সকালে অফিসে ঢুকে প্রথম আলো অনলাইনে এই ছবিটা দেখেই মন ভালো হয়ে গেল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে দেওয়া ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রিকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগ) ইশরাত জাহান।
আমার মনে হয় গত দুই দশকে, বা হয়তো আরও বেশি সময়ের জন্য এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে সাহসী ছবি।
আর এটা স্বৈরাচার হাসিনা পতনের মাত্র এক মাস আগের ছবি। বাসসের সৌজন্যে দেওয়া ছবিটার ক্যাপশনে প্রথম আলো বলছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইট। সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
একটা রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়া আমার দেশের প্রধানমন্ত্রীকে (যদিও অবৈধ) রিসিভ করতে ওই সময় ভারত এমন সব কর্মকর্তাদের এয়ারপোর্টে পাঠিয়েছে যাদের নাম সংবাদে উল্লেখ করার মত গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়নি গণমাধ্যমের কাছে। ওই সংবাদে প্রথম আলো বলছে বিমানবন্দরে ভারতের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল এবং দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। সবচেয়ে মজার বিষয় হলে প্রধানমন্ত্রীর এই নিম্ন প্রোটোকল নিয়ে আত্মসম্মান বিকিয়ে দেওয়া আওয়ামী সরকার, রাষ্ট্রযন্ত্র এবং জাফর ইকবালের মত আওয়ামী কুবুদ্ধিজীবিকুল কোনো উচ্চবাচ্য করার প্রয়োজনও মনে করেনি।
৩৬ জুলাইয়ের সাহসে সে বাংলাদেশই আজ চোখে চোখ রেখে সাম্রাজ্যবাদী ভারতের পররাষ্ট্রসচিবকে রিসিভ করতে পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের মহাপরিচালক ইশরাত জাহানকে। মেজেস ক্লিয়ার!
আমাদের আত্মমর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার এই পদক্ষেপে স্যালুট এই বাংলাদেশকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬