ঠিক এই মুহুর্তে বাংলাদেশে ৩০টি পাবলিক ইউনিভার্সিটি, ৫৪টি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি আছে। গত ২০বছরে মোট কতজন গ্র্যাজুয়েশন করেছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এই পর্যন্ত, বা ঠিক এই মুহুর্তে কতজন স্টুডেন্ট আছে একুরেট ফিগারটা বলতে পারলামনা। এক ঢাবিতেই এপ্রোক্সিমেটলি বলা হচ্ছে প্রায় ২৭~৩০হাজার স্টুডেন্ট আছে, নর্থসাউথে আছে ~১০,০০০ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্ডারে আছে কমবেশি ~১২০,০০০। প্রশ্ন হল, আমাদের এই হায়ার এডুকেশনের বেস কতটা স্ট্রং আর এত গ্র্যাজুয়েটের জন্য সুইটেবল জবের মার্কেটই বা কতটুকু!!
পোস্টের মেইন টপিকস একটু অন্যভাবে বর্ণনার চেষ্টা করব। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির প্রচলন ১৯৯২ সালের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এক্ট পাস হবার পরই শুরু হয়। এর আগে পর্যন্ত ইউনিভার্সিটিতে পড়তে চাইলে পাবলিক ইউনিভার্সিটিগুলো ছাড়া কোন বিকল্প ছিলনা। নিজে ঢাবির স্টুডেন্ট ছিলাম এবং যেহেতু ঢাবি সবচেয়ে পুরান পাবলিক ইউনিভার্সিটি এটা দিয়েই এক্সপ্লেনের চেষ্টা করি ট্রেন্ডটা, বিবর্তনটা ধরা সহজ হবে তাহলে।
১৯২১ সালে শুরু হয়েছিল মাত্র ৩টা ফ্যাকাল্টি, ১২টা ডিপার্টমেন্ট, ৬০জন টিচার এবং ৮৪৭জন স্টুডেন্ট নিয়ে। ধীরে ধীরে স্টুডেন্ট বাড়ল এবং পঞ্চাশের দশকের মাঝেই মুটামুটি আমরা এখন যেসব ডিপার্টমেন্ট দেখি বেশিরভাগই চালু হয়ে গিয়েছিল। এরপর রাজশাহী ইউনিভার্সিটি চালু হল ১৯৫৩ সালে, চট্টগ্রাম ইউনি ১৯৬৮ সালে, জাহাঙ্গিরনগর ইউনি ১৯৭০ সালে....। এবং এই ইউনিগুলোর প্রায় সব স্টার্টিং টিচারই ছিলেন ঢাবির এক্সপার্টরা, বলাই বাহুল্য।
এই ভার্সিটিগুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া অনেকদিন পর্যন্ত বেশ ইজি ছিল। কারণ আছে, ইন্টার লেভেলে পাশ করা এত সহজ ছিলনা তখন, কোন কোন সময় শুনেছি পাশের হার ১০/১৫% এরও কম ছিল। এগুলোতে যাদের স্হান হত না, তাদের জন্য দেশে বেশ কিছু কলেজ ছিল ডিগ্রী লেভেলের। সেখানে পড়াশোনা ছিল সম্ভবত দুই রকমের, কোন স্পেসিফিক সাবজেক্টে তিন বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রী সাথে ২বছরের মাস্টার্স আর পাসকোর্সে ব্যাচেলর ডিগ্রী। পাবলিকে চান্স না পেলে অন্য কোন বিকল্প নেই, সবাই এইদুটাতেই যেতে বাধ্য ছিল। এরকম সব কলেজকে (সরকারি/বেসরকারি) ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। সেখানেও এখন চালু আছে ৪বছরের অনার্স কোর্সের সাথে ১বছরের মাস্টার্স কোর্স, গতানুগতিক পাসকোর্সও আছে এখনো। তবে খুব কমই স্টুডেন্টই সম্ভবত এখন পাসকোর্সের দিকে যায়!!
যাই হোক, ঢাবির কথা বলছিলাম। ঠিক এই মুহুর্তেও ৬০এর দশকের শেষের দিকে জয়েন করা কয়েকজন টিচার ভার্সিটিতে এখনো কর্মরত আছেন (প্রফেসর এমিরেটাসদের কথা বলছিনা, এখনো ঐটাইমের অনেকের রিটায়ার করা বাকি, শিঘ্রী করবেন বেশ কয়েকজন)। এরপর আসা যাক ৭০এর দশকের বিভিন্ন সময়ে জয়েন করা টিচারদের কথা। আমার মেইন ইন্টারেস্ট এঁদের কাউকে কাউকে নিয়েই।
মুটামুটি ৫টি দশকেই(১৯৬৭-২০০৮) জয়েন করা টিচারদের ক্লাসই পেয়েছি আমি। এবং স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছি, দুচারজন বাদ দিলে ৬০/৭০ দশকের টিচাররা অসম্ভব মেরিটোরিয়াস, এতটাই এলিমেন্টারি লেভেলে তাঁরা পড়ান, এবং স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের রিসার্চ সেক্টরটা অনেকাংশেই তাঁদের হাতেই গড়া। ৭০এর দশকে জয়েন করা টিচারদের কেউ কেউ রিসার্চের পাশাপাশি সরকারি/বেসরকারি বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করে প্রচুর বিত্তের মালিক হয়ে যান নব্বইয়ের দশকের আগেই। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে তাঁদের পরামর্শ ছাড়া কোন কাজেই ফাইনাল ডিসিশন নেয়া হয়না কখনো, যেই সরকারই থাকুক না কেন পাওয়ারে। এঁদের ভূমিকা বাংলাদেশের সমাজে এবং অর্থনীতিতে যথেষ্ট, ঢাবির কিছু ডিপার্টমেন্টে কমবেশি সবাই মাঝে মাঝে আলোচনা করে ৯৬এর শেয়ার মার্কেটের ক্র্যাশের পেছনে কারা কারা ছিল! এবং প্রাইভেট ভার্সিটির গোড়াপত্তনটা হয় দেশে এঁদের কারো কারো হাত ধরেই।
উন্নত দেশের অনেক বড় একটা গ্র্যাজুয়েটদের অংশই থাকে ব্যাক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট। বাংলাদেশে এই চাপ্টারটি শুরু হয় একটু অন্যভাবে। এই টিচারদেরকে ফিনানশিয়াল সাপোর্ট-টা দেন প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ীদের কেউ কেউ। উল্লেখ্য এই ব্যাবসায়ীরাও কিন্তু সাধারণ না, খুঁজলে দেখা যাবে বেশ কয়েকজনেরই ঢাবির ডিগ্রী অথবা বাইরে পড়াশোনার রেকর্ড ছিল। ১৯৯২ সালে যখন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এক্ট পাশ হয়, নর্থসাউথ এবং আরো কয়েকটি ইউনি একসাথে যাত্রা শুরু করে। প্রথমদিকে প্রচুর টিউশন ফির জন্য ব্যাপারটা একটা বিলাসবস্তুই ছিল বলতে গেলে। অনেক টাকার কুমির না হলে, পড়াটা প্রায় ইম্পসিবলই ছিল। টিচিং কোয়ালিটি (লক্ষ্য করুন, কোয়ালিটি; টিচিং মেটেরিয়ালস বলছিনা) অতটা খারাপ তখনো ছিলনা, কখনোই ছিলনা ঐ ভার্সিটিগুলোতে, কারণ কমবেশি একই টিচার পড়াতেন পাবলিক/ প্রাইভেট দুজায়গাতেই।
চেন্জটা শুরু হয় ২০০০ সালের পর থেকে। নতুন বেশ কিছু প্রাইভেট ততদিনে চালু হয়ে গেছে, বুঝাই যাচ্ছিল গলাকাটা টিউশনফিস রাখলে এই ব্যাবসায় টেকা টাফ হয়ে যাবে। ২০০৩ এ যখন ঢাবিতে ভর্তি হই, তখনো জাতীয় ভার্সিটির কলেজগুলোর রমরমা অবস্হা। এখন তো বলতে গেলে বিপদে না পড়লে কেউ যেতে চায় না।
এখন আসা যাক, এই প্রাইভেট ভার্সিটিগুলোর টিচার কারা। সেটা বলার আগে পাবলিক ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের ক্যারিয়ার চিন্তা এখন কেমন সেদিকে একটু টর্চ মারি। নতুন প্রজন্মের প্রাইভেটের স্টুডেন্টদের একটা বড় অংশের ধারণা- বিসিএস! একটা বড় অংশের এখনো বিসিএসের দিকে ঝোঁক কথাটা হান্ড্রেড পারসেন্ট সত্য। কারণটা কি, সেটা নিয়ে ডিটেইলস আলোচনা করব কিনা চিন্তা করে দেখব রিসার্চের দিকে ক্যারিয়ার ডেভেলপ করা টাফ, সবাই পারেওনা। তারপর অন্যান্য সরকারি চাকরি। এই দুটা বাদ দিলে এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন্ড হল- ব্যাংকিং! এরপর আসবে টেলিকম/প্রাইভেট জব/টিচিং....ইত্যাদি, ইত্যাদি!
আগেই বলেছি প্রাইভেট ভার্সিটি তো বটেই দেশের বেশিরভাগ ভার্সিটিরই গোড়া কোথাকে আসা। প্রাইভেটের মালিকানা রিলেটেড কথাগুলোও বলা হয়েছে আগে। এই নামকরা টিচার-রা একটা সময় পর্যন্ত রেগুলার ক্লাশ নিতেন, এখন সেটা প্রায় পুরাটাই ডিপেন্ড করে নতুন পাবলিক ভার্সিটির গ্র্যাজুয়েটদের উপর। সবদিকে থেকে সেফ, জনপ্রিয় একটা ক্যারিয়ার। ডিপার্টেমেন্টে কোন না কোন টিচার থাকবেই যার সাথে কোন না কোন প্রাইভেটের ভাল যোগাযোগ। একটা ছোট্ট ফোন, ব্যাস আর পায় কে, প্রায় ব্যাংকিং-এর সমান স্যালারির জব শিওর এবং খাটনি ব্যাংকিং-এর চেয়ে অনেক কম (কথাটা সব ডিপার্টমেন্টের/স্টুডেন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।
এখানে কয়েকটা অল্টারনেটিভ কথা আসবে, প্রথম সারির প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি টিচার নিয়োগের এডে সবসময় বলে তারা নর্থ আমেরিকান বা বাইরের হায়ার ডিগ্রীওয়ালা টিচার প্রেফার করেন। কথাটা কিয়দংশে সত্য। এন্ট্রি লেভেলে (টিচিং এসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র লেকচারার, লেকচারার) নর্মাল এমএস থাকলেই ঢোকা যায়। তবে টপ প্রাইভেটগুলোতে এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং এর উপরের লেভেলগুলোতে বাইরের ডিগ্রি বা পিএইচডি না থাকলে ঢোকা যায়না। এই জিনিষটা আমি প্রেফার করি প্রাইভেটগুলোর। পাবলিকগুলোতে বেশ কয়েকজন টিচার আছেন প্রমোশনের শর্তগুলো যেনতেনভাবে ফিলাপ করে প্রমোশন নেন। অন্য টিচারদের হাতে পায়ে ধরে পেপারে কোনভাবে নাম ঢুকিয়ে প্রয়োজনীয় পাবলিকেশনের সংখ্যাটা বাঁড়ান। এদের পড়ানোর স্টাইলও সেরকমই। ভাল কথা, এদের কেউ কেউও কিন্তু দুয়েকটা স্বনামধন্য প্রাইভেটের টিচার।
এডিশনাল দুচারটা কথা যোগ করি। ঢাবি এবং অন্য অনেক পাবলিকেরই যেসব স্টুডেন্টের নিজ ডিপার্টমেন্টে টিচার হওয়া শিওর, এরা কিন্তু চান্স পেলে জয়েন করার আগে প্রাইভেট ইউনিগুলোতে ঠিকই জয়েন করেন পার্মানেন্ট বেসিসে। পাবলিকেরটা শিওর হলে, সুন্দর সুরসুর করে চলে আসে মোটা বেতনের চাকরীটা ফেলে। কারণটা সহজেই অনুমেয়, তাও দুয়েকজন নতুন জয়েন করা টিচারের সাথে কথা বলে দেখলাম, কারণ কি! এখানে বেতন কম হলেও প্রমোশন কম্পারেটিভলি কম সময়ে হবে, পাবলিকেশনসে পাবলিকের নাম থাকলে পরে সুবিধা হবে, পেপার বের করাটাও ইজি হয়, এবং সবচেয়ে বড় লাভ যেটা অনেক প্রজেক্টে ইজিলি ইনভলভ হওয়া যায় খুবই সহজে কোন কিছু হ্যাম্পার না করে।
একই টিচার দুই জায়গাতেই পড়াচ্ছেন, তবে কিছুটা পার্থক্য আছে দায়িত্ব-সচেতনাতায়। সাপোজ ঢাবির একজন টিচার ইচ্ছা করে ক্লাশে ফাঁকি মারা শুরু করলেন, রেগুলার ক্লাশ নিতে গিয়ে হঠাৎ কোর্স ছেড়ে দিলেন, কি হবে জানেন? শায়ত্বশাসিত ইউনিভার্সিটি, আমরা যদি ভিসির কাছেও কমপ্লেইন করি, ভিসি বড়জোড় ঐ টিচারের দায়িত্বে অবহেলার জন্য নিন্দা জানিয়ে একটা চিঠি ইস্যু করবেন । প্রাইভেটে এই সুযোগ নেই, কাজ পছন্দ না হলে স্যাক করার ঘটনাও ঘটছে। (এই কথাগুলো আমার নিজের না, আমাদের এক টিচার নিজেই একবার বলেছিলেন ক্লাশে)। পাবলিকের স্টুডেন্টরা এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ যেটা করতে পারে ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানকে জানাতে পারে সমস্যার কথা, কপাল ভাল হলে নতুন টিচার দেয়া হয় বাকি কোর্স পড়ানোর জন্য যদি আগের টিচার একবারেই কোর্স ছেড়ে দেন অর্ধেক পড়ানোর পর অথবা হঠাৎ বিদেশ চলে যান। তবে বেশিরভাগ সময়েই টাফ হয়ে যায়, কারণ টপিকস রিলেটেড এক্সপার্ট টিচার সবসময় পাওয়া যায় না। নিচুসারির প্রাইভেটগুলোতে এটা কোন ঘটনাই না। আমি স্ট্যাটের, আমাদের এক সিনিয়র আপু বেসিক স্ট্যাট আর ম্যাথের কিছু ক্লাস নিতেন এক প্রাইভেটে। হঠাৎ তাকে একদিন বলে হল বিবিএর ক্লাশ নিতে, টপিকসের নাম এখন মনে নেই আমার। কিছু শিট ধরিয়ে দেয়া হল, বলা হল যাও কিছুক্ষণ গল্প করে পড়িয়ে আস। ক্লাশ হল। পরেরদিন থেকে ঐ আপু অবাক হয়ে দেখলেন কোর্সটা তাকে রেগুলার বেসিসে দেয়া হয়ছে, ডীন তাকে ডেকে বলেছেন 'আরে তুমি মোতাহার হোসেন স্যারের ডিপার্টমেন্টের মেয়ে, তুমি না পারলে আর কে পারবে এত টাফ সাবজেক্ট পড়াতে!'
আরেকটা বেসিক পার্থক্য আছে, জানি না এটা কয়জন স্বীকার করবেন। মার্কিং সিসটেম। আমার সুপারভাইজর যে ছিলেন থিসিসে তিনি ঢাবিতে জয়েন করেছিলেন ১৯৬৭ সালে। ওনাকেই মনে হয় একমাত্র ব্যাতিক্রম দেখেছি, সবসময় যেভাবে মার্কিং করেন সেভাবেই মার্কিং করেছেন টপ তিনটা প্রাইভেটের ১টাতে। বাকিরা এত সহজে পার পাননি, মুটামুটি দরাজ হস্তেই ব্যাপক মার্কিং করতে হয়েছে। কখনো কখনো কোন টিচারকে বলতেও শোনা গেছে মার্কিং নিয়ে বিচিত্র সব ঘটনা। একজন একবার বলেছিলেন গ্রেড পয়েন্ট এভারেজের চেয়ে কম উঠায় তাঁকে জবাবদিহি করতে হয়েছিল। ওখানে মার্কস বেশি দেয়ায় একটা লাভ কিন্তু পাবলিকের স্টুডেন্টদেরই হয়েছে। জবমার্কেটে প্রাইভেটের স্টুডেন্টদের গ্রেডিং/মার্কস ঢাবির মত পুরান পাবলিক ভার্সটির টপ মার্কসধারীদের চেয়ে বেশি দেখে যে কমেন্ট শুনতে হয়েছে, সম্ভবত সে কারণে এই মেন্টালিটির অনেকটা চেন্জ দেখা যাচ্ছে এখন। একটা এক্সাম্পল দেই, আমার নিজের ডিপার্টমেন্টে ২০০৩ এ যে অনার্স ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছিল সেটাতে ফার্স্ট ক্লাশ ছিল ৮জনের। আর ২০১০এ লাস্ট ব্যাচ যেটা বেরোল নাম্বার/ক্লাশ সিসটেমে, তাদের ফার্স্ট ক্লাশ ৫০টা!! আমার বিশ্ববিখ্যাত কিপ্টা ডিপার্টমেন্টের সর্বকালের রেকর্ড (২০০৮এর অনার্সের রেজাল্টে আমি বের হই, আমাদের ব্যাচে ছিল ২২জন)! এই একটা কারণে আমরা সর্বদা প্রাইভেটের কাছে ঋণী, না হলে টিচারদের নাম্বার দেয়া এখনো ঐ ব্রিটিশ আমলেরই রয়ে যেত!!
তাহলে দেখা যাচ্ছে, যে যত ভাবই মারুক না কেন, ঘুরে ফিরে টিচিং পজিশনে লোক কিন্তু ঐ একই। প্রাইভেটের অনেক স্টুডেন্টের সাথে কথা বলেই দেখলাম তারা টিচিং-এর চেয়ে মোটা বেতনের মাল্টিন্যাশনাল বা অন্যান্য বেসরকারী জবের দিকেই বেশি আগ্রহী। সরকারীতে কারো আগ্রহ নেই বললেই চলে। রিসার্চের দিকে ঝোঁক কেমন ঠিক শিওর না। আইসিডিডিআরবি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রিসার্চ ইনস্টিটিউটগুলোর একটা (বায়োমেডিক্যাল এবং পাবলিক হেলথ সেক্টরে), ওখানে প্রাইভেটের বলতে গেলে কাউকেই পাওয়া যায়না।
প্রাইভেটের স্টুডেন্টদের একটা জায়গায় লাক খুবই ভাল, যেটা পাবলিকের স্টুডেন্টরা পায়না বেশিরভাগ ডিপার্টমেন্টেই। সেটা হল ওদেরকে জবের জন্য অনেকাংশেই প্রিপায়ার্ড করেই ছাড়া হয়। এমএস শেষে ওদের বেশিরভাগই জবের জন্য প্রায় পুরাটাই রেডি থাকে। যেটা ঢাবির বিজনেস ফ্যাকাল্টি, আইবিএ ছাড়া কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়। তবে জব মার্কেটে কে কতটা শাইন করবে, দ্রুত ঢুকবে তার জন্য আমার চোখে আরো দুইটা ফ্যাক্টর জড়িত, রিকমন্ডেশন আর রেপুটেশন!! ব্যাংকিং সেক্টরের জবগুলো যথেষ্ট প্রোফেশনাল বেসিসেই লোক নিচ্ছে এখন, প্রাইভেট ব্যাংকগুলো নিঃসন্দেহে। কিন্তু বাদবাকি প্রাইভেট সেক্টরের জবগুলোতে রিকমন্ডেশন আর রেপুটেশন এখনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে জব পাওয়ার ক্ষেত্রে। বিজনেস নেটওয়ার্কিংগুলো যথেষ্ট একটিভ, ভার্সিটির রেপুটেশন, সিনিয়র টিচারদের রিকমন্ডেশন যথেষ্ট ভাল ভূমিকাই রাখছে একটা ভাল জবে ঢুকে ক্যারিয়ার গ্রোআপে।
একটা ছোট এক্সাম্পল দেই! ব্র্যাক ইউনি। এদের শুরুটা ব্র্যাক দিয়ে, ওয়াল্ডের সবচেয়ে বড় এনজিও ব্র্যাক। এবং এর রেপুটেশন, নেটওয়ার্কিং কতটা গভীর বলার মত না। এক ব্র্যাক সেন্টারেই কত হাইঅফিসিয়াল জব করছেন কে জানে। রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক, অন্যান্য আরো বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল, এনজিও, অডিট ফার্ম, আইসিডিডিআরবির সাথে রিসার্চ লিংক, অনেকগুলো ডেইরি ফার্ম, বাইরের বেশ কিছু দেশে ব্রাঞ্চ। শুধু এক ব্র্যাকের সাথে কয় লাখ লোকের কর্মসংস্হান জড়িত, আল্লাহ জানেন। ব্র্যাক নতুন ভার্সিটি হলেও এই বিশাল নেটওয়ার্কিং চেইন ওদের জব মার্কেট ওদেরকে যথেষ্ট সিকিওর করছে ভাল জব দিয়ে ক্যারিয়ার বিল্ড আপে। একটা সাইট দেখেছি কাছে থেকে সেটার কথা একটু ফোকাস করি, বাংলাদেশে এমপিএইচ (মাস্টার্স অফ পাবলিক হেলথ) বেসরকারি লেভেলে প্রথম মনে হয় ব্র্যাকই এনেছিল। কোর্সের অর্ধেক ঢাকায়, বাকি অর্ধেক হয় সাভারে। ফিল্ড পোর্শনটুকুর জন্য প্রয়োজনীয় রিসার্চ ব্যাকাপটা অনেকখানি দেয় আইসিডিডিআরবি, কোর্স কো-অরডিনেশনে আছেন আমাদেরই একজন টিচার (নামটা উল্লেখ করলাম না, সরি)। ফাইনাল থিসিস প্রেজেন্টেশনের পর পাবলিক হেলথ রিলেটেড জবগুলো পাওয়া অনেক ইজি ব্র্যাকের স্টুডেন্টদের জন্য, কাজ করতে যেয়ে ওদের অনেক ডিটেইলসই কিন্তু রিলেটেড প্রতিষ্ঠানগুলো পাচ্ছে। এটা আরো অনেকের কাজের সুযোগ বানাচ্ছে, ওদের ফিল্ড ট্রেনিং-এর সময় বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেটের স্টুডেন্টদের ওরা রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হওয়ার জন্য ইনভাইট করে, বেশ ভাল এমাউন্টের টাকাই দেয় কাজের কোয়ান্টিটির তুলনায়। ব্র্যাকের নেটওয়ার্কে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান জড়িত, ভাল জব পেতে সাফিসিয়েন্ট ব্র্যাকের এই রেপুটেশন। ভাল কথা, ব্র্যাক ইউনি দেশের অল্প কয়টা প্রাইভেটের একটা যেখানে নিজেদের স্টুডেন্টরা পাশ করে নিজেরাই টিচিং-এ ঢুকেছে।
আরেকটা জিনিষ মনে হয়ে গেল, ইন্টার্নি এবং থিসিস। ইন্টার্নি আছে এরকম সবকটা সাবজেক্টেই দেখবেন স্টুডেন্টদের জব মার্কেট জটিল। কারণটা ব্যাখ্যার প্রয়োজন দেখিনা। ঢাবির বায়োলজি ফ্যাকাল্টির স্টুডেন্টদের জব মার্কেট কঠিন, এর অন্যতম কারণ এটা। ভাল একটা রিসার্চ ইনস্টিটিউটে বা ব্যাংক/ফার্মে যান টিচারের রিকমন্ডেশন নিয়ে ইন্টার্নি করতে, আপনার কাজ এবং ইউনির রেপুটেশন আপনাকে ভাল একটা জব এনশিওর করবেই (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই)। এই কাজটাতে আমাদের পাবলিক ইউনির টিচারদের যথেষ্ট অনীহা, এত প্রেশার তারা নিতে চান না, রেগুলার তাদের খবরদারি করার সময় কই, একগাদা ইন্টার্নির স্টুডেন্ট, থিসিসের স্টুডেন্ট, ডিপার্টমেন্টের একগাদা ঝামেলা তো আছেই
রিসার্চের লাইনে কয়েকটা কথা যোগ করি। কালকে কয়েকটা রিপোর্ট দেখলাম রিসার্চের বেসিসে ব্র্যাক ইউনি ঢাবির চেয়ে এগিয়ে আছে র্যাংকিং-এ। এপ্রসঙ্গে উইকিতে দেখলাম লেখা আছে, ঢাবি দেশের মোট রিসার্চ পাবলিকেশনের ১৮% এবং আইসিডিডিআরবি ১৭% প্রকাশ করে (এরাই হায়েস্ট)। এইধরণের কনফিউশনের (কালকের খবরটা) কারণ যেটা, শুধু ঢাবি না দেশের প্রায় সবকটা পাবলিক ইউনিই নিজেদের জার্নালগুলো অনলাইনে এক্সেস রাখেনা। রিসার্চ ইনস্টিটিউটগুলোর বেহাল দশা সত্যি, কিন্ত বেশ কয়েকটা জার্নাল আছে, যেগুলোর অথাররা পর্যন্ত বাইরের, স্ট্যান্ডার্ড মুটামুটি এতটাই হাই। ইদানিং কয়েকটা ডিপার্টমেন্ট নিজেদের থিসিস স্টুডেন্টদের থিসিসের এবস্ট্রাক্ট দেখলাম অনলাইনে পড়তে দিচ্ছে। সাপোজ আইএসআরটির জার্নালটার কথা বলা যায়। উল্লেখ্য, নর্থসাউথ, এআইইউবি, ব্র্যাক, ওয়াল্ড এরকম আরো কয়েকটি ভার্সিটির নিজস্ব জার্নাল আছে। রেগুলার বেসিসেই পাবলিশড হয় এই জার্নালগুলো, পরিচিত কেউ থাকলে এডিটর বোর্ডে, এক্সেপ্ট হতে সময় লাগে পাবলিক জার্নালগুলোর তুলনায় (মানে রিভিউ কমিটির কাছে যেতে সময় কম লাগে, এক্সেপ্ট হলে পাবলিশড হওয়ার কিউতেও মুটামুটি কম সময়ই লাগে)। ঢাবির সায়েন্স জার্নালে একসেপ্ট হয়ে পাবলিশড হতে ২বছরের উপরও লেগেছে এরকম নজিরও আছে, কিউটা একটু বেশি সময়সাপেক্ষই বলতে হবে, কারণ সেখানে পেপার যায় অনেক বেশি, মানসম্পন্নও।
আসলে গ্লোবাইলাইজেশনের এই যুগে প্রাইভেট/পাবলিক এই বেহুদা ক্যাঁচালটা সম্পূর্ণই অর্থহীন। বিশ্বের অনেক দেশেই পাবলিক ইউনি জগৎ বিখ্যাত। সত্যি বলতে কি পাবলিক না প্রাইভেট অনেকে জানেও না। বাংলাদেশে তো আরো বেশি, যেখানে টিচিং স্টাফ পর্যন্ত সেম দুজায়গায়। বরং চিন্তা করা উচিত পড়াশুনার মান কেমন আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে। এখানেও সমস্যা। ইউজিসি। নাম না প্রকাশ করে কয়েকজন সিনিয়র টিচারের রেফারেন্সে বলছি, প্রাইভেট ইউনিগুলোর মাঝে বেশ কয়েকটাই নাকি সুপারিশ করেছিল সিলেবাসের আধুনিকায়নের, ইউজিসি গ্র্যান্ট করেনি। প্রায় সবকটা প্রাইভেটই স্বীকার করুক বা না করুক, যত ডিসিপ্লিনই মেইনটেইন করুক না কেন, মেইন স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে ঢাবিরটাকেই ফলো করে। কেউ স্বইচ্ছায়, কেউ ইউজিসির চাপে পড়ে। নতুন সাবজেক্ট হলে কিছুটা ফেভার পাওয়া যায়, যেগুলোর ক্ষেত্রে ইউজিসির পন্ডিৎদের আইডিয়া কম! ওভারঅল বাংলাদেশে হায়ার এডুকেশনের নামে যে দুইটা ট্রেন্ড চলছে তাকে সামারাইজড করলে পাবেন-
*হয় সারা বছর টো টো করে ঘুরে পরীক্ষার আগে দুনিয়ার নোট নিয়ে পড়ছে স্টুডেন্টরা (অথবা রেগুলার পড়ছে), সাবজেক্টের সিনিয়র কোন বড় ভাইয়ের বানানো, হয়ত টিচাররাও সেটাই ফলো করে।
*জোর করে স্কুলের মত পড়ানো হচ্ছে, শিট দিয়ে দেয়া হচ্ছে সাবজেক্টের ডিটেইলস, পরীক্ষায় আসার মত কোন কিছুই বাদ থাকছেনা সেখানে (এটা অল্প কিছু প্রাইভেটে হচ্ছে)।
দুইটার একটাও কি হায়ার এডুকেশনে হওয়া উচিত? ইউনিভার্সিটি লেভেলে?
অর্থাৎ পড়াশোনার মান যে মাধ্যমেই যান উনিশবিশ ডিফারেন্স থাকলেও একদলের আরেকদলকে দেখলে নাক সিটকানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক! তাহলে প্রাইভেটের সমস্যাটা কোন জায়গায়? ফান্ডের লিমিটেড যোগান, পর্যাপ্ত শিক্ষাসংক্রান্ত উপাদানের সংকট। কেন? কারণটাও খুব সিম্পল, ফিনানশিয়াল সাপোর্ট-টা যারা দিয়েছিল, তাদের গোড়ার মেইন উদ্দেশ্যই ছিল ব্যবসা, তারা প্রয়োজনীয় অবকাঠামো দাঁড়া করাতে যে খরচটুকু প্রয়োজন ছিল সেটাও ঠিকমত সাপ্লাই দেয়নি। একটা ঘটনা মনে পড়ে, কয়েক বছর আগে ধানমন্ডিতে একটা প্রাইভেট ইউনির ছেলেরা ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ছাড়া দিনের পর দিন থেকে, ভাংচুর পর্যন্ত করেছিল। তাদের কথা ছিল, তারা রেগুলার মোটা অংকের টিউশন ফিস দিয়ে আসছে, অথচ প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলো চেয়েও পাচ্ছেনা। অনেকগুলো ভার্সিটির পড়াশোনার মান যথেষ্ট উঁচু হলেও এজাতীয় কয়েকটা কারণেই উচ্চশিক্ষাকে বাণিজ্য বলে অভিহিত করতে হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কারণ টিচাররা যত কমিটেডই হন না কেন, মেইন ট্রাস্টের প্রাইমারি টার্গেট হল নিজের পকেট ভারি করা।
ইউজিসির প্রাইভেট ইউনি রিলেটেড নীতি আমি ডিটেইলস জানি না। কিছুদিন আগে শুনেছিলাম অসামন্জস্যপূর্ণ টিউশন ফিসের ব্যাপারে তারা কঠিন পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। নিল কই? উত্তরার দিকে কয়েকটি ভার্সিটি সমানে ডিগ্রী বেঁচে যাচ্ছে, আমি নিজে ২০০৬এ আমার এক আত্মীয়কে ভর্তি করিয়েছিলাম। দূরশিক্ষণ পদ্ধতি, সপ্তাহে ১দিন ক্লাশ। রেজাল্টও সেরকম, যে জীবনে কোনদিন সেকেন্ড ক্লাশের উপরে যেতে পারেননি, তারও এমএতে এখন একটা ফার্স্ট ক্লাশ হয়ে গেল। দারূন!! ভ্যাট/ট্যাক্স রিলেটেড যে সমস্যার সলভ কয়েকদিন আগে সরকার পিছু হটে করল, গোড়া থেকে ইউজিসির এদের উপর কন্ট্রোল থাকলে আর যাই হোক প্রাইভেট বাণিজ্য এই ইডিয়মটা কেউ কখনো ইউজ করার স্কোপ পেত না।
পোস্ট শেষ করার আগে লাস্ট ২টা প্রশ্ন রেখে গেলাম-
এখন কয়েকজন(একদম হাতেগোণা কয়েকজনের মাঝেই এই মেন্টালিটিটা দেখেছি) উন্নাসিক প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্টকে বলি, এই যে আপনারা এত স্মার্টনেসের কথা বলেন, ইংলিশে ব্যাপক ফ্লুয়েন্সির কথা বলেন, পাবলিকের স্টুডেন্টদের ক্ষ্যাত ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারেনা না, আপনাদের পড়াচ্ছে কারা? আপনাদের ভার্সিটিগুলো কোথাকার ভার্সিটির স্ট্রাকচার ফলো করছে? আর আপনারা সবাই কি পাবলিকে ভর্তি পরীক্ষা না দিয়েই প্রাইভেটে ভর্তি হচ্ছেন?
এবং কয়েকজন (একদম হাতেগোণা কয়েকজনের মাঝেই এই মেন্টালিটিটা দেখেছি) উন্নাসিক পাবলিক ভার্সিটির স্টুডেন্টকে বলি, আপনাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার বিল্ড আপের চিন্তায় তো প্রাইভেটের চেয়ে এমন আহামরি কোনো পার্থক্য নেই। বরং অনেক যায়গাতেই প্রাইভেটেররা (শুধু মাত্র টপগুলোই যদিও) অগ্রাধিকার পাবে তাদের বিজনেস ফোকাসে পড়ালেখা আর নেটওয়ার্কিং এর জন্য। তাছাড়া আপনাদের আউটলুক তো এমন মহান কিছু না যে নন-প্রফিটে কাজ করে দেশের মানুষ কে সত্যিকারের সাহায্য করবেন, বা ঢাকার বাইরে কোনো কলেজে টিচিং করতে যাবেন। আপনাকে যদি গাইবান্ধাতে কোনো কলেজে টিচিং এর সুযোগ দেয়া হয়, আর জিপিতে সেলসের কাজ দেয়া হয়, আপনি জিপিতেই যাবেন। তাহলে নিজেদের এমন মহান মহান করছেন কেনো? আপনাদের সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দিয়ে জিপির সেলসম্যান বানালো? এর চেয়ে তো আপনার প্রাইভেটে থাকাই ভালো ছিলো। অন্তত সরকারকে তার স্বল্প সম্পদ আপনার পিছে অপচয় করতে হত না। নাকি অস্বীকার করবেন, কোনভাবেই পাবলিকে চান্স না পেলে প্রাইভেটে পড়তেন না?
*** ট্যাক্স/ভ্যাট এই সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে আমার আইডিয়া খুবই কম। সে সংক্রান্ত ডিটেইলস আলোচনার জন্য ব্লগার অপ্রয়োজনের এই পোস্টে যেতে সবাইকে রিকোয়েস্ট করছি। অনেক ধন্যবাদ সবাইকে এত বড় পোস্ট-টি ধের্য্য নিয়ে পড়ার জন্য।
উৎসর্গ: এই পোস্টের জন্য আমি ব্লগার অপ্রয়োজনের কাছে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই লেখাটির সময় উৎসাহ এবং তথ্য দিয়ে সাহায্য করার জন্য।
#নোট: লেখাটি পোর্সেলিন হার্ট নিকে চতুরমাত্রিকে প্রকাশ করেছি।