আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। পুরো ভিডিওটি দেখে আমার বেশ খারাপ লেগেছে। আমি নিজেও একজন বাবা তাই এ জাতীয় বিষয়গুলো আমার কাছে বরাবরই বেশ স্পর্শকাতর মনে হয়। ভিডিওটি দেখেই আমি সিন্ধান্ত নিয়েছি পরিবারটিকে কিছু আর্থিক সহায়তা করবো।
ইউটিউবে ভিডিওটির নিচে ডিবিসি নিউজ পরিবারটির সাথে যোগাযোগের নাম্বার দিয়ে রেখেছে। দেরী না করে ফোন দিলাম, ছেলেটির বাবা ফোন ধরলেন। বেশ কিছু কথাবার্তা হলো। তিনি নিজেই জানালেন ঐ নাম্বারেই বিকাশ ও নগদ এ্যাকাউন্ট আছে। জিজ্ঞেস করলাম তাদের চারজনের পরিবারের মাসিক খাওয়া-দাওয়া বাবদ কেমন খরচ যায়। তিনি বললেন হাজার দশেক। আমি বাংলাদেশে থাকি না তাই ঠিক বলতে পারছি না অংকটা সঠিক কি না। যাইহোক, সিদ্ধান্ত নিয়েছি সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকালই আমি কিছু সহায়তা বিকাশে পাঠিয়ে দেব। বুঝতেই পারছেন, ক্যান্সারের চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল। আমার একার পক্ষে হয়তো সব করা সম্ভব হবে না। তবে ছেলেটির বাবা যেহেতু ভ্যান চালাতেন আর ছেলের চিকিৎসা চালানোর জন্য সেটা বিক্রিও করেছেন, আমার মনে হয় তাকে একটা ভ্যান কিনে দিলে ভালো হয়।
ভিডিওটি শেয়ার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্লগারদের মাঝে কেউ যদি নিজ নিজ উদ্যোগে সহায়তা করতে চান তাহলে মনে হয় পরিবারটি একটু ভালোভাবে ঈদটা উদযাপন করতে পারতো কিংবা ছেলেটির উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব হত। সম্ভব হলে কর্তৃপক্ষ যদি উদ্যোগ নেন তবে আমি সেই তহবিলেও সহায়তা করতে আগ্রহী। ধন্যবাদ সবাইকে।
মার্চ ২৯, ২০০২৪: ছেলেটির বাবাকে নগদ একাউন্টের মাধ্যমে কিছূ টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। খুব সম্ভবত কম বেশী আরো কয়েকজনও পাঠিয়েছেন।
ছবি কপিরাইট: ছবিটা ছেলেটির হওয়্যাটসএ্যাপ এর প্রোফাইল পিকচার থেকে নেয়া হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:০২