আমার মানসিক শক্তি অনেক।
আমার বয়স ১৬ বছর। এই বয়সে মানুষ হয় খুব আত্মবিশ্বাসী হয়, নইলে নিজেকে নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগে। সেই আত্মবিশ্বাসের কোন সত্যিকারের ভিত থাকে না। একইভাবে সেই হীনমন্যতার কোন সুফল থাকে না। ফলাফল? আসল জীবনে ঢুকে মানুষটা ভড়কে যায়। কেউ মানিয়ে নিতে পারে। কেউ পারে না। আমি সেরকম না। আমার আশেপাশের পরিবেশ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা আছে। দরকার হলে ইম্প্রোভাইজ করতে পারি। নিজেকে বদলাতে পারি। এটাই আমার বড় গুণ।
আমি এখনো বাজারে কলা কিনতে গেলে বিক্রেতাকে কলার দাম জিজ্ঞেস করার আগ পর্যন্ত অস্বস্তি বোধ করি। কিন্তু তবু জিজ্ঞেস করি। বিক্রেতা বলে, একদাম ২০ ট্যাকা হালি। আমি কিনে নিয়ে আসি। বাসায় এনে মায়ের হাতে দেই। কেউ জানে না আমি কলা কেনার আগ পর্যন্ত ভাবছিলাম কলা না কিনলে কেমন হয়। পালিয়ে আসার চিন্তা ছিল মাথায়। কিন্তু আমি পালিয়ে আসিনি। কলার কাঁদি হাতে ঝুলিয়ে বাড়িতে ফিরেছি।
মানুষের সাথে কথা বলার সময় আমার বয়সের অনেক ছেলের সমস্যা হয়। বিশেষ করে মেয়েদের সাথে কথা বলার সময়। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে না, সংকোচে। ঘাড় নিচু করে থাকতে পারে না, পাছে মেয়েরা তা নিয়ে খোঁচা দেয়। চোখ বাদে মুখের দিকে চাইলে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে হয়, এতে মেয়েরা বিরক্ত হয়। আর থুতনি বা গলার দিকে চাইলে? ও বাবা! তাহলেই মেয়েরা চোখ ছোট ছোট করে তিরস্কারের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে, গলায় ওড়না থাকলে বারবার টেনে তা বুকের ওপর আনে, তাড়াতাড়ি প্রসঙ্গ বদল করে বিদায় নিয়ে চলে যায়। পরেরদিন কোন না কোন কারণে মেয়ের মা কিংবা ভাইয়ের সাথে দেখা হলে তারা ভ্রূ কুঁচকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকেন। আমার সে সমস্যা নেই। আমি তাকাই সরাসরি ঠোঁটের ওপরে। অনেকে বিব্রত হয় ঠোঁটের ওপরে লোম দেখা যাচ্ছে ভেবে, অনেকে এত মনোযোগী দৃষ্টি দেখে একটু অপ্রতিভ হয়, আমার দিকে না তাকিয়ে এদিক ওদিক ঘাড় ঘুরিয়ে কথা বলে। কথা বলার সময় ভুলেও অন্যদিকে তাকাই না, এতে ওরা ভাবে মনোযোগ দিয়ে শুনছি। এজন্যে ক্লাসের মেয়েরা এবং বড় আপুরা আমাকে একটু ভদ্র কিন্তু সাহসী ছেলে হিসেবে দ্যাখে।
আমি বাড়িতে কথা খুব কম বলি। অবশ্য কথা বলার মানুষও খুব বেশি নেই। আব্বা মারা গেছেন দশ বছর হয়ে এল, বড়ভাই বিদেশে কামলা খাটেন, আমার সাথে আছেন একমাত্র মা। মা সারাদিন কুরআন পড়েন, তসবিহ গোনেন, আর মোবাইলে যেদিন বড় ভাইয়ের সাথে কথা হয়, সেইদিন রাত্রে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদেন। আমি ঠিকই শুনি, আমাদের বাড়িতে এক ঘর থেকে পাশের ঘরের সামান্য মাত্র শব্দও পরিষ্কার শোনা যায়। কিন্তু কিছু বলি না। প্রতি মাসের তিন তারিখে বড়ভাই আমার সাথে কথা বলেন। বলেন, 'ভাই রে, তুই চিন্তা করিস না। কিছু লাগলে ক, আমি আগামি মাসে আরও টাকা পাঠাইয়া দিমুনে।' আমি মানা করি। ফোন রাখার আগে তিনি ভারি কণ্ঠে বলেন, 'আম্মারে সালাম দিস। আর এই কয়টা মাস, তারপরেই আমি আয়া পরতাছি। তুই চিন্তা করিস না।' আমি লাইন কেটে দেই। গত সাত বছর ধরে মানুষটা প্রতি মাসে এই কথা বলে আসছেন। কিন্তু কখনোই দেশে এসে কিছু করার মত যথেষ্ট টাকা তার হাতে জমে নি। ভবিষ্যতে জমবে সেই সম্ভাবনাও কম। তবু তিনি কথাটা বলেন, প্রাণপণে বিশ্বাস করতে চান।
প্রতিদিন ক্লাসরুমে এসে আমি সেকেন্ড বেঞ্চের কোণে বসি। আমার ডানপাশে আসাদ, তার ডানপাশে জাহিদ বসে। দুইজনই বিশ্ব বদ। গল্প-নভেলের বদ না, মানসিক বদ। স্কুলের বাজে ছেলেরা ব্যাকবেঞ্চ দখল করে রাখে, এই নিয়মের তারা ব্যতিক্রম। স্কুলে মোবাইল আনা নিষেধ, ওরা মোজার মধ্যে মোবাইল ভরে নিয়ে আসে। টিফিন টাইমে ব্যাক বেঞ্চে গিয়ে সেটায় 'ভাল ভাল' জিনিস দেখে। এমনকি তখন আশেপাশে কোন মেয়ে থাকলে নির্দোষ মুখে তাঁকে ডেকে বলে, 'এই রত্না, দেখবি?' স্বাভাবিক ভাবেই মুখ ঝামটা মেরে মেয়েটা চলে যায়, কিন্তু এই ঘটনা বন্ধু মহলে বেশ রং চড়িয়ে বর্ণনা করা হয়। তা শুনে হাসতে হাসতে একেকজন আরেকজনের ওপর পড়ে যায়। পরিচিত বা অপরিচিত নারীদের নিয়ে প্রাপ্তবয়স্ক আলোচনা চলে। আমি টিফিন টাইমে বেঞ্চেই বসে থাকি, উঠি না। টিফিন ব্রেক পনের মিনিট। এই পনের মিনিটে আমি পাঁচবার পাঁচবার করে মোট দশবার আসাদ আর জাহিদের ব্যাগের ভেতরে থুতু দেই। আরও বেশি দেওয়া যায় কিন্তু কি দরকার? ওরা কখনো বুঝতে পারে না।
ক্লাসে আমি বেশ ভাল ছাত্র। আমার সাথে আসাদ জাহিদের বন্ধুত্ব হবার কোন কারণ নেই। কিন্তু ওরা আমার একমাত্র বন্ধু। ক্লাস শেষ হলে আমি ওদের সাথে ঘুরি। দেড় ঘণ্টার মত। কোথায় যাই তার কোন ঠিকঠিকানা নেই। একদিন বুড়িগঙ্গায় নৌকা নিয়ে নামলাম। বাড়িতে ফিরে তিনজনেরই চোখ উঠল, পরেরদিন স্কুলে গেলাম সানগ্লাস পরে। আরেকদিন বেরোনোর পর জাহিদ বলল, 'পাড়া চিনস?' আমি বললাম, 'কিসের পাড়া?' তখন আসাদ জাহিদ দুইজনই চোখ টিপ দিল। আমরা সাইকেলে করে 'পাড়া'য় গেলাম, সেখানকার বাসিন্দাদের দেখে চলে এলাম। সত্যি বলতে, মৃত নদীর চেয়ে মৃত সেসব নারী আমাকে কম আহত করেনি।
দেড় ঘণ্টা ঘুরে ফিরে বাড়িতে আসি। মা কখনো কিছু বলেন না, কপালে একটা চুমু খেয়ে জায়নামাযে বসেন। বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে, আমি থার্ড হয়েছি। মা জিজ্ঞেস না করায় তাও জানাতে পারি না। চুপচাপ রান্নাঘরে যাই। আমি নিজেই ভাত বাড়ি, খাই। ঘরে গিয়ে হাতে বই নিয়ে বিছানায় শুই। কখনো কখনো খুব ক্লান্ত লাগে, ঘুম আসে না। পাশের ঘরে মায়ের কান্না বা কান্না থামানোর ব্যর্থ চেষ্টা বারবার ভাঙা রেকর্ডের মত মাথায় অনন্তহীন বৃত্ত বানাতে থাকে।
আমার মানসিক শক্তি অনেক। আগেও একবার বলেছি, আবারো বললাম। কারণ কথাটা মিথ্যে নয়। সত্য কথা হাজারবার বললেও দোষ হয় না। মানসিক শক্তি এই কারণে অনেক, কারণ আমার পরিস্থিতিতে অন্য যে কেউ ঠাণ্ডা থাকতে পারত না। আমি ঠাণ্ডা আছি। বাইরে থাকতেই মোবাইলে কল এসেছিল। হাসান ভাইয়ের। হাসান ভাই বড়ভাইয়ের সাথে বিদেশে কাজ করেন। তিনি দীর্ঘক্ষণ চুপ করে থেকে হঠাৎ গড়গড়িয়ে পুরো ব্যাপারটা বলে ফেললেন, 'রাশেদ, আশেপাশে আন্টি আছেন? থাকলে বাইরে আস। মন শক্ত কর। আজকে তোমার ভাইয়ের কারখানায় একটা এক্সিডেন্ট হইছে। ও মারা গেছে রাশেদ, স্পট ডেড।'
হাসান ভাইয়ের বুদ্ধি কম। এইভাবে কেউ পরিবারের সদস্য মারা যাওয়ার খবর দেয় না। খবর দিতে হয় সইয়ে সইয়ে। মা যদি এভাবে শুনতেন, সাথে সাথে বাবার মত হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেত। 'হ্যালো রাশেদ, রাশেদ, হ্যাঁ, শক্ত হও, বুঝলা? ওর ডেড বডি এক সপ্তা পরে দেশে যাবে, ঠিক আছে? ঐদিন আমার আব্বা আইসা তোমারে এয়ারপোর্টে নিয়া যাবে, তুমি তো এখনও ছোট মানুষ। একা বুঝবা না। আত্মীয় স্বজন সবার সাথে যোগাযোগ কর। কবর কোথায় দিবা কি না কি, ঠিক না? আচ্ছা, আমি একটু পরে আবার কল দিবনে। রাখি।'
আমি এখনো মা-কে কিছু বলিনি। প্রস্তুতি দরকার। তার আগে ভাবনা চিন্তা করা দরকার। বড়ভাই নাই মানে মাসের তিন তারিখে টাকাও নাই। বাসা ভাড়া দিতে পারব না। পৈতৃক ভিটা বিক্রি হয়েছে বড় ভাইকে বিদেশ পাঠানোর সময়। চাচারা আমাদের পরিবারকে দেখতেই পারেন না, থাকতে দেওয়া তো দূর। আমরা এখন শেকড়হীন পরিবার। বাসা বাদ তো স্কুল বাদ। মামারা জায়গা দিতে পারেন। মা-বেটা কতটুকুই বা জায়গা নেব? বোনকে কি থাকতে দেবেন না মামারা? বাবার প্রভিডেন্ট ফাণ্ডের টাকা কিছু আছে বোধহয়, মা-কে একটা সেলাই মেশিন কিনে দিলে কেমন হয়? কিছু টাকা আসবে। আমি ফোর-ফাইভের ছাত্র প্রাইভেট পড়াব। দুইজন মানুষ, কতই আর খরচ হবে? প্রাইভেটে না কুলালে দারোয়ান টারোয়ানের চাকরি নিতে হবে। কোন ব্যাঙ্কে বা প্রাইভেট কোন কোম্পানিতে। বয়স একটা সমস্যা। কিন্তু এসএসসি পাস না হলে কি এসব চাকরি দেয়? মনে হয় না। কিন্তু মামাদের-চাচাদের খবর দেওয়া দরকার। আজকেই দেওয়ার কোন মানে হয় না। বড় ভাইয়ের আসার দিন বললেই হবে। আর মা-কে কখন বলব, কিভাবে বলব...
******
ঔপন্যাসিক লেখা থামিয়ে থমকে গেলেন। বাম হাতে কপালের ঘাম মুছে ডান হাতে চশমাটা খুলে লেখার ওপরে রাখলেন। তারপর দুই হাতে মাথা টিপে ধরলেন।
একটা মাসিক থেকে ফরমায়েশ এসেছিল ছোট গল্প দেবার জন্য। তিনি মানা করেছিলেন, বলেছিলেন তিনি ছোট গল্প লেখেন না। কিন্তু সম্পাদকের জোরাজুরিতে সম্মতি দিতে হয়েছিল। লিখতে বসেছিলেন মাথা খালি করে। নিজের লেখনীর ওপর তার বিশ্বাস আছে, শুরু হলেই তরতরিয়ে লেখা এগুবে ভেবেছিলেন। কিন্তু কি লিখলেন তিনি! গল্প লিখতে গিয়ে অজ্ঞাতসারে নিজের জীবনের গল্পটাই লিখে ফেলেছেন লেখক! তার মনে পড়তে লাগল সবকিছু, খুব পরিষ্কার হয়ে।
বড়ভাই মারা যাবার পরে তারা আশ্রয় নেন মামার বাসায়। ছয় মাস যেতে না যেতেই মামারা আকার-ইঙ্গিতে বোঝাতে থাকেন, তোমাদের ভার আর বহন করতে পারছি না, দয়া করে বিদেয় হও। তিনি তবু মা-কে নিয়ে কোনোমতে টিকে থাকেন। পদে পদে মামারা খোঁটা দেন, বাড়ির সমস্ত গৃহস্থালি কাজ মা-কে দিয়ে করিয়ে নেন। কাজের মেয়েকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। মা আর রাতে কাঁদেন না, সারাদিনের ক্লান্তিজর্জর দেহ বিছানার স্পর্শেই নেতিয়ে পড়ে। তিনি স্কুল বাদ দিয়ে ছোটখাটো কাজ করা শুরু করে দেন। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে মায়ের সাথে কোন কথা হয় না, দু'জোড়া হতাশ চোখে চোখাচোখি হয় মাত্র। এমন অবস্থায় কাটে দুই বছরের মত। একদিন কাজ থেকে ফিরে লেখক দেখেন মা-কে সাদা কাফন পরিয়ে খাটিয়ায় ওঠানো হচ্ছে। বড় মামার সাথে দেখা হয়। মামা বিরক্ত মুখে বলেন, 'তোর মায়ের প্রেশার আছিল আগে কস নাই ক্যা? সেই রোগেই তো মরল।' তিনি মায়ের কবরে মাটি দিয়ে সেদিন রাতেই মামার বাড়ি ছেড়ে চলে আসেন। তিনি একটুও কাঁদেন নি। একটুও না। শুধু বারবার মনে হচ্ছিল তার দম বন্ধ হয়ে আসছে। ঐ জায়গা না ছাড়লে তিনি মরে যাবেন। সেদিন ঈশ্বরের প্রতি তার মোহ মুছে গেছিল। রাগ না, ক্ষোভ না, কেমন যেন অভিমানি বিতৃষ্ণা জন্ম নিয়েছিল ঈশ্বরের ওপর।
ঢাকায় এসে একটা হোটেলে কাজ নেন। খাওয়া দাওয়া ফ্রি, আর মাসে আটশ টাকা বেতন। ভালই চলছিল, হঠাৎ একদিন অর্ডার নিতে গিয়ে জাহিদের সাথে তার দেখা হয়ে যায়। জাহিদ আর একটা মেয়ে এসেছে, জাহিদ হাত উঁচু করে ওয়েটারকে ডাকছে। তিনি পালিয়ে সরে যান, আরেকটা ছেলেকে ঐ টেবিলের অর্ডার নিতে পাঠিয়ে দেন। ভেবেছিলেন জাহিদ তাঁকে দেখে নি। কিন্তু সেদিন বিকালে তার ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়। জাহিদ তো এসেছেই, তার সাথে জাহিদের বাবা আর আসাদকেও নিয়ে এসেছে। ওরা চায়, তিনি ওদের সাথে থাকুন, ওদের পরিবার তার লেখাপড়ার ভার বহন করবে। তিনি রাজি হন নি। কিন্তু আসাদ-জাহিদ তার কথার কোন দাম দেয়নি। ধরে-বেঁধে তাঁকে বাসায় নিয়ে গেছিল। তাঁদের কল্যাণেই তিনি হোটেলের ওয়েটার থেকে আজকের ঔপন্যাসিক।
লেখক একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। পাঠক দুঃখের কথা পছন্দ করে না, বিশেষ করে ব্যক্তিগত বিষাদ। গল্পে এটা দেওয়া যাবে না। তারা সবাই মনে মনে চায় হ্যাপি এন্ডিং। তার চেয়ে বড় কথা, এটা ঈশ্বরের গল্প নয়, তার গল্প। ঈশ্বর অত্যন্ত নিষ্ঠুর সাহিত্যিক, তিনি তার প্রিয় চরিত্রদের কষ্ট দিতে পছন্দ করেন। কিন্তু ঔপন্যাসিক তা পারেন না। তার প্রত্যেকটা উপন্যাসে প্রতিটি চরিত্রের প্রতি সমান মমতা দেখা যায়। তার গল্পেও কি মা মারা যাবেন? তাঁকে এতটা কষ্ট পেতেই হবে?
না।
লেখক হাঁটতে হাঁটতে বাইরে আসেন। প্রচণ্ড পূর্ণিমা। এই জ্যোৎস্নাকে খুনি জ্যোৎস্না বলা যায়। উত্তর দিক থেকে ঝিরিঝিরি বাতাস আসে। তিনি হাসনাহেনা গাছটার কাছে বাঁধানো জায়গাটায় বসেন। তারপর একটা সিগারেট ধরিয়ে ভাবতে থাকেন এর পরে কি লেখা যায়। আচ্ছা, মামা বা চাচাদের কাউকে নরম মনের বানিয়ে দেওয়া যায় না? কিংবা বড় ভাই আসলে হয়তো মরেন নি, তার নামের আরেকজন মারা গেছে, আর সেটা শুনে হাসান ভাই ভুল খবর দিয়েছেন?...
আর কে জানে, ঈশ্বর তার এই প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেখে হয়তো পুলকিত হন।