কেউ সুন্দরী নারীর লোভে, কেউ ভারতীয় স্বার্থে মুক্তিযুদ্ধে যায়ঃ. কাদের মোল্লা
ইত্তেফাক রিপোর্ট
জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লা বলেছেন, কেউ সুন্দরী নারীর লোভে, কেউ হিন্দুর সম্পদ লুক্তন, কেউ ভারতীয় স্বার্থ রক্ষায় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। কেউই আন্তরিকতা কিংবা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি। অনেকেই ভারতের অখণ্ডতার সাথে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করেছেন। এই ষড়যন্ত্র এখনো চলছে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পতাকাতলে বেশ কিছু জাতীয় বেইমান ও বিশ্বাসঘাতক আশ্রয় নিয়েছে। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “চাচার কবর কৈ আর চাচী কান্দে কৈ!” তিনি বলেন, কতিপয় রাজনৈতিক দল নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা না করে নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটি রাজনৈতিক দল বাতিলের দাবি তুলেছে। তারা জানে না বাংলাদেশে ধর্মবিরোধীদের কোন ঠাঁই নেই। যারাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করবে তারাই নির্বংশ হয়ে যাবে।
গতকাল মঙ্গলবার খতিব উবায়দুল হকের কর্মময় জীবনের ওপর জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যুদ্ধাপরাধীঃ জামায়াতের বক্তব্য
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রচার বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিত হওয়া ও ক্ষমার বিষয়টি রাতারাতি বা গোপনে হয়নি।
ঐ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা ও দেশে ফেরত পাঠানো ছিল দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও আলোচনার ফল এবং সব কিছুই ছিল প্রকাশ্য। ক্ষমা ঘোষণার এই দলিলে স্বাক্ষরকারী ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আজিজ আহমদ বেঁচে না থাকলেও বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষরকারী বাংলাদেশের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন এখনও বেঁচে আছেন।
তৎকালীন সরকারের তদন্তানুসারে যুদ্ধাপরাধীর সংখ্যা ছিল ১৯৫ জন। এর বাইরে আর কোন যুদ্ধাপরাধী নেই। শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন। তবে হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে অভিযুক্তরা এর আওতার বাইরে ছিল। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও মরহুম শেখ মুজিবের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল। এ সময় জামায়াত নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের কোন মামলা হয়নি, এমনকি জিডিও হয়নি। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জামায়াতের সাথে সংশ্লিষ্ট তদানীন্তন নেতা ও কর্মীবৃন্দ এ ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন না। প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ০৭