বন্যার পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে। দিনাজপুর থেকে খবর পেলাম প্রধান শহর এক কোমড় পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কোথাও ঘরের বিদ্যুতের মিটার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কয়েকজন বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা গেছে, ফলে' শহরের বিদ্যুত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ একাডেমী স্কুলে খিচুরী রান্নার ব্যবস্থা করেছেন। স্থানীয় প্রশাসন ২০০ প্যাকেট খাবার বা ত্রান সামগ্রী বিতরনের আয়োজন করেছেন যেখানে কমপক্ষে দু হাজর প্যাকেট বিতরন করা প্রয়োজন ছিল। একজন মহিলা শহরের একটু নীচু জায়গায় অতিরিক্ত পানির টানে ভেসে যাচ্ছিলেন, তাকে বিজিবি উদ্ধার করেছে। উত্তরবঙ্গে অনেক জায়গায় মাটির ঘরে মানুষজন বসবাস করেন, কারন' ওখানে সাধারনতঃ বন্যা হয়না মাটির কিছু বাড়ী ধ্বসে পড়েছে। দিনাজপুরের ট্রেন লাইন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বাস রোড পানিতে ডুবে যাওয়ায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এবার আসাম, বিহার, মেঘালয়ের পানির ঢলের চাপ সইতে না পেরে অনেক বাধ ভারত খুলে দিয়েছে, ফলে' পানির তোড়ে আমাদের ভেসে যাওয়ার দশা। শুনলাম পানি সম্পদ মন্ত্রী দিনাজপুর অবস্থান করছেন উনি ওখানে কি করবেন তাই ভাবছি। 'ভারত' প্রাকৃতিক এবং আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ দিয়ে ভাটির মানুষকে পানি প্রাপ্যতা থেকে বঞ্চিত করে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে। আবার, এখন পানি ছেড়ে দিয়ে সবাইকে বন্যায় ভাসিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট করে আমার দেশের মানুষের দুর্ভোগের কারন হয়েছে। আমাদের করনীয় কি???? আমরা কি আন্তর্জাতিক আদালতে কোন ক্ষতি পূরন মামলা করতে পারি?????
ভাটির দেশ হিসেবে ভারত, নেপাল, ভূটান এবং সম্ভবত চীনের পানি আমাদের দেশের উপর দিয়ে বয়ে যাবেই। আমাদের করনীয় কি? নদী খনন করে নাব্যতা বৃদ্ধি? যেসব রাস্তা বাধের মত পানি আটকাচ্ছে সেগুলোতে কালভার্ট তৈরী করা?? আর খাল বিল দখল করা ভূমি দস্যুদের দমন করা ??? আমার মনে হয় একটাও আমরা পারবো না।
ছবি গুগল মামা