এদেশের রাজনীতিবিদরা সব সময়ই গন্ডমূর্খ, খাচ্চর ও চোর ছিল, তাই দেশের সকল আইন ও নীতিমালা তৈরীতে আমলারাই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে।
আপনি জানেন আশিরদশকে বাংলাদেশে ভিসিআর/ভিসিপি আমদানী নিষিদ্ধ ছিল, আমলারা তখন মন্ত্রীপরিষদে বলেছিল, এতে আমাদের যুব সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে, ওরা ব্লু ফ্লিম দেখবে।
এক সময় এখানে ফ্যাক্স মেশিন আমদানী বন্ধ ছিল, তখন আমলারা/সচিবরা বলেছিল, তথ্য ট্রান্সফার/পাচার হয়ে যাবে।
এদেশে ফটোকপি মেশিনও প্রথমে আমদানী নিষিদ্ধ ছিল, আমলারা/সচিবরা বলেছি, বেআইনী ভাবে বই সব কপি হয়ে যাবে।
১৯৯৩ সালে বাংলাদে সাবমেরিন ক্যবল সংযোগ নিতে ব্যার্থ হয় তখন সংশ্লষ্ট আমলারা/সচিবরা প্রধানমন্ত্রী ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রীকে বুঝিয়ে ছিল এটা নিলে দেশের সকল তথ্য পাচার হয়ে যাবে, গোপনীয়তা বলে কিছু থাকবে না, দেশের নিরাপত্তা হুমকীর মধ্যে পরবে।
সারা দুনিয়া ২০০০ সালের ভেতরেই ইন্টারনেট ব্যাংকিং চালু হলেও বাংলাদেশে পেপল চালু হচ্ছে না, এখানে আমলারা/সচিবরা বলছে এতে দেশের সব টাকা বিদেশ পাচার হয়ে যাবে।
২০০১ সালে ৩জি আবিষ্কার হলেও গত দশ বছর যাবৎ বাংলাদেশে ৩জি ঝুলে আছে, ২০০৪ সালেই দেশে ৩জি ওপেন করার কথা উঠলেও আমলারা বলে আসছে এতে আমাদের তরুন সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে, ওরা উলঙ্গ হয়ে একে অন্যকে নেকেড কল করবে।এমন কি ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষনা দিলেও ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিবের জন্য আজও ৩জি ওপেন হচ্ছে না, আর যা হতে যাচ্ছে শুনছেন তা ভুটানের ৩জির চেয়ে অধম হবে।
এমনি আরও শত শত অতি গুরুত্বপূর্ন উদাহরন আছে যেগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীকে টেকনিক্যাল পরামর্শ দেয়ার কথা সংশ্লিষ্ট সচিবের।অথচ টেকনিক্যালে গন্ডমূর্খ, দেশ ও জাতির শত্রু এই সকল আমলা/সচিবরা সব সময় কুপরামর্শ দিয়ে আসছে।
তাই আজ জনগণের সোচ্চার হওয়া উচিত, যেন মন্ত্রনালয়গুলোতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রফেশনাল ব্যক্তিদের সচিব হিসাবে বসানো হয় - .
১. ২৩ শে অক্টোবর, ২০১২ সকাল ১১:৪৯ ০