজেকের হেডম্যানঃ লাল তাঙ্গা লুসাই ০১৫৫২৭২৬৯৮৭ ।সেন্টমারটিন পরিবহনঃ০১৭৩২৪০৬৩৫২, ০১৭৬২৬৯১৩৪০ ।শ্যামলি পরিবহনঃ০১৮১৫২৭৩৯৪২,০২৯০১৪৫৬০ ।
PIC: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৮